× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Art from discarded coffee
google_news print-icon

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে-দেয়া-কফি-থেকে-আর্ট
১৯৮৭ সালে ইতালির মানতুয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন গিলিয়া। বোলোগনার আকাদেমিয়া অব ফাইন আর্টস থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করার পর পেশা হিসেবে আঁকাআঁকিকেই বেছে নেন।

চিত্রকর্ম রং এবং কালি দিয়ে তৈরি হয় এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু মানুষ থাকে যারা একটু বেশিই মেধাবী হয়। তাদেরই একজন ইতালিয়ান আর্টিস্ট গিলিয়া বারনার্দেল্লি।

গিলিয়া একদিন কফির মগে চুমুক দিতে দিতে ড্রয়িং করছিলেন। আচমকা হাতের খোঁচা লেগে কফিভর্তি মগটি ক্যানভাসের ওপর পড়ে যায়। যেভাবে কফিটি ক্যানভাসে গড়িয়ে গিয়েছিল তা দেখে গিলিয়ার মাথায় এক ভাবনা উদয় হয়। তিনি তার চামচটিকে ব্রাশ হিসেবে ব্যবহার করে বাদামি রঙের পানীয়টি দিয়ে চিত্রকর্ম তৈরি করে ফেলেন। আর এভাবেই তার কফি আর্টের যাত্রা শুরু।

গিলিয়া বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম সেরা কফি আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত।

১৯৮৭ সালে ইতালির মানতুয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন গিলিয়া। বোলোগনার আকাদেমিয়া অব ফাইন আর্টস থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করার পর পেশা হিসেবে আঁকাআঁকিকেই বেছে নেন।

ইনস্টাগ্রামে তার এই কফি আর্ট তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। কফি আর্ট করতে গিলিয়া বিভিন্ন বিষয় থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে থাকেন। এর মধ্যে আছে জনপ্রিয় চিত্রকর্ম, স্থাপত্য কিংবা মানবশরীর।

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

ফেলে দেয়া কফি থেকে আর্ট

আরও পড়ুন:
লি চাচ্চুর পশুপাখি
ওরা এখন বুড়ো-বুড়ি
আলু আর গাজরের ভূত
ক্যারল চাচ্চুর রোবট
বারবারা খালামনির পশুপাখি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
If A League cannot stop the procession arrange against the police Home Advisor

আ. লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আ. লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের মিছিলের বিষয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে তিনি বলেন, দুজনকে এ্ররই মধ্যে আটক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে মিছিল না করতে পারে সেজন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

পুলিশ সদস্যরা বদলির পরও পূর্বের জায়গায় থাকছেন এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বদলির পরও আগের জায়গায় রয়েছেন এমন নির্দিষ্ট (স্পেসেফিক) তথ্য পেলে তাদের বিষয়ে ব্যস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বদলির ক্ষেত্রে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের একই বিভাগে রাখা যায় কিনা সেটি ভাবছি। পরিবার থেকে দূরে থাকলে তাদের ছুটির সংখ্যা কমে যায়। তারা মাত্র ২০ দিন ছুটি পায়। অন্যান্য ছুটি পায় ২০ দিন, যা অনেকক্ষেত্রে আমরা দিতেও পারি না। এজন্য আমরা চেষ্টা করব নিচের পর্যায়ে একই বিভাগে দেওয়ার জন্য।

পুলিশ সদস্যদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা দেখা ও উন্নত করার জন্য থানা পরিদর্শন করছেন বলে জানান উপদেষ্টা।

মন্তব্য

বিনোদন
Not a school market

বিদ্যালয় নয় যেন পানের বাজার!

বিদ্যালয় নয় যেন পানের বাজার!

বরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় শুক্রবার খেকুয়ানী বাজার ইজারাদার শাহ আলম শিকদার পানের বাজার বসিয়েছেন। এতে ব্যবসায়ীদের রেখে যাওয়া ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ চরম আকারে বিঘ্নিত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দ্রুত পানের বাজার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১০ সালে তিনতলা সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হয়। ওই বিদ্যালয়ে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ওই বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় খেকুয়ানী বাজার ইজারাদার শাহ আলম শিকদার শুক্রবার পানের বাজার বসিয়েছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলেও তিনি তা মানছেন না। এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় শতাধিক ব্যবসায়ী পান বিক্রি করছেন। এতে বিদ্যালয় ময়লা-আবর্জনা ও ধুলাবালিতে একাকার হয়ে আছে।

বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন, আব্দুল্লাহ, সুমাইয়া জানায়, বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় ইজারাদার শাহ আলম সিকদার প্রতি শুক্রবার বাজার বসান। ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা বিদ্যালয়ে ফেলে রেখে যায়। ওই ময়লা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইজারাদার ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় তারা।

পান ব্যবসায়ী সোবাহান মিয়া বলেন, ‘আমরা ইচ্ছা করে বিদ্যালয়ের নিচতলায় পান বিক্রি করতে বসিনি। ইজারাদার আমাদেরকে পান বিক্রি করতে বসিয়েছেন।’

স্থানীয় এইচ এম দেলোয়ার মুন্সি বলেন, ইজারাদারকে এমন কাজের প্রতিবাদ করেছি কিন্তু তিনি তা মানছেন না। ইজারাদার প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের নিচতলায় পানের বাজার বসিয়েছেন। বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর রাখতে ইজারাদারকে অবশ্যই পানের বাজার বসানো থেকে বিরত রাখতে হবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন স্বপন বলেন, বাজার ইজারাদার শাহ আলম সিকদার প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের নিচতলায় পানের বাজার বসিয়েছেন। তাকে বাজার বসাতে নিষেধ করেছিলাম কিন্তু তিনি তা শোনেননি।

তিনি আরও বলেন, পান ব্যবসায়ীদের রেখে যাওয়া ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে শিক্ষার্থীরা নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারাই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

খেকুয়ানী বাজার ইজারাদার শাহ আলম সিকদার বলেন, বাজারে সরকারি জায়গা না থাকায় এখানে বাজার বসানো হয়েছে। বিগত দিনে এ বিদ্যালয়ের নিচতলায় পানের বাজার বসত, তাই আমিও বসিয়েছি।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় কোনো মতেই বাজার বসানো যাবে না। যারা বাজার বসিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

বিনোদন
The submission of reports of the Womens Affairs Reform Commission to the chief adviser is this afternoon 

প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা আজ বিকেলে 

প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা আজ বিকেলে 

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন আজ বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন আজ বিকেল সাড়ে চারটায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।’

সরকার ২০২৪ সালের নভেম্বরে নারী পক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরিন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।

কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সরকার ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর, স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, শ্রমিকদের অধিকার এবং নারী বিষয়ক আরও চারটি নতুন সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয়।

মন্তব্য

বিনোদন
The body of the missing baby in Chittagong drain was recovered from the canal

চট্টগ্রামের ড্রেনে নিখোঁজ শিশুর লাশ চাকতাই খাল থেকে উদ্ধার

চট্টগ্রামের ড্রেনে নিখোঁজ শিশুর লাশ চাকতাই খাল থেকে উদ্ধার চট্টগ্রামে ড্রেনে নিখোঁজ শিশুর লাশ চাকতাই খাল থেকে উদ্ধার

চট্টগ্রামে রিকশা উল্টে সড়কের পাশের ড্রেনে পড়ে যাওয়ার ১৫ ঘণ্টা পরচাকতাই খাল থেকে ৬ মাস বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিখোঁজ হওয়া স্থানের চার কিলোমিটার দূরে শনিবার স্থানীয়রা শিশু শেরিশের লাশ দেখতে পায় বলে জানায় পুলিশ।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারীঢ পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশটি উদ্ধার করেছে।

এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে নগরীর চকবাজারের কাপাসগোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা ওই শিশুর মাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে দ্রত সেখানে যান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি উদ্ধার অভিযানে নির্দেশনা দেন।

মেয়র বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারই প্রধান কাজ। ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দল ও চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজ করছেন। রিকশাযাত্রী মায়ের কোল থেকে ছয় মাসের শিশু নালায় ছিটকে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। তখন পানিতে স্রোত ছিল।

মন্তব্য

বিনোদন
The risk of arsenic in paddy is increasing

ধানে আর্সেনিকের ঝুঁকি বাড়ছে

ধানে আর্সেনিকের ঝুঁকি বাড়ছে

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি ধানে আর্সেনিকের পরিমাণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে। এই গবেষণা অনুসারে, দীর্ঘমেয়াদে অজৈব আর্সেনিকের সংস্পর্শে ফুসফুস, মূত্রাশয় ও ত্বকের ক্যানসার হতে পারে। এ ছাড়া হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

আর্সেনিক যখন অক্সিজেন বা সালফারের মতো অ-কার্বন উপাদানগুলোর সঙ্গে মিলিত হয়, তখন অজৈব আর্সেনিক যৌগ তৈরি হয়। এটি সামুদ্রিক খাবারে পাওয়া জৈব আর্সেনিক যৌগের চেয়ে অনেক বেশি বিষাক্ত। নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির মেইলম্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও চায়নিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের এই গবেষণা দেখিয়েছে, তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে ধানে অজৈব আর্সেনিকের ঘনত্ব বাড়ে।

গবেষকদের মতে, চাল বিশ্বের অনেক অঞ্চলের প্রধান খাদ্য। এই পরিবর্তন ২০৫০ সালের মধ্যে এশিয়ার জনগণের ক্যানসার, হৃদরোগ ও আর্সেনিক সম্পর্কিত অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার প্রকোপ যথেষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে।

মেইলম্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের পরিবেশগত স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান গবেষক লুইস জিস্কা বলেন, দক্ষিণ চীন এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো অঞ্চলের চাল এরই মধ্যে আর্সেনিক ও ক্যানসারের ঝুঁকির একটি বড় উৎস। তিনি বলেন, উচ্চ আর্সেনিকের মাত্রা সম্ভবত মাটিতে রাসায়নিক উপাদানের জলবায়ু-সম্পর্কিত পরিবর্তনের কারণে ঘটে। এতে ধানের দানায় আর্সেনিক সহজে শোষিত হয়।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, বর্তমান নীতি অপরিবর্তিত থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প স্তরের চেয়ে ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি বাড়বে। এটি প্যারিস চুক্তিতে উল্লিখিত ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এই সীমা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো প্রশমিত করতে সহায়তা করবে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ রেকর্ড ৪২০ পার্টস পার মিলিয়নে (পিপিএম) পৌঁছেছে। এটি প্রাক-শিল্প স্তরের চেয়ে দেড়গুণ বেশি এবং গত ৮ লাখ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গবেষকরা তাদের গবেষণায় ১০ বছর ধরে মাঠে ২৮টি ধানের জাতের ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের প্রভাব পরিমাপ করেছেন। তারা ‘ফ্রি-এয়ার কার্বন ডাইঅক্সাইড এনরিচমেন্ট’ নামক একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন, যেখানে নির্দিষ্ট এলাকায় কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা বাড়ানো হয়েছিল। এ ছাড়া উন্নত মডেলিং কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে।

এই গবেষণা বিজ্ঞানীদের সাতটি এশীয় দেশ- বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের ধানে অজৈব আর্সেনিকের মাত্রা ও ক্যানসারের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি অনুমান করতে সাহায্য করেছে।

জিস্কা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, তাপমাত্রা ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের যুগপৎ বৃদ্ধি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে জন্মানো একাধিক ধানের প্রজাতিতে অজৈব আর্সেনিককে সমন্বিতভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই বৃদ্ধি চাল গ্রহণকারী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যগত পরিণতি পরিবর্তন করবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, এখন পর্যন্ত ধানে আর্সেনিক জমার ওপর কার্বন ডাইঅক্সাইড ও তাপমাত্রা বাড়ার সম্মিলিত প্রভাব বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করা হয়নি।

গবেষকরা ভবিষ্যতে আর্সেনিকের সংস্পর্শ কমাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন। জিস্কা বলেন, এর মধ্যে আর্সেনিকের শোষণ কমানোর জন্য উদ্ভিদ প্রজনন, ধানখেতে মাটির উন্নত ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণের উন্নত পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত।

আফ্রিকা রিসার্চ সেন্টারের সহযোগী গবেষক জিওফ্রে ওনাগা বলেছেন, চাল ও জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে আর্সেনিকের সংযোগ বিশ্বাসযোগ্য। তিনি উল্লেখ করেন, রান্নার সময় চালে আর্সেনিকের মাত্রা কমাতে একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি বলেন, গবেষণা দেখিয়েছে, রান্নার জন্য ব্যবহৃত চালের দানার অনুপাত, ধোয়ার জন্য ব্যবহৃত পানির পরিমাণ, রান্নার পাত্রের ধরন ও রান্নার প্রক্রিয়ার দৈর্ঘ্য রান্না করা চালে আর্সেনিকের মাত্রা কমাতে পারে।

ওনাগা বলেন, ধান চাষের সময় সিলিকন, ফসফরাস ও লোহার মতো খনিজ পুষ্টি উপাদান যোগ করলে ফসলে আর্সেনিকের শোষণ কমিয়ে ধানের দানায় আর্সেনিকের জমা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যেতে পারে। তিনি বলেন, ফসফরাস ও সিলিকন আর্সেনিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তাদের পরিপূরক বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। ফলস্বরূপ এই খনিজ পুষ্টির বাহ্যিক প্রয়োগ মাটি থেকে আর্সেনিক শোষণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান বিজ্ঞানী জওহর আলী বলেন, গবেষকরা উন্নত আর্সেনিক সহনশীল ধানের জাত তৈরি করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে উন্নত ও উচ্চফলনশীল প্রজাতি রয়েছে, যা ধানের দানায় আর্সেনিক কমিয়েছে। তবে নতুন আর্সেনিকমুক্ত ধানের জাত তৈরি ও মূলধারায় আনতে তহবিলের প্রয়োজন।’

সূত্র: আজকের পত্রিকা

মন্তব্য

বিনোদন
The trial started from time to time on 5 benches of the High Court

হাইকোর্টের ৪৮টি বেঞ্চে কাল থেকে বিচারকাজ শুরু

হাইকোর্টের ৪৮টি বেঞ্চে কাল থেকে বিচারকাজ শুরু

ঈদুল ফিতরের ছুটি, সরকারি ও অবকাশকালীন ছুটি শেষে কাল রোববার ২০ এপ্রিল থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ৪৮টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এর মধ্যে রয়েছে ৩০টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ১৮টি একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

প্রধান বিচারপতি নির্দেশিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ২০২৫ সালের ৯৪ নং বেঞ্চ গঠন বিধিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল রোববার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট হতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য নিম্নে উল্লেখিত বেঞ্চসমূহ গঠন করা হইল।

দুজন করে বিচারপতির সমন্বয়ে যে ৩০টি (ডিভিশন) দ্বৈত বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে সেগুলো হলো: বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. মনসুর আলমের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি জে. বি. এম. হাসান ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি মোঃ তৌফিক ইনামের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এ, কে, এম, জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি এ, এস, এম, আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজা'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম ও বিচারপতি কে, এম, ইমরুল কায়েশের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি কে, এম, হাফিজুল আলম ও বিচারপতি মো. আব্দুল মান্নানের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের ডিভিশন বেঞ্চ।

১৮টি একক হাইকোর্ট বেঞ্চে যারা বিচারকাজ পরিচালনা করবেন তারা হলেন: বিচারপতি আবদুর রব, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, বিচারপতি ফরিদ আহমেদ, বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের, বিচারপতি মাহমুদুল হক, বিচারপতি জাফর আহমেদ, বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ, বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী, বিচারপতি মো. সেলিম, বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বিচারপতি মো. খায়রুল আলম, বিচারপতি আহমেদ সোহেল, বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, বিচারপতি মোঃ আতাবুল্লাহ, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি এ, কে, এম রবিউল হাসান।

এসব বেঞ্চ সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। গত ২০ মার্চ থেকে ছুটি ও অবকাশের কারণে সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে, এ সময়ে জরুরি মামলা সংক্রান্ত বিষয়াদি নিষ্পত্তি হয় অবকাশকালীন বেঞ্চ ও আপিল বিভাগে চেম্বার কোর্টে।

মন্তব্য

বিনোদন
Government will increase manpower in Bangladesh missions Tawhid

বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার: তৌহিদ

বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার: তৌহিদ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস ডে-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ বলেছেন, লাখ লাখ প্রবাসীদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে বিশেষ করে কনস্যুলেট জেনারেল অফিসগুলোতে জনবল বৃদ্ধিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা মানবসম্পদ বাড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছি, বিশেষ করে আমাদের কনস্যুলার পদগুলোতে। আশা করছি এই প্রচেষ্টায় অন্তত আংশিক সাফল্য পাব।’

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস ডে-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।

হোসেন বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তার প্রায় ৮০ শতাংশ তাদের অভিবাসনের আগে দেশের ভেতরে এবিষয়ক কার্যক্রম থেকে আসে, বাকি ২০ শতাংশ অভিবাসী দেশে ঘটে।

‘তবুও, বিদেশে আমাদের মিশনগুলোকে সম্পূর্ণ ১০০ শতাংশ সমস্যার সমাধান করতে হবে’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বিদেশী মিশনের উপর চাপ কমাতে দেশে মূল কারণগুলো সমাধানের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, সীমিত জনবল এবং লজিস্টিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ মিশনগুলো বিশ্বব্যাপী এক কোটিরও বেশি প্রবাসীকে পরিষেবা প্রদান করছে।

সৌদি আরবের উদাহরণ টেনে উপদেষ্টা বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, একটি মিশনের ৫০ জন কর্মকর্তা কীভাবে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের সমস্যা সামাল দিতে পারেন?

অভিবাসী শ্রমিকরা দেশ ছাড়ার আগেই যে পদ্ধতিগত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা কমাতে ঢাকায় উদ্যোগ নিতে তিনি আহ্বান জানান।

কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও বেশি সহানুভূতি জানানোর আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রবাসীরা ইচ্ছা করে মিশনে (কনস্যুলেট) যান না। বেশিরভাগই মরিয়া হয়ে আসেন। যদিও কয়েকজন ভালো আচরণ নাও করতে পারে, তবে বেশিরভাগের সহায়তার গুরুতর প্রয়োজন হয়।

তিনি বিদেশে মিশনের কর্মকর্তাদের দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের সেবা করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সংকটের কথাও উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানকে ‘দ্বিধাগ্রস্ততা’ হিসেবে অবহিত করেন।

তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে এই অগ্রগতির পথে একটি বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেন।

উপদেষ্টা বলেন, আরাকান আর্মি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত নয়, তাই আনুষ্ঠানিক আলোচনা সম্ভব নয়। তবুও, কোনও না কোনওভাবে তাদের সম্পৃক্ত না করে সংকটের সমাধান অসম্ভব।’

হোসেন জোর দিয়ে বলেন, স্বীকৃতি না পেলেও রাখাইনে আরাকান আর্মির উপস্থিতি ও প্রভাব রোহিঙ্গা সংকটের যেকোনো সামগ্রিক সমাধানে তাদের ভূমিকা অনিবার্য করে তুলেছে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে স্মরণ করে প্রতি বছর ১৮ এপ্রিল ফরেন সার্ভিস দিবস পালন করা হয়, তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে কর্মরত একদল সাহসী বাঙালি কূটনীতিক প্রথম বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং বেশ কয়েকজন সাবেক বাংলাদেশী কূটনীতিকও দিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

তাদের সাহসী পদক্ষেপ জাতির স্বাধীনতার দিকে যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল এবং যা একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি স্থাপন করেছে।

এই দিনটি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের স্বার্থকে এগিয়ে নিতে দেশের কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের সাহস, প্রতিশ্রুতি ও পেশাগত উৎকর্ষতার প্রতীক।

মন্তব্য

p
উপরে