× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

আড়াল ভাঙলেন বাঁধন

আড়াল-ভাঙলেন--বাঁধন
ছবি: সংগৃহীত

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার আজমেরী হক বাঁধন। মূলত লাক্স চ্যানেল আই প্ল্যাটফর্ম থেকেই শোবিজে যাত্রা শুরু হয় তার। শুরুতে নাটকে বেশ ব্যস্ত সময় কাটালেও পরবর্তীতে বিয়ে, বিচ্ছেদ ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে অভিনয় অনেকটাই কমিয়ে দেন তিনি। তবে বহুল আলোচিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমা দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান এই লাক্সকন্যা। এই সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে কেবল সেরা অভিনেত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারই অর্জন করেননি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মুগ্ধতা ছড়ান তিনি। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার সুবাদে টালিউড এমনকি বলিউডের সিনেমাতেও কাজ করার সুযোগ মেলে তার। গত বছর জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দাবির পাশে দাঁড়িয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন বাঁধন।

এরপর হঠাৎ করেই দেশের আলোচিত এই মডেল অভিনেত্রী আড়াল হয়ে যান। অনেক দিন ধরেই কোথাও দেখা যায়নি তাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এক ধরনের নিখোঁজই ছিলেন সবসময় বেশ সরব থাকা এ তারকা। এমনকি ঈদের সময়েও কোনো পোস্ট করতে দেখা যায়নি তাকে। অবশেষে বিরতি কাটিয়ে বাংলা নববর্ষের দিন আড়াল ভাঙেন এই লাক্সকন্যা। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাঁধন বললেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকায় শান্তিতে ছিলেন তিনি। ফেসবুকে বাঁধন লেখেন, ‘হ্যালো, পৃথিবী! শুভ নববর্ষ! আমি এখনো এখানেই আছি। এখনো আমার মায়ের বাড়িতেই থাকি, আমার বাবার গাড়ি চালাই। বাইরে জীবন সহজ, কিন্তু ভেতরে নীরবে ভাঙাগড়া চলে। আমি কিছুদিনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে এসেছিলাম এবং সত্যি বলতে, এটি আমাকে শান্তি এনে দিয়েছে।’

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘আমার নিজস্ব একটি মন আছে। আমি যে পথে হেঁটেছি, তা সহজ ছিল না, তবে এটি একান্তই আমার। আমি আমার ভুলগুলো স্বীকার করি এবং আমার এই বেড়ে ওঠাকে সম্মান করি। আমার প্রতিটি সাফল্য নিজে অর্জন করেছি। অন্যের মন্তব্য আমাকে বিচলিত করে না। আমি জানি আমি কে এবং এখানে পৌঁছানোর জন্য কী করেছি।’ সবশেষে বাঁধন লেখেন, ‘কোনো অনুশোচনা নেই। প্রতিটি অভিজ্ঞতা একটি শিক্ষা। প্রতিটি পদক্ষেপ গল্পের অংশ, যা আজকের আমাকে তৈরি করেছে। সামনেও এই দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যাব।’

লাখো লাখো অনুরাগীর ভালোবাসায় সিক্ত বাঁধন ব্যক্তি জীবনে এখনো একা। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাশরুর হোসেন সিদ্দিকীকে বিয়ে করেছিলেন বাঁধন। দাম্পত্যজীবনের মাত্র চার বছর পরই ভেঙে যায় সেই সংসার। এরপর থেকে একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকে নিয়ে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে থাকছেন এই অভিনেত্রী। গত বছর ২৮ অক্টোবর ৪০ বসন্ত পার করে ৪১-এ পা রেখেছেন তিনি। জীবনের এই সময়ে তিনি এসে উপলব্ধি করছেন জীবনে একজন সঙ্গীর খুব প্রয়োজন।

বাঁধন জানিয়েছেন, তার মেয়ে সায়রা চায় মায়ের জীবনে কেউ আসুক। সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি নিয়ে সোজা মুখ খুললেন তিনি। জানালেন, আবার নতুন করে, নতুনভাবে পথচলা শুরু করতে চান অভিনেত্রী। মেয়ের বায়না তুলে ধরে বাঁধন বললেন, ‘আমার মেয়ে তো এখন বড় হয়েছে। মায়ের সবকিছুই একা করতে হয়, কষ্ট করতে হয়, যুদ্ধ করতে হয়- ও বুঝছে। সবকিছু দেখে মেয়ের মনে হয়েছে, মায়ের একজন সঙ্গী দরকার।’

বাঁধন বললেন, ‘এখন অনেক বেশি মনে করি যে একজন জীবনসঙ্গী থাকতেই পারে।’ কেমন জীবনসঙ্গী চান, সে বিষয়ে বলেন, ‘জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে আমাকে আমার মতো যে গ্রহণ করবে, সেই জিনিসটা খুব জরুরি। জীবনসঙ্গী শব্দটা যে বুঝবে, সে রকম কেউ যদি আসে, নিঃসন্দেহে সঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে পথচলা যাবে।’

চল্লিশের কোটায় এসেও বিয়ের পরিকল্পনা সামনে আনার কারণ অকপটে তুলে ধরেছেন বাঁধন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেছে তো, এখন অন্য রকম একটা জীবন লাভ করছি। নতুন জীবনে মনে হয়েছে, একজন সঙ্গী থাকতেই পারে। সঙ্গী ছাড়া তো মানুষ থাকতে পারে না। আমার পুরো জীবনটা সঙ্গী ছাড়াই কেটেছে, অলমোস্ট।’

মন্তব্য

বিনোদন
Katie Perry in a weird experience

বিচিত্র অভিজ্ঞতায় কেটি পেরি

বিচিত্র অভিজ্ঞতায় কেটি পেরি কেটি পেরি। ছবি : সংগৃহীত

ব্যতিক্রমী কাজের জন্য নানা সময়ে খবরের শিরোনাম হন মার্কিন পপতারকা কেটি পেরি। এবার সফলভাবে মহাকাশ ঘুরে পৃথিবীতে ফিরে এসে আবারও জন্ম দিলেন আলোচনার। আলোচিত এই সফরে তার সঙ্গী ছিলেন আরও পাঁচ নারী। বিশিষ্ট মার্কিন ইন্টারনেট উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারী জেফ বেজোসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি নিউ শেপার্ড মহাকাশ রকেটে চড়ে মহাকাশের নিম্ন কক্ষপথে ভ্রমণ করেছেন জনপ্রিয় এই পপতারকা। তিনি এবং তার সঙ্গীরা সফলভাবে মহাকাশ ঘুরে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন।

বাংলাদেশ সময় সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম টেক্সাসের ব্লু অরিজিনের উড্ডয়নক্ষেত্র থেকে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি নিউ শেপার্ড মহাকাশযানে করে মহাকাশের নিম্ন কক্ষপথে ভ্রমণ করেন তারা।

বিবিসির প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, কেটি পেরি ছাড়াও মহাকাশযানে ছিলেন জেফ বেজোসের বাগ্‌দত্তা লরেন সানচেজ, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের সাংবাদিক গেইল কিং, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশ প্রকৌশলী আয়েশা বোয়ে, নাগরিক অধিকারকর্মী আমান্ডা নুয়েন ও চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ান্ন ফ্লিন।

মহাকাশে থাকাকালীন তারা প্রায় তিন মিনিটের মতো ওজনহীনতায় মহাকাশে ভেসে বেড়ান। এ ছাড়া ক্যাপসুলের বড় জানালা থেকে পৃথিবীর দৃশ্য উপভোগ করেন। এরপর তিনটি প্যারাসুট ব্যবহার করে ক্রু ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে ফিরে আসে। রকেটটি পৃথিবী থেকে সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায়, যেখানে ক্যাপসুলটি ‘কারমান লাইন’ অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে কার্যত মহাকাশে প্রবেশ করেন নারীরা। আন্তর্জাতিকভাবে মহাকাশের সীমানা হিসেবে স্বীকৃত ‘কারমান লাইন’।

তবে মহাকাশে ভ্রমণকারী এ পাঁচজন নারীকে নভোচারী হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করবে না যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফএএ, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও মার্কিন সামরিক বাহিনী। কারণ, তাদের সবারই নভোচারী হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার অভাব রয়েছে।

মহাকাশ ভ্রমণ শেষে ফিরে এসে কেটি পেরি জানান, তিনি এখন জীবনের সঙ্গে অত্যন্ত সংযুক্ত এবং ভালোবাসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অনুভব করছেন। এ অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি একটি গান লিখবেন। তিনি আরও জানান, এটি ছিল সর্বোচ্চ উচ্চতা। এটি অজানার কাছে আত্মসমর্পণ। এ যাত্রা অনেক বেশি উপভোগ করেছেন জানিয়ে কেটি পেরি আরও জানান, এর চেয়ে ভালো কিছুর জন্য তিনি আর সুপারিশ করতে পারেন না।

মন্তব্য

সিদ্ধান্তে অনড় সামান্থা

সিদ্ধান্তে অনড় সামান্থা সামান্থা রুথ প্রভু। ছবি : সংগৃহীত

চলতে চলতে হঠাৎ ছন্দ পতন শুরু হয় দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর। বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায় তার। কাজ থেকেও বিরতি নিতে হয় তাকে। তবে গত বছরের শুরু থেকে শারীরিক অবস্থা অনেকটাই অনুকূলে আসায় আবার কাজে ফেরেন এই তারকা। তবে সবকিছুর বিষয়ে সতর্ক থেকে ভেবে-চিন্তে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন এখন থেকে আর নামমাত্র কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপনে পারফর্ম করবেন না তিনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগে পণ্যটি ব্যবহার করবেন, ভালো মনে হলে তারপর বিজ্ঞাপন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পথে এটি তার অন্যতম পদক্ষেপ। সিনেমা এবং ব্যক্তিগত জীবনেও একই সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে চলছেন সামান্থা।

নিজের নীতিগত সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন এই দক্ষিণী অভিনেত্রী। সামান্থার কাছে একের পর এক সিনেমা ও বিজ্ঞাপনচিত্রের প্রস্তাব আসতে শুরু করে। তবে সেসবের বেশির ভাগই তিনি বিনা দ্বিধায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। সম্প্রতি ফুড ফার্মারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামান্থা জানান, শুধু নীতিগত কারণেই গত বছর তিনি ১৫টি বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ব্র্যান্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি বেশ সতর্ক। এমন কোনো পণ্যের প্রচারে তিনি অংশ নেন না, যা সমাজে বা তার তরুণ ভক্তদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সামান্থা বলেন, ‘আমি এমন ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে চাই, যেগুলো মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। বিজ্ঞাপনের আগে আমি ভালোভাবে যাচাই করি- পণ্যটি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য কি না।’

তার এই সিদ্ধান্তের ফলে যদিও তিনি বড় অঙ্কের আয়ের সুযোগ হারিয়েছেন, তবু এতে তার কোনো আফসোস নেই। তিনি আরও বলেন, ‘বিশের দশকে যখন এই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখি, তখন মনে করা হতো কে কতটা ব্যস্ত, কত ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, সেটাই সাফল্যের মাপকাঠি। এখন আমি বুঝি, মানটাই আসল। বড় বড় বহুজাতিক সংস্থার প্রস্তাব এলেও আমি শুধু তখনই রাজি হই, যদি সেটি আমার মূল্যবোধের সঙ্গে মেলে।’

সামান্থাকে সবশেষ দেখা গেছে রাজ ও ডিক পরিচালিত অ্যাকশন সিরিজ ‘সিটাডেল : হানি বানিতে’। শোনা যাচ্ছে, তাদের পরবর্তী প্রজেক্ট ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান-৩’এও থাকছেন সামান্থা।

মন্তব্য

বিনোদন
Samira Mahi responded to criticism

সমালোচনার জবাব দিলেন সামিরা মাহি

সমালোচনার জবাব দিলেন সামিরা মাহি সামিরা খান মাহি। ছবি : সংগৃহীত

গত কয়েক বছর রোজার ঈদে টিভি নাটকে বেশি দেখা মিলেছে নতুন প্রজন্মের চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীদের। এই তালিকায় অভিনেত্রীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন উঠতি তারকা সামিরা খান মাহি। তবে এবার ঈদে সেভাবে দেখা যায়নি সামিরা খান মাহিকে। এর মধ্যে একটি নাটক প্রচারে এলেও তা ছিল প্রায় দুই বছর আগে নির্মাণ করা। সেদিক থেকে ঈদুল ফিতরটা তার জন্য ছিল না বলা চলে। এর মধ্যে হঠাৎ এক ভিডিও ঘিরে সমালোচনার মুখে পড়েন ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী। সামিরা খান মাহি সম্প্রতি তিনি ইয়ামাহার একটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে নৃত্য পরিবেশনা করেছিলেন। সেখানে তার পরিহিত পোশাক এবং নাচের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলছিলেন, ‘নিজেকে যেন বলিউড অভিনেত্রী মনে করছেন!’ আবার কেউ বা বলছেন, তিনি এখন নাটকে অভিনয় করেন। একটা দর্শকমহলও তৈরি হয়েছে তার।

এসব বিষয়ে তার আরও অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত ছিল। ‘এত ট্রান্সপারেন্ট জামা পরেন কীভাবে তিনি’, এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এসব সমালোচনা নিয়ে খানিক বিরক্তও অভিনেত্রী নিজে। জানালেন, ভিডিওটি যিনি পাবলিশ করেছেন তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন। সামিরা খান মাহি বলেন, ‘আমি ইভেন্টে অংশ নিয়ে এক ঘণ্টার মতো পারফর্ম করি। পুরো নাচের মধ্যে অনেক মুদ্রা ছিল কিন্তু সেখান থেকে কিছু অংশ নিয়ে সেটা জুম করে কেউ পাবলিশ করেছে, যেটা দেখতেও খুব বাজে লেগেছে। এমনটা করা মোটেও উচিত না।’

সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে তো এটা কিছুদিন পরপরই হয়ে আসছে। এটা নিয়ে আমার আর কিছুই বলার নেই। অনেকের কাছে মনে হয়েছে যে, আমি মনে হয় নাচের কস্টিউমের ভিতরে কিছুই পরিনি। কিন্তু তা না। নাচের কস্টিউমের ভিতরে আমি আরও দুটি জামা পরেছিলাম। যেহেতু কস্টিউম একদম বডি ফিটিং সে জন্য হয়তো এমন লেগেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের তো নিজস্ব কস্টিউম ডিজাইনার কিংবা নিজস্ব মেকআপ আর্টিস্ট নেই যে চাইলেই নিজের মতো করে সবকিছু করতে পারব। আমি এই কস্টিউম পেয়েছি জাস্ট রিহার্সেলের সময় তাও এক দিন আগে। এটা পরিবর্তন করার মতো যথেষ্ট সময়ও ছিল না।’

মন্তব্য

বিনোদন
Bollywood again in Bollywood

আবারও বলিউডে কীর্তি সুরেশ

আবারও বলিউডে কীর্তি সুরেশ

কীর্তি সুরেশ- দক্ষিণী সিনে-ইন্ডাস্ট্রির মিষ্টি এই অভিনেত্রী তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ভাষায় উপহার দিয়েছেন বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা। শুধু তাই নয়, বলিউডেও তার আত্মপ্রকাশ ছিল চোখে পড়ার মতো। বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে ‘বেবীজন’ সিনেমায় তার অভিনয় ছিল বেশ প্রশংসনীয়। তবে এবার আবারও বলিউডে কাজ করতে চলেছেন এই সুন্দরী। বলিউড অভিনেতা ও প্রযোজক রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে পারিবারিক বিনোদনধর্মী একটি ছবিতে কাজ করতে চলেছেন এ অভিনেত্রী। তবে এখনো ছবির গল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

ভারতীয় গণমাধ্যম ফিল্ম ফেয়ার সূত্রে জানা যায়, কীর্তি সম্প্রতি তার অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শক ও নির্মাতাদের নজর কাড়ছেন। বেশ কিছুদিন ধরে রাজকুমার রাও এবং তার স্ত্রী পত্রলেখা নতুন স্ক্রিপ্ট ও ট্যালেন্ট খুঁজছিলেন নতুন সিনেমা বানানোর জন্য। আর এই নতুন প্রজেক্টে তারা কীর্তিকে বাছাই করে নেন। যেখানে কীর্তি সুরেশকে দেখা যাবে রাজকুমার রাওয়ের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে।

জানা গেছে, এ ছবির গল্প ঘুরপাক খাবে ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। একজন তরুণ পরিচালক এই সিনেমা নির্মাণ করতে চলেছেন এবং চিত্রনাট্যও চূড়ান্ত। তবে এখনো গল্পের নাম চূড়ান্ত হয়নি। এ ছাড়া এখনো নিশ্চিত নয় যে, ছবিটি থিয়েট্রিকাল রিলিজ হবে নাকি সরাসরি ওটিটিতে মুক্তি পাবে, তবে আশা করা যাচ্ছে শিগগির সিনেমাটির চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে।

কীর্তিকে সবশেষ দেখা যায় ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কালিসের পরিচালনায় নির্মিত ‘বেবি জন’ সিনেমায়। যেখানে তিনি বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিতে তাদের পাশাপাশি অভিনয় করেন ওয়ামিকা গাব্বি, সানিয়া মালহোত্রা, জ্যাকি শ্রফসহ আরও অনেকে।

মন্তব্য

একগুচ্ছ নতুন সিনেমায় ববি

একগুচ্ছ নতুন সিনেমায় ববি ইয়ামিন হক ববি। ছবি : সংগৃহীত

এস কে নিলয়ের ‘বউ’ সিনেমার কাজ শেষ হওয়ার আগেই একই পরিচালকের নতুন আরেকটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হলেন চিত্রনায়িকা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ইয়ামিন হক ববি। নতুন এই সিনেমার নাম দেওয়া হয়েছে দিওয়ানা। অচিরেই বউ সিনেমার ৩টি গানের কাজ শেষ হলেই ক্যামেরা ক্লোজ করবেন নির্মাতা। আর এরপরই দিওয়ানার কাজ শুরু করবেন বলে পরিচালক নিলয়। তিনি জানান, ছবির কাহিনি লিখছেন দেলোয়ার হোসেন দিল। এটি শহুরে গল্প। এ কারণে রাজধানীতে হবে দৃশ্যধারণ। ববির বিপরীতে কে অভিনয় করবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নিলয় বলেন, “ববিকে নিয়ে ‘বউ’ সিনেমার কাজ করছি। তার সঙ্গে আমার প্রথম কাজ ছিল এটি। সহযোগিতাপরায়ণ একজন শিল্পী। আমার পরবর্তী ‘দিওয়ানা’ সিনেমার জন্য তাকেই মানানসই মনে হয়েছে। এ কারণে তাকে নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। তার বিপরীতে নায়ক হিসেবে পরিচিত একজন মুখই থাকছেন। নামটি এখনই প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। চমক হিসেবে থাকুক। শিগগিরই সিনেমার কাজ শুরু করব। তখনই নামটি সবাই জেনে যাবেন।”

নতুন কাজ নিয়ে চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি বলেন, ‘দিওয়ানা’ সিনেমার বিষয়ে কথা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে কাজ করব। বেশ কিছুদিন আগেই ‘বেইমান’ সিনেমার শুটিং করেছি। ‘বউ’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেব। এরপর বদিউল আলম খোকনের পরিচালনায় ‘তছনছ’ সিনেমার শুটিং শুরু করব। দেশের বাইরে আরও একটি সিনেমার কথা হচ্ছে। বলা চলে কাজের মধ্যেই আছি। অভিনয় নিয়েই থাকতে চাই।

অভিনয়ের বাইরে প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ববি। অভিনয়ের পাশাপাশি আর্থিক নিরাপত্তার জন্য শিল্পীসত্তার বাইরে একজন শিল্পীর অনেক মাধ্যমে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বলে মনে করেন এ নায়িকা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একজন শিল্পী সবসময়ই শিল্পী। তবে এ শিল্পীসত্তার বাইরে তাকে অনেক মাধ্যমে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একটা মানুষের অনেক কোয়ালিটি থাকতে পারে। যদি কেউ ব্যবসা করে কিংবা অন্য কোনো পেশার সঙ্গে জড়িত হয় তাতে সমস্যার কিছু নেই। এতে একজন শিল্পীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বাড়ে। তবে ফোকাসটা অভিনয়ের ওপরই হওয়া উচিত। আমি নিজেও ব্যবসা করি। কিন্তু আমার মূল ফোকাস অভিনয়।’

মন্তব্য

বিনোদন
Miss Earth is in prison for one month under the detention law

আটকাদেশ আইনে ‘মিস আর্থ’ এক মাসের জন্য কারাগারে

আটকাদেশ আইনে ‘মিস আর্থ’ এক মাসের জন্য কারাগারে ছবি: সংগৃহীত

আটকাদেশ আইনে এক মাসের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে ‘মিস আর্থ’ বাংলাদেশ বিজয়ী অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে।

আটকাদেশ আইনে সরকার কোনো ব্যক্তিকে আদালতের আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা বন্দি করতে পারে। এই ধরনের আইন সাধারণত জননিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োগ করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ডিবি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কাজ থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে