বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টেকনাফ স্থলবন্দরে মাছের বোট ভিড়েছে টানা নয়দিন পর

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৯:৩৩

সবশেষ ৬ ডিসেম্বর মিয়ানমার থেকে মাছের কার্গো বোট টেকনাফের ঘাটে ভিড়েছিল। এরপর রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মংডু টাউশিপ দখলে নেয়। তখন থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যের অধীনে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী কোনো বোট ভেড়েনি।

মিয়ানমারের রাখাইন চলমান সংঘাতের প্রভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে মাছবাহী কার্গো বোট চলাচল। জান্তা সরকার থেকে মংডু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর টেকনাফ সীমান্তের ওপারে পরিস্থিতি আপাতত কিছুটা শান্ত রয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টানা নয়দিন বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আবারও ভিড়েছে মাছবাহী আসলো কার্গো বোট। রোববার ভোরে ইলিশ, রুই ও কাতলা মাছের একটি কার্গো বোট মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে পৌঁছে। ওই বোটে টেকনাফের চার ব্যবসায়ীর ১০৮ টন মাছ ছিল।

এর আগে সবশেষ গত ৬ ডিসেম্বর মিয়ানমার থেকে মাছের কার্গো বোট টেকনাফের ঘাটে ভিড়েছিল। এরপর রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) মংডু টাউশিপ দখলে নেয়। তখন থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যের অধীনে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী কোনো বোট ভেড়েনি।

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নয়দিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমার থেকে ১০৮ টন মাছ নিয়ে একটি বোট এসেছে। সেখানে চারজন ব্যবসায়ীর মাছ রয়েছে। বোটে ইলিশ, রুই ও কাতলা মাছ রয়েছে।’

এদিকে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ধারাবাহিক সংঘাতের প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিতে। স্থলবন্দর এখন অনেকটাই স্থবির। মিয়ানমারে পরিস্থিতি শান্ত না হলে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, গত জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৮ হাজার ৮০০ টন নানা ধরনের পণ্য এসেছে। অথচ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসেছিল ৭৮ হাজার ৫২৭ টন পণ্য। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পণ্য এসেছে এক লাখ ৯৯ হাজার ২২৫ টন পণ্য।

এছাড়া বাংলাদেশ থেকে জুন-নভেম্বর সময়কালে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারে পণ্য গেছে মাত্র ৩১০ কেজি। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গেছে এক হাজার ৪০৮ টন পণ্য। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছেইতন হাজার ৫২৩ টন পণ্য।

কর্মকর্তাদের মতে, মিয়ানমার থেকে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কাঠ, হিমায়িত মাছ, শুকনো সুপারি, পেঁয়াজ, আদা, শুঁটকি, নারিকেল, আচার জাতীয় পণ্য আমদানি হয়। আর বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে যায় আলু, প্লাস্টিক পণ্য, সিমেন্ট, তৈরি পোশাক, বিস্কুট, চানাচুর, চিপস ও কোমল পানীয়।

টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘রাখাইনে চলমান যুদ্ধের কারণে সীমান্ত বাণিজ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রোবার ভোরে মিয়ানমারের আকিয়াব থেকে ১০৮ টন পণ্য নিয়ে একটি বড় বোট এসেছে। এর মধ্যে আমার ৩০ টন মাছ রয়েছে। তবে গত ৮ দিন ধরে মিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে কোনো ট্রলার আসেনি।’

এ বিভাগের আরো খবর