করোনার কারণে গত বছর বন্ধ ছিল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এ বছর পূর্বাচলের নতুন ভেন্যুতে মাসব্যাপী এ মেলা শুরু হয়েছে বছরের শুরুর দিনটি থেকে। মেয়াদের এক-তৃতীয়াংশ গড়াতেই এটির ভাগ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সোমবার ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে করোনার নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয় ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধ রাখতে হবে।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে করোনার প্রতিরোধী টিকার সনদ প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক করার কথাও বলা হয়েছে এ প্রজ্ঞাপনে।
বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীর ভিড় এবার একটু কম হলেও দিনে ১০ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে তা কয়েক গুণ বাড়তে পারে, যা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করছেন গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি মেলার ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কাছে বরাবরই উপেক্ষিত থাকে।
এ অবস্থায় মেলার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাণিজ্য মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিধিনিষেধে বাণিজ্য মেলা চলবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে যেভাবে নির্দেশনা আসবে, সেভাবেই আমরা তা বাস্তবায়ন করব।’
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাণিজ্য মেলার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মাত্রই তো প্রজ্ঞাপন এলো। তা দেখেশুনে বুঝে মেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সে সিদ্ধান্ত জানানো যাবে।
‘তবে আমরা আগে থেকেই এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এমনও হতে পারে মেলার ক্ষেত্রে করোনা টিকার বিষয়টি বিবেচনায় আনতে পারি। যারা করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের টিকার সনদ দেখে মেলায় প্রবেশ করতে দেয়া হতে পারে। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়।’
চিরচেনা আগারগাঁও ছেড়ে এবারই প্রথম পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলছে। নতুন ভেন্যু হওয়ায় এখনও সেভাবে জমে ওঠেনি মেলা। এ অবস্থায় মেলা বন্ধ হলে আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন স্টল মালিকরা।