বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্দি থেকে জুম মিটিং: ডেসটিনির এমডি রফিকুল ফের কারাগারে

  •    
  • ৩ জুলাই, ২০২১ ১৮:১৭

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন রফিকুল। সেখান থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় ব্যবসাসংক্রান্ত জুম মিটিং করে আবার আলোচনায় আসা ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিনকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ।

তিনি বলেন, ‘আজ বিকেলে তাকে আমরা কারাগারে এনেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছেড়েছে, তাই আমরা তাকে নিয়ে এসেছি।’

রফিকুলের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, কিছুটা সুস্থ না হলে তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়ত না। সেটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।

কারাগারে রফিকুল আমিনকে কোথায় রাখা হয়েছে, জানতে চাইলে সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘কারাগারে তিনি ডিভিশন ওয়ার্ডে আছেন।’

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন রফিকুল। সেখান থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি তার দুটি জুম মিটিংয়ের তথ্য ফাঁস হয় গণমাধ্যমে। জানা যায়, গত মে ও জুন মাসে রফিকুল দুটি অনলাইন মিটিংয়ে ডেসটিনির মতোই নতুন আরেকটি এমএলএম ব্যবসা চালুর বিষয়ে আলোচনা করছেন। এরই মধ্যে ব্যবসা শুরু করে দিয়েছেন। আর জন্য ১ হাজার ৩০০ মার্কেটিং এজেন্ট নিয়োগের কথাও বলেছেন।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমিন এবং ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করার পর ওই বছরের ১১ অক্টোবর গ্রেপ্তান হন দুজন।

তাদের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ৯৬ কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট মোট ৫৩ আসামির বিচার শুরু হয়। তবে এখনও বিচার শেষ হয়নি। আর কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। তারা কোনো টাকা ফিরে পায়নি। তাদের প্রলুব্ধ করে বিনিয়োগে আগ্রহী করা ডেসটিনির সাবেক কর্মীরাও আছেন বিপাকে। পাওনাদারদের কারণে অনেকেই জায়গাজমি বিক্রি করে এলাকাছাড়া হয়েছেন।

বিতর্কিত বহুস্তর বিপণন পদ্ধতিতে (এমএলএম) ২০০০ সাল থেকে ব্যবসা করে আসছিল ডেসটিনি।

একটি মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি (ডিএমসিএস) এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের (ডিটিপিএল) পরিচালকরা এমএলএমের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্যাকেজের শেয়ার দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ডিএমসিএসের পর্ষদ সভায় অনুমোদন ছাড়াই সদস্যদের অগোচরে এবং তাদের প্রলোভন দেখিয়ে ওই সব অর্থ ৩২টি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে সরিয়েছেন। বিনিয়োগের নামে ওই অর্থ নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেছেন।

গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া অর্থের পরিমাণ চার হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও ডেসটিনির মোট সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৪০০ কোটি টাকা৷

অপর মামলার তদন্ত অনুযায়ী, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা গাছ বিক্রির নামে ২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) হিসাবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং সরাসরি পাচার হয়েছে আরও ২ লাখ ৬ হাজার ডলার।

এ বিভাগের আরো খবর