বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেয়ারম্যানের নামে ডিসির কাছে দুর্নীতির অভিযোগ সাত ইউপি মেম্বারের

  • প্রতিনিধি, পটুয়াখালী   
  • ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৩:১৮

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’  

পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেছেন সাত সদস্য (মেম্বার)।

গত সোমবার দুপুরে এ অভিযোগ করা হয় বলে জানান ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার কায়সার আকন।

অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে যা বলা হয়

মেম্বারদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে হোল্ডিং ট্যাক্স চেয়ারম্যান তার নিজের একটি এনজিও দিয়ে আদায় করিয়ে হাতিয়ে নেন এবং ব্যাংকে জমা দেননি। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের মৎস্য ভিজিএফের চাল চেয়ারম্যান কম দিতে চাইলে ইউপি সদস্যরা মানা করেন। চাল আনতে ক্যারিং খরচ হয় বলে ইউপি সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার। ৩ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে টিউবওয়েল বাবদ ১৬ হাজার টাকা নেন তিনি, কিন্তু টিউবওয়েল বা টাকা কোনোটাই ফেরত দেননি।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইউপি মেম্বারদের মতামতের ভিত্তিতে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়নি। পরিষদের আয় ও ব্যয়ের হিসাব ইউপি সদস্যদের দেননি চেয়ারম্যান। সুবিধাভোগীদের দেয়া সরকারি চাল ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে না রেখে চেয়ারম্যান আবু জাফর তার বাসার সামনে নিজস্ব অফিস করে সেখানে রাখেন।

এতে আরও বলা হয়, গত এক বছরে ইউপি সদস্যদের নিয়ে পরিষদের মাসিক সভা করা হয়নি। মেম্বারদের হাজিরা খাতা ও রেজুলেশন খাতা চেয়ারম্যান তার বাসায় নিয়ে রাখেন। যখন তার প্রয়োজন হয়, তার পছন্দের সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে বাকিদের স্বাক্ষর নেন না ইউপি চেয়ারম্যান।

ইউপি মেম্বারদের অভিযোগ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কোনো তথ্যই দেন না চেয়ারম্যান।

এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বড়বিঘাই ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার বলেন, ‘আমার নামে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসলে টিসিবির মালামাল প্রকৃত কার্ডধারীরা পেত না। কারণ ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন লোকের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে ছাড়িয়ে নিত, যা তারা বাহিরে বিক্রি করত। আর এসবে বাধা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে তারা।’

এ বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) নূর কুতুবুল আলম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর