বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের সৌর বিদ্যুৎ সাফল্য নিয়ে বিশ্বব্যাংকের বই

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২১ ২২:০৭

বিশ্বের বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক এখন বাংলাদেশে। যার আওতায় এসেছে দুই কোটি মানুষ। বহুজাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক বিষয়টিকে অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয় বলে মনে করছে। বাংলাদেশের সৌর বিদ্যুৎ খাতের এ অর্জন বিষয়ে সংস্থাটি একটি বই প্রকাশ করেছে।

বিশ্বের বৃহত্তম অফ-গ্রিড সৌর বিদ্যুৎ কার্যক্রম রয়েছে বাংলাদেশে। এর মাধ্যমে দেশের দুই কোটি মানুষ সৌর বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। এ সাফল্য অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ ও আদর্শ শিক্ষা হতে পারে বলে মনে করে বহুজাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশের সৌর বিদ্যুৎ খাতের এ অর্জন বিষয়ে সংস্থাটি একটি বই প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিশ্বব্যাংকের ‘লিভিং ইন দ্যা লাইট- দ্যা বাংলাদেশ সোলার হোম সিস্টেম স্টোরি’ পুস্তক প্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে অনলাইন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এ ছাড়াও ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, দক্ষিণ এশিয়ার অবকাঠামো বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক জুয়াং চেন, সৌর বিদ্যুৎ সম্প্রাসরণে কাজ করা ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লি. (ইডকল) এর সিইও মাহমুদ মালিকসহ আরও অনেকে।

বিশ্বব্যাংকের প্রকাশনায় বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার হোম সিস্টেম প্রোগ্রাম বাংলাদেশে শুরু হয় ২০০৩ সালে। রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক এতে অর্থায়ন করেছে। ইডকল নিজেদের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ অভিজ্ঞতা এবং বেসরকরি খাতের উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে একটি সৌর বিদ্যুৎ বিজনেস মডেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে সৌর বিদ্যুৎ কীভাবে গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে দেশের মূল স্রোতে যুক্ত করেছে তাও এতে উঠে এসেছে। ২০০৩ সালে মাত্র ৫০ হাজার বাড়ি নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। যা ২০১৮ সালে প্রোগ্রামের সমাপ্তির সময় ২ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কে যুক্ত করছে। এতে গ্রামের ১৬ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধায় এসেছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৯৬ লাখ টন গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমিয়েছে। পরবর্তীতে বিশ্ব ব্যাংক সৌর বিদ্যুতের সেচ, সৌর মিনি গ্রিড, বহুতল ভবনে রুফ-টপ সোলার এবং খামার পর্যায়ে সৌর বিদুতের ব্যবহার বাড়াতে বিনিয়োগ করেছে। দুটি পর্যায়ের এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৭২৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎকে সম্প্রাসারণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এজন্য সৌর বিদ্যুৎ ইউনিট স্থাপনে কর সুবিধাসহ সরকার নানা সুবিধা দিচ্ছে। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সরকারের ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ লক্ষ্য পূরণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রিডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, দেশের গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি যাচ্ছে। ক্লিন ইলেক্ট্রিসিটি বা উন্নত স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ বিদ্যুতের মাধ্যমে পরিবারে উন্নত পরিবেশ এবং সন্তানদের পড়ালেখার বাড়তি সময় নিশ্চিত হয়েছে।

বইটির চার লেখকের অন্যতম ও বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অমিত জেন বলেন, রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের দুটি পর্যায়ে ক্লিন এনার্জি ছড়িয়ে দিতে ইডকল বেসরকারি কিছু সংস্থাকে অর্থায়ন করেছে। এমন ৫৮টি এনজিও ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে এসব সোলার প্লান্ট সরবরাহ ও স্থাপনের কাজ করেছে।

এ প্রোগ্রাম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রমাণ করেছে যে, মাত্র ১০০ ডলারের মতো ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া যায়।

এ বিভাগের আরো খবর