পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) লাইসেন্স পেয়েছে ডিজিটাল সেবাদানকারী প্ল্যাটফর্ম ‘পাঠাও’। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই অনুমোদন পায় প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক পাঠাওকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার লাইসেন্স দিয়েছে। এই লাইসেন্স পাওয়ায় পাঠাও এখন মোবাইল ওয়ালেট তৈরি করতে পারবে এবং ব্যবহারকারীরা দ্রুত ও আরও নিরাপদভাবে অনলাইন লেনদেন করতে পারবে।
পাঠাও ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাইড, ফুড ডেলিভারি ও লজিস্টিক পরিষেবায় জনপ্রিয়তা পায়।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত এক বছরে পাঠাও কুরিয়ারের সম্প্রসারণ হয়েছে আড়াই গুণের বেশি এবং বর্তমানে তাদের সেবা সারা দেশে পৌঁছে গেছে। এমনকি গ্রামেও পার্সেল পৌঁছে দিয়ে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
পাঠাও কুরিয়ার ৫০ হাজারের বেশি ছোট ব্যবসায়ী ও ২৫ লাখের বেশি গ্রাহককে সেবা দিয়েছে, যাদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি ঢাকার বাইরের।
গত বছরের নভেম্বরে পাঠাও-এর রাইড শেয়ারিংয়ে নতুন সেবা চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী নিজেই ভাড়া নির্ধারণ করতে পারবেন। উদ্ভাবনী এই সেবা চালুর পর পাঠাও কারের দৈনিক লেনদেন ৩ গুণ বেড়েছে।
পাঠাও-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, “পাঠাও-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘পাঠাও পে’ ডিজিটাল পেমেন্ট ওয়ালেট পরিচালনার জন্য পিএসপি লাইসেন্স পেয়েছে জানতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা ডকুমেন্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। গ্রাহকদের দ্রুত ও সহজ পেমেন্ট নিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টায় সমর্থন দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।”
পাঠাও ছাড়াও দেশে পিএসপি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান আছে আরও ৫টি। এগুলো হলো- আইপে সিস্টেমস, ডি মানি বাংলাদেশ, রিকারশন ফিনটেক, গ্রীন অ্যান্ড রেড টেকনোলজিস ও প্রগতি সিস্টেমস।