করোনা মহামারির প্রকোপ কমায় ও করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম সারিতে থাকায় আবার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিদেশি কর্মী গ্রহণ স্থগিত করেছিল দেশটির সরকার।
সোমবার প্রবাসী শ্রমিকদের একটি দল দক্ষিণ কোরিয়ায় যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১২৩ জনকে বিদায় জানান। এদের মধ্যে ১০৯ জন নবীন এবং বাকি ১৪ জন আগেও দেশটিতে গেছেন।
পুনরায় চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট এক হাজার ৪৪৭ জন বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়াতে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকার কোরিয় দূতাবাস।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে কোরিয়া এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) মাধ্যমে এটি ছিল কোরিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের ১৪ তম ব্যাচ।
ওই বছরের ডিসেম্বরে ১১১ জন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১৩০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০৮ জন, মার্চে ২১৮ জন, এপ্রিলে ৬৫৭ জন এবং মে মাসে ১২৩ জন বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী কোরিয়ায় গেছেন।
বিদায় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত লি বাংলাদেশি কর্মীরা তার দেশে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে বলে আশা করেন।
ইপিএস কর্মীরা কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের মধ্যে অংশীদারত্ব আরও গভীর এবং শক্তিশালী হবে।’
চলতি মাসে বাংলাদেশ কর্মীদের আরও তিনটি ব্যাচ কোরিয়াতে যাবে। ২০০৭ সালে দুই দেশের মধ্যে ইপিএস এমওইউ হওয়ার পর থেকে ইপিএস কর্মসূচির আওতায় ২৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে।
ইপিএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে মাঝারি ও স্বল্প-দক্ষ বিদেশি শ্রমিকদের নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়ান সরকার দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইপিএস কর্মী নেয়নি।
যেসব দেশ শ্রমিক পাঠায়, তাদের পাশাপাশি নিয়োগকারীদের কাছ থেকে পাওয়া ক্রমাগত অনুরোধ বিবেচনা করে দক্ষিণ কোরিয় সরকার ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে এবং পরে পুরোদমে কর্মী নিয়োগ শুরু করে।