করোনার টিকা পেতে হলে আগ্রহীকে সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে www.surokkha.gov.bd গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। সুরক্ষা মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করেও নিবন্ধনের কাজটি করা যাবে। রিয়েল টাইম অ্যাপটি ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে। নিবন্ধনের পর সেখান থেকেই জানা যাবে, কবে-কখন টিকা নিতে হবে।
তিনভাবে নিবন্ধন করা যায়। সেগুলো হলো...
জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে
নিবন্ধন ফর্মে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা যায়। পরবর্তী সময়ে নিবন্ধিত মোবাইল ফোনে ভ্যাকসিন দেয়ার স্থান ও তারিখ জানানো হয়।
জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের মাধ্যমে
নিবন্ধন ফর্মে জন্মসনদ ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা যায়। তবে জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটসহ ভ্যাকসিন নিবন্ধন এই মুহূর্তে সবার জন্য কাজ করবে না। বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুরা জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবে।
তবে সে জন্য অবশ্যই ১৭ সংখ্যার জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট নম্বর প্রদান করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এসব জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট নম্বর তালিকাভুক্ত করবেন এবং নম্বরগুলোকে হোয়াইটলিস্ট করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট নম্বর দিয়ে সুরক্ষা ভ্যাকসিনেশন সিস্টেমে নিবন্ধন করতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে নিবন্ধিত মোবাইল ফোনে ভ্যাকসিন দেয়ার স্থান ও তারিখ জানানো হয়।
পাসপোর্টের মাধ্যমে (বাংলাদেশি / বিদেশি)
নিবন্ধন ফর্মে পাসপোর্ট ও মোবাইল নম্বর যাচাইপূর্বক নিবন্ধন করা যায়। তবে পাসপোর্ট দিয়ে ভ্যাকসিন নিবন্ধন এই মুহূর্তে সবার জন্য কাজ করবে না। বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভিন্ন বৈদেশিক সংস্থায় কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এবং বিএমইটিতে নিবন্ধিত বিদেশি কর্মীরা এর ডাটা সুরক্ষা সার্ভারে হোয়াইটলিস্ট হওয়ার পরই এসব পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এই প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য কিছু সময় ধৈর্যধারণ করতে হবে। পরবর্তী সময় নিবন্ধিত মোবাইল ফোনে ভ্যাকসিন দেয়ার স্থান ও তারিখ জানানো হয়।
নিবন্ধন করার নিয়ম
জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করার জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করুন’ বক্সে ক্লিক করতে হবে। সেখানে কোনো ধরনের ডকুমেন্ট দিয়ে নিবন্ধন করতে চান তা জানতে চাইবে। আপনাকে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র’ সিলেক্ট করতে হবে।
এবার শ্রেণি বা ধরন নির্বাচন করার পালা। সেখানে মোট ২৬টি শ্রেণি-পেশার নাম উল্লেখ আছে। আপনি যে পেশায় আছেন সেখানে ক্লিক করুন। কোন পেশার সঙ্গে না মিললে ‘নাগরিক নিবন্ধন (১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব) সিলেক্ট করুন।
এবার নির্দিষ্ট ঘরে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং পরিচয়পত্রে উল্লেখিত আপনার জন্মতারিখ দিতে হবে।
এবার নিবন্ধনকারীর তথ্য প্রদর্শিত হবে। সেখানে বাংলা এবং ইংরেজিতে আপনার নাম দেয়া থাকবে। এবার নির্দিষ্ট ঘরে আপনার মোবাইল ফোন নম্বর প্রবেশ করতে হবে। মনে রাখবেন, ফোন নম্বরটি সচল থাকতে হবে। কারণ এই নম্বরেই টিকাসংক্রান্ত যাবতীয় ম্যাসেজ পাঠানো হবে।
এবার আপনার ঠিকানা এবং যে কেন্দ্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক সেই কেন্দ্র নির্বাচন করে দিতে হবে।
সঠিকভাবে তথ্য দেবার পর ‘সংরক্ষণ করুন’ বাটনে ক্লিক করলে আপনার মোবাইল ফোনে ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড পাঠানো হবে। সঠিকভাবে পাসওয়ার্ড প্রবেশ করাতে পারলেই আপনার নিবন্ধন হয়ে যাবে।
এরপর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্মতারিখ দিয়ে লগ ইন করে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া ওটিপি কোড দিয়ে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে হবে।
নিবন্ধন হয়ে যাবার পর সুবিধাজনক সময় আপনার মোবাইল ফোনে টিকা দেবার তারিখ এবং কেন্দ্র জানিয়ে দেয়া হবে।
এসএমএস-এ যে তারিখ উল্লেখ থাকবে, সেই তারিখে টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কোভিড-১৯-এর টিকা নিতে পারবেন।
এভাবে দুটি ডোজ শেষ হলে সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন থেকে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।