ধর্ম অবমাননার দায়ে পাকিস্তানে এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির আদালত বুধবার এ রায় দেয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত নারীর নাম আনিকা আতিক। ২০২০ সালে ২৬ বছরের আনিকার বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে মামলা হয়েছিল।
ভারতের সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট ফার্স্টপোস্টের খবরে বলা হয়েছে, আনিকার বিরুদ্ধে মামলা করেন ফারুক হাসনাত নামে এক ব্যক্তি। তারা একসময় বন্ধু ছিলেন।
বুধবার রায় ঘোষণার সময় আদালত জানায়, ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এবং সাইবার আইন লঙ্ঘন করার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
ফার্স্টপোস্ট বলছে, ২০১৯ সালে একটি গেমিং সাইটের মাধ্যমে আনিকার সঙ্গে পরিচয় হয় ফারুকের। পরে তারা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ শুরু করেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
সে সময়ে ফারুককে হোয়াটসঅ্যাপে বিশ্বনবীর ব্যঙ্গচিত্র পাঠাতেন আনিকা। ফেসবুকেও এ বিষয়ে তৎপর ছিলেন তিনি।
এসবে হতাশ হন ফারুক। তিনি আতিকাকে এসব বার্তা মুছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেন আতিকা। বাধ্য হয়ে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) সাইবার ইউনিটের কাছে অভিযোগ করেন ফারুক।
এতে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে অপমানিত করেছেন আতিকা। এটি মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে।
পাকিস্তানে ইসলাম অবমাননার আইন কঠোর। সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়া-উল-হক আশির দশকে এই আইন বাস্তবায়ন করেন।
গত ডিসেম্বরে একই ধরনের অভিযোগে শ্রীলঙ্কার এক নাগরিককে বেদম পেটানোর পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল।