বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে বরগুনা জেলা থেকে নৌ পথে যাত্রা শুরু করেছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বরগুনা সদরসহ ছয় উপজেলা থেকে নদী পথে নৌ যাত্রা শুরু করে বিএনপি। নৌকাগুলোতে রাতের খাবারের জন্য খিচুরি রান্না চলছে।
বিএনপি নেতারা জানান, সড়কপথে বরিশাল যেতে তারা কোনো গাড়ি পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে নৌপথে যাত্রা শুরু করেছেন। রাতের খাবারের জন্য প্রতিটি বোটে রান্নার আয়োজন করা হয়েছে, এ যেন বিএনপি নেতাকর্মীদের নৌবিহার।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারিকুজ্জামান টিটু বলেন, ‘জেলা সদর থেকে ছয়টি বড় বোটে দুই হাজার নেতাকর্মী বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে রাত ৯টায় যাত্রা শুরু করেন। জেলার অন্য পাঁচ উপজেলা থেকেও যাত্রা শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। নৌপথে মোট ৩৫টি ট্রলারে সাত হাজারের বেশি নেতাকর্মী রওনা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘সড়কপথে মোটরসাইকেল ও মাহিন্দ্রযোগে ইতোমধ্যে জেলা বিএনপির অনেক নেতাকর্মী বরিশাল পৌঁছেছেন। আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম, সড়কপথে বরিশালে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হতে হবে। বরগুনা জেলা বাস মালিক সমিতি ধর্মঘটের নামে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ কারণে বিকল্প পথে ট্রলারযোগে বরিশাল যাওয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম।
‘নেতাকর্মীদের রাতের খাবারের জন্য প্রতিটি বোটেই খিচুড়ির আয়োজন করা হয়েছে। আমরা নৌপথে একপ্রকার আনন্দ ভ্রমণের মধ্য দিয়ে বরিশালে পৌঁছে যাব। আনন্দ-উচ্ছ্বাসে নৌপথ পাড়ি দিয়ে যথা সময়ে আমরা বিভাগীয় মহাসমাবেশে যোগ দেবো।’
বরগুনা জেলা যুবদল সভাপতি মোল্লা বলেন, ‘সরকার ও সরকারি দলের দূরভিসন্ধি আমরা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলাম। এ কারণে যুবদলের নেতা-কর্মীদের নৌপথে বরিশাল যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল। নেতা-কর্মীরা রওনা হয়েছেন।’
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘ছাত্রদল নেতাকর্মী ইতোমধ্যে বাইক-মাহেন্দ্রসহ বিকল্প পরিবহনে বরিশাল পৌঁছেছে। বাকিরা ট্রলারে রওনা হয়েছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ তারেক রহমান বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো কার্যক্রম যেন বিএনপি সংগঠিত না করতে পারে, সেদিকে আমরা কড়া নজর রাখছি।’