বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক বছরে পানিতে ডুবে ১৬৭১ শিশুর মৃত্যু

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:২৩

পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চট্টগ্রাম জেলায় ১৩২ জন, দ্বিতীয় নেত্রকোনা ৬৭ জন, তৃতীয় কক্সবাজার ৬৫ জন।

২০২২ সালে বাংলাদেশে পানিতে ডুবে এক হাজার ৬৭১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সমাজ ও স্বেচ্ছাসেকমূলক সংগঠন শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন।

টাঙ্গাইল শহরে সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ‘পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধ’ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মুবাশ্বির খান লিখিত বক্তব্যে জানান, গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫১টি মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ওপর জরিপ চালানো হয়। এ জরিপে ২০২২ সালে বাংলাদেশে পানিতে ডুবে এক হাজার ৬৭১ শিশুর মৃত্যুর সংখ্যা পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৩৬ শতাংশ ছেলে এবং ৩৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ মেয়ে । সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করেছে শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী ৯৬০ জন যা মোট মৃতের ৫৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চট্টগ্রাম জেলায় ১৩২ জন, দ্বিতীয় নেত্রকোনা ৬৭ জন, তৃতীয় কক্সবাজার ৬৫ জন।’

তিনি বলেন, ‘মোট ঘটনার ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ ঘটনার জন্য দায়ী অসচেতনতা। এমনও দুয়েকটি ঘটনা দেখা গেছে, যেখানে বালতি কিংবা পাতিলের পানিতে ডুবেও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মা-বাবা বা শিশুর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যখন কাজে ব্যস্ত থাকেন বা বিশ্রামরত থাকেন তখনই বেশিরভাগ শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। মৃত্যু কারণ হিসেবে মৃগী রোগী, আঘাতজনিত মৃত্যু বা দুর্ঘটনা, সাঁতার না জানা, অসচেতনতা এই চারটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে সাঁতার না জানার কারণে পাঁচ বছরের ওপরে ৩১ দশমিক ০৭ শতাংশ শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। শীতকালের চেয়ে বর্ষা বা তুলনামূলক গরমের সময় পানিতে ডুবে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শহরের তুলনায় গ্রামের নদী, পুকুর বা ডোবায় গোসল করতে গিয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করতে দেখা গেছে। শহরের মারা যাওয়া বেশিরভাগ শিশুই পাঁচ বছরের ওপরের এবং বেশিরভাগই সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে মারা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেন, পত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। অনেক ঘটনাই সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়নি, যা হিসাব করলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশনের ‘পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধ’ প্রকল্পের সদস্য মির্জা রিয়ান ও আতিয়া আদিবা জারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর