সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকের ওপর হামলার অভিযোগে ১২ জুলাই রাতে গ্রেপ্তার করা হয় উপজেলা যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপুকে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়কও।
এ মামলায় অপু ছাড়া আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন বিশ্বজিৎ রায় ও রতন রায়। এর মধ্যে গ্রেপ্তার আছেন রতন রায়।
অপুর বিরুদ্ধে মাদক আইনেও একটি মামলা করা হয়েছে।
অপুর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনাটি সাজানো। হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে প্রচারিত একটি সংবাদের লিংক ফেসবুকে শেয়ার করার জেরে তাকে ফাঁসানো হয়। তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে নির্যাতনও করা হয়।
অপুর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন যিনি, শাল্লা থানার সেই উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলী আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন। গত শুক্রবার ছাড়া পেয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান শনিবার নিউজবাংলাকে বলেন, পরিবারের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে দেখা হয়েছে। অপুকে হেফাজতে নির্যাতনের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এসআইয়ের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে বলা যাবে। এখন আমার এসআই আহত হয়ে হাসপাতালে আছে। তার চোখের নিচে, পা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। হামলা না হলে এই আঘাতের চিহ্ন কোথা থেকে আসলো। কেউ আক্রান্ত হলে তো আইনের আশ্রয় নিতেই পারে। তবে তদন্ত শেষ হলে সব বলা যাবে।’
তবে অরিন্দম চৌধুরী অপুর ভাই আইনজীবী অমিতাভ চৌধুরী রাহুলের দাবি, হামলার অভিযোগ আনা এসআই শাহ আলী সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসা থেকে তার ভাইকে ফাঁসিয়েছেন।
অমিতাভ বলেন, গত ৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের তৎকালীন নেতা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে বেড়াতে গিয়ে জনরোষে পড়ার পরদিন তার স্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হয়। যা প্রচার করে একাত্তর টিভি। ওই সংবাদের লিংক ফেসবুকে শেয়ার করেন অপু। এরপর স্থানীয় কয়েকজন তাকে হুমকি দেয়।
এর আগে ১৭ মার্চ একই উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে। এ কারণে ফেসবুকের হুমকির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১০ এপ্রিল শাল্লা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন অমিতাভ।
অমিতাভ বলেন, ‘সাধারণ ডায়েরি করার পরও থানা থেকে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে আমার ভাইয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। তখন এসআই শাহ আলী আমার ভাইকে তার ফেসবুকে দেয়া লিংক মুছে ফেলার কথা বলেন এবং সাধারণ ডায়রি থেকে হেফাজত ইসলামের প্রসঙ্গটি বাদ দিতে চাপ দেন।
‘এসআই শাহ আলীর চাপ প্রয়োগের বিষয়টি গত ১৪ এপ্রিল আমরা পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানাই। পরে সার্কেল এএসপি বিষয়টি অনুসন্ধান করেন এবং এসআই শাহ আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
এসপির কাছে অভিযোগ দেয়ায় শাহ আলী ক্ষুব্ধ হন অপুর ওপর, এমন অভিযোগ অমিতাভের।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার জেরেই এখন আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে হামলার মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ ঘটনার রাতে তিনি বাসায় ছিলেন। বাসা থেকে তাকে থানায় একটি জরুরি কাজের কথা বলে ডেকে নেয়া হয়। এরপর সেখানে তাকে রাতভর মারধর করা হয়। ভোররাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে একজন ফোন দিয়ে আমাদের এ তথ্য জানায়। এরপর আমরা হামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতে পারি।’
অপুর বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সোমবার মধ্যরাতে ডিউটি শেষ করে থানা থেকে বের হয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। পথে অপুর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক এসআই শাহ আলীর উপর হামলা করেন। এতে গুরুতর আহত হন শাহ আলী।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম শনিবার বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা মামলাায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।’
ওসির দাবি, ওই রাতে অপুকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।
এসব বিষয়ে এসপি মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে শনিবার তিনি বলেন, ‘জিডি করার পর চাপ প্রয়োগের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ওই সময়ই শেষ হয়ে গেছে। যে এসআইকে তারা অভিযুক্ত করেছিলেন তাকেই বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেই। তিনি প্রতিবেদন জমাও দেন। ফলে এই ঘটনার জেরে এখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন অভিযোগ সঠিক নয়।’
এসপি বলেন, ‘থানা হেফাজতে অপুকে নির্যাতনের কোনো প্রমাণ পাইনি। গ্রেপ্তারের দিন তিনি মাদক নিয়েছিলেন। মাদক পরীক্ষার জন্যই তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। অসুস্থ হওয়ার কারণে নয়। তারপরও অপুর পরিবার যদি মনে করেন তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, তবে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।’
তিনি জানান, অপুর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে থানায়। এর মধ্যে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা। ফলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন কিছু নয়।
গ্রেপ্তারের পর থানা থেকে রাতে অপুকে হাসপাতালে নেয়ার কারণ জানতে চাইলে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুমন ভুইয়া বলেন, ‘তখন আমি হাসপাতালে ছিলাম না। ফলে কেন আনা হয়েছিল বলতে পারব না। এছাড়া এটি কয়েকদিন আগের ঘটনা। প্রতিদিন হাসপাতালে অনেক রোগী আসেন। কে কী সমস্যা এসেছিলেন তা মনে রাখা সম্ভব নয়।’
আহত অবস্থায় এসআই শাহ আলীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাকে শুক্রবার ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সিলেটে গিয়ে পরবর্তী চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে।
অরিন্দম চৌধুরী অপুকে গ্রেপ্তারের খবরে ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হাসান মোরশেদ লেখেন, ‘অপু ৭১ টিভির রিপোর্ট শেয়ার করার পর শুরু হয় তাকে মেরে ফেলার হুমকি-ধামকি। এমনকি তার স্ত্রীর ছবি বিকৃত করে নোংরামী করা হয়। অপু তখন আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়। ঐ অবস্থায় থানায় জিডি করেন তার ভাই। কিন্তু থানার একজন এসআই উল্টো টালবাহানা করে জিডি না নিয়ে বরং তাকে চাপ দেন হেফাজতের নাম উল্লেখ না করতে। অপু এই এসআই এর বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জেলা এসপির কাছে অভিযোগ করলে ওই এসআইকেই নির্দেশ দেয়া হয় জিডি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে।
‘সুনামগঞ্জের এসপি সাহেবের আলাপ থেকে স্পষ্ট, উক্ত এসআই সে সময় অপুর সাধারণ ডায়েরি নিতে চায়নি। পরে এসপি সাহেবের নির্দেশে সে সাধারন ডায়েরি নিতে বাধ্য হয়। যেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মামনুল হক ও হেফাজতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন সেখানে একজন এসআইয়ের এতো হেফাজত প্রেম কেন? তার এই ভূমিকার জন্য পুলিশের কোনো বিভাগীয় তদন্ত হয়েছিল কিনা?’
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনার যাতে সুষ্ঠু তদন্ত হয় এবং সে ন্যায় বিচার বঞ্চিত না হয় এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেছি।’
অপুকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ‘সচেতন শাল্লাবাসীর’ ব্যানারে সিলেট নগরে মানববন্ধন করা হয়। সেখানে অপুর পরিবারের পক্ষে একই অভিযোগ আনে শাল্লাবাসী।
এর আগে গত ১৭ মার্চ ফেসবুকে মামুনুল হকের সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দিয়ে শাল্লার নোয়াগাওয়ে হিন্দু গ্রামে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় হিন্দুদের শখানেক ঘরে। এই ঘটনার প্রতিবাদেও অপু সোচ্চার ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন:আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার রাতে এ সংক্রান্ত গেজেট সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী হিসেবে মেয়র ঘোষণা করা হয়। এ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ৩ মার্চ তাপস, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ আটজনকে বিবাদী করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। গত ২৭ মার্চ সেই ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল।
ইশরাক হোসেন প্রয়াত বিএনপি নেতা ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে।
সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ, ১ম আদালত, ঢাকা এ দায়েরকৃত নির্বাচনি মামলা নং-১৫/২০২০ এর ২৭ মার্চ ২০২৫ তারিখের আদেশে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে 'নৌকা' প্রতীক এর প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে 'ধানের শীষ' প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করায় এতদ্বারা নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত ১৯৯৩ নং পৃষ্ঠার ১নং কলামের ১নং ক্রমিকের বিপরীতে ২নং কলামে বর্ণিত ‘শেখ ফজলে নূর তাপস’ এর পরিবর্তে ‘ইশরাক হোসেনকে’ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা' এবং ৩নং কলামে বর্ণিত 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ' এর পরিবর্তে 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি' শব্দ ও চিহ্নসমূহ প্রতিস্থাপন করিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে জানান, রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকায় এসে পৌঁছান।
গত শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসও পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন।
অধ্যাপক ইউনূস চারদিনের সরকারি সফরে গত ২১ এপ্রিল কাতারের রাজধানী দোহা যান। পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে গত শুক্রবার সেখান থেকে তিনি সরাসরি রোমে পৌঁছান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতে আটক থাকা দেশের যেকোনো নাগরিককে ফিরিয়ে আনবে। তবে, তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য যাচাই করা প্রয়োজন।
তিনি আজ বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতে আটক থাকা কেউ যদি বাংলাদেশি নাগরিক বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের ফিরিয়ে আনব।’
হোসেন বলেন, তবে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক কিনা তা অবশ্যই যাচাই করা আবশ্যক।
ভারতে বাংলাদেশিদের আটকের খবর সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কেবল গণমাধ্যমের খবর সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে আমাদের সাথে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি।’
তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক বার্তা পাওয়ার পর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্দীদের জাতীয়তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সত্যাসত্য যাচাই শুরু করবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভারতের বাংলাভাষী কিছু লোক বাংলাদেশিদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সতর্কতার সাথে যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৈধ ভারতীয় ভিসা নিয়ে ভ্রমণকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের হয়রানির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হোসেন বলেন, কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘সুস্পষ্ট সমঝোতা থাকা উচিত- যারা বৈধ ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করছেন, তারা তাদের ভ্রমণ সম্পন্ন করে যথা সময়ে দেশে ফিরে আসবেন।’
‘তবে, যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সংশ্লিষ্ট দেশের অধিকারের মধ্যে পড়ে।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ এখনও ভারত সম্পর্কে কোনো ভ্রমণ পরামর্শ জারি করেনি। তবে, এই মুহূর্তে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে নাগরিকদের ভ্রমণ এড়ানো উচিত।
হোসেন বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ শনিবার আহমেদাবাদ এবং গুজরাটের সুরাটে অভিযানের সময় ১,০২৪ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করার দাবি করেছে।
বরগুনায় এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে দুই শিশুসন্তান বাধা দেওয়ায় তাদের হত্যা মামলায় ইলিয়াস পহলান নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মো. ইলিয়াস পহলান (৩৪) বরগুনা সদর উপজেলার পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রঞ্জু আরা শিপু, আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আহসান হাবীব স্বপন। আইনজীবী রঞ্জু আরা শিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট রাতে বরগুনা সদর উপজেলার ওই নারী তার মেয়ে তাইফা (৩) ও ছেলে হাফিজুলকে (১০) নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ইলিয়াস তাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে পড়েন। বিষয়টি টের পেয়ে বাধা দেন ওই নারী। এ সময় তাইফা ও হাফিজুলের ঘুম ভেঙে গেলে ইলিয়াস ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনজনকেই কুপিয়ে আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় হাফিজুল নিহত হয়, আর বরিশালে নেওয়ার পথে মারা যায় শিশু তাইফা।
তবে গুরুতর আহত ওই নারী দীর্ঘ চিকিৎসার পর প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনার পরই ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়।
তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে ইলয়াস পহলানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দোষী তাকে সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়াও ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছর করে আরও ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দীর্ঘসূত্রতা ও অনিয়ম—এসব বিষয়ে আলোচনার পর সরকার দুটি পিএসসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘পিএসসি নিয়ে সর্বশেষ ক্যাবিনেট মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘসূত্রতা-অনিয়ম—এসব বিষয়ে আলোচনার পর সরকার দুটি পিএসসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পরপরই যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের কাছে ছাত্রদের দাবিগুলো পৌঁছে দিয়েছি। গত সোমবার আন্দোলনকারীদের একটা টিমের সাথে বসার কথা থাকলেও দুঃখজনকভাবে সেটা হয়ে উঠেনি। তবে ছাত্রদের দাবিগুলো আমার পক্ষ থেকে কনসার্ন অথরিটিকে পাঠানো হয়েছে।’
‘বেকারত্ব নিরসনে এখন পর্যন্ত একক মন্ত্রণালয় হিসেবে পুলিশের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় থেকে সর্বোচ্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গিয়েছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। সামনের কয়েকমাসে আরও অন্তত ১০ হাজার নিয়োগ হবে। পিএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অথবা ডিক্টেট করার অথরিটি আমার নেই। আমার দিক থেকে যতটা সম্ভব করছি, সামনেও করে যাব ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘যত কাজই থাকুক না কেন, ছাত্রদের বিষয়গুলো সবসময়ই আমার জন্য প্রথম প্রায়োরিটি থাকে। কুয়েটেও আন্দোলন চরম পর্যায়ে আসার প্রায় ১০ দিন আগেই কুয়েটের একটা প্রতিনিধি দল বাসায় এসেছিল। তাদের দাবি, স্মারকলিপি পরদিনই শিক্ষা উপদেষ্টার হাতে নিজে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছি। নিয়মিত আপডেট রেখেছি, দাবি মেনে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করেছি। ফেসবুকে না বললেই যে কাজ হচ্ছে না, এটা ধরে নেওয়া উচিত না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘টিএসসিতে আন্দোলনরত প্রায় অনেকেই আমার পরিচিত। রাত ৪ বা ৫ টায় সেখানে যাওয়া কতটা শোভন হবে তা ভেবে যাইনি। এছাড়াও শহীদ জসিম ভাইয়ের মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে গিয়েছিলাম পরিবারের সাথে দেখা করতে। ভোর ৫টায় তেমন কাউকে না পেয়ে ফেরত এসেছি। তবে এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আসামিদের জামিনের খবরটি সঠিক নয়। এই কালপ্রিটদের সিআইডিতে রাখা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অফিস শেষেই রাজুতে অনশনরত ভাইদের সাথে দেখা করতে যাবো। এটা মনে রাখতে হবে যে, পিএসসি সাংবিধানিক, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান। আপনাদের দাবিগুলো ইতিমধ্যেই পৌঁছানো হয়েছে। আবারও এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।’
মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেছেন আদালত।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন—হিটু শেখ, তার দুই ছেলে সজীব শেখ, রাতুল শেখ এবং স্ত্রী জাহেদা বেগম।
আজ (রবিবার) সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার শুরু থেকে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকলেও আজ লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার আলোচিত আছিয়া হত্যা মামলার আজ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালতে তিনজন সাক্ষীকে তলব করেছিলেন। বাদীসহ তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
তিনি বলেন, আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আজকের সাক্ষীদের জেরা করেছেন। আগামীকাল এ মামলার ৩, ৪ ও ৫ নম্বর সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।
গত ১ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় ভুক্তভোগী শিশু আছিয়া। ৬ মার্চ বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ওই শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে চিকিসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা ৮ মার্চ বাদী হয়ে ৪ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চালু হচ্ছে কার্গো ফ্লাইট। রোববার সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট উড়াল দেবে স্পেনের উদ্দেশে। এর মাধ্যমে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো শুরু হবে পণ্য পরিবহন।
সিলেট থেকে বিভিন্ন পণ্য ইউরোপ, আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে এখানকার বিমানবন্দরে কার্গো টার্মিনাল না থাকায় ঢাকা থেকে পণ্য রপ্তানি করতে হতো ব্যবসায়ীদের। তাই সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে কার্গো টার্মিনাল স্থাপন ও ফ্লাইট চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ হওয়ার সুযোগে সিলেটের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের এই দাবিটি পূরণ হতে যাচ্ছে।
সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট শুরু হওয়াকে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে যাওয়া হিসেবে দেখছেন এখানকার রপ্তানিকারকরা। তবে ফ্লাইট চালু হলেও প্যাংকিং হাউস না থাকায় এখনই ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সিলেটে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।
ওসমানী বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ও বসানো হয়েছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বাজারের জন্য আধুনিক মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইউডিএস) যুক্ত রয়েছে এতে। ১০০ টন ধারণক্ষমতার ওসমানীর কার্গো টার্মিনালের ২০২২ সাল থেকেই পণ্য পরিবহনের জন্য প্রস্তুত ছিল, তবে নানা কারণে এতদিন তা চালু হয়নি। অবশেষে রোববার স্পেনের ইনডিটেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ওসমানী থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু হবে।
গ্যালিস্টার ইনফিনিট অ্যাভিয়েশনের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির পুরো বিষয় তত্ত্বাবধান করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সংশ্লিষ্টরা জানান, কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা কার্যক্রমের নিরাপত্তা দেবে বেবিচক। আর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এতদিন ভারতের পেট্রাপোল ও গেদে স্থলবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির (ট্রান্সশিপমেন্ট) যে সুবিধা বাংলাদেশ পেত, গত ৮ এপ্রিল তা বাতিল করে দিল্লি। এরপর সড়কপথে দিল্লি বিমনবন্দর হয়ে আকাশপথে কার্গো পরিবহনের বিকল্প হিসেবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জালালাবাদ ভেজিটেবল অ্যান্ড ফিশ এক্সপোর্ট গ্রুপের সাবেক সভাপতি হিজকিল গুলজার বলেন, ওসমানী থেকে কার্গো ফ্লাইট এ অঞ্চলের রপ্তানিকারকদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। আমরা দীর্ঘদিন থেকে এ দাবি জানিয়ে আসছি। এটি চালুর মাধ্যমে সিলেটের রপ্তানিকারকদের নতুন সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। এর ফলে সিলেটের পান, সাতকরা, লেবু, মাছসহ কিছু পণ্য রপ্তানি আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে কেবল দেশের ব্যবসায়ীরা নয়, ভারতের সেভেন সিস্টার্সের ব্যবসায়ীরাও এই বিমানবন্দর থেকে সুবিধা নিতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ জানান, ঢাকার পর ওসমানীতে দ্বিতীয় কার্গো স্টেশন প্রস্তুত করা হয়েছে। শুরুতে ইউরোপের কয়েকটি দেশে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় সুবিধা যোগ হলে সিলেট থেকেই স্থানীয় পণ্য রপ্তানিও সম্ভব হবে উল্লেখ করে হাফিজ আহমদ বলেন, তবে এখনই তা সম্ভব নয়। কারণ সিলেটের প্রধান রপ্তানি পণ্য শাক-সবজি, যা দ্রুত পচনশীল। এ ধরনের পণ্য রপ্তানিতে আরএ-থ্রি প্রটোকল ছাড়াও প্রয়োজন আধুনিক প্যাকিং হাউস।
জানা যায়, রোববার ওসমানী থেকে কার্গো ফ্লাইট উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, সচিব নাসরীন জাহান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এবং মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
মন্তব্য