এই প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা পার্থ শেখ ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। গত ঈদে তারা একটি কাজ একসঙ্গে করতে পেরেছিলেন। নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর পার্থ ও তানিয়া বৃষ্টি দুজনেই বেশ ভালো সাড়া পান। তবে ঈদ শেষে পার্থ শেখ ও তানিয়া বৃষ্টি আবারও একসঙ্গে নাটকে কাজ শুরু করেছেন। এবার তারা মেহরাব জাহিদের রচনা ও এই প্রজন্মের মেধাবী নাট্যনির্মাতা সোহেল রানা ইমনের পরিচালনায় ‘এই শহরে মেঘেরা একা’ নাটকে অভিনয় করেছেন। গত রবি ও সোমবার রাজধানীর উত্তরার দোলনচাঁপা শুটিং ও তার আশপাশের এলাকায় নাটকটির দৃশ্য ধারণের কাজ শেষ হয়েছে। ‘বিন্দুভিশন’-িএর প্রযোজনায় নাটকটি প্রযোজনা করেছেন আফরিনা রহমান। পরিচালক সোহেল রানা ইমন জানান, নাটকটি একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারের পর ইউটিউবে প্রচারে আসবে।
‘নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে পার্থ শেখ বলেন, ‘তানিয়া বৃষ্টি একজন দুর্দান্ত পারফর্মার। তার সঙ্গে কাজ করার পূর্বে জেনেছি যে, ক্যামেরার সামনে অভিনয়ে অনবদ্য তিনি। ইমন ভাইয়ের নির্দেশনায় আমরা দুজন এবারই প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছি। বৃষ্টি সম্পর্কে আমি অনেক আগে থেকেই অবগত। আমাদের বেশ কয়েকটি কাজ করা হবে হবে বলেও করা হয়ে উঠছিল না। অবশেষে একটি কাজ ঈদে প্রচারে এল। ইমন ভাইয়েরটা শেষ করেছি। সামনে আরও দুটি কাজ আছে দুজন ভিন্ন পরিচালকের। এই শহরে ‘মেঘেরা একা’র গল্পটা রোমান্টিক। কিন্তু শেষে কষ্ট আছে। আমি আর বৃষ্টিসহ অন্যান্য যারা আছেন সবাই মিলে একটি ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছি।
তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘এই নাটকে আমি দীপা নামক একটি অন্ধ মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। গল্পটা সুন্দর, ভালোবাসার গল্প। পার্থও কাজ যখন দেখেছি তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল তারসঙ্গে কাজ করার। কারণ নতুন যারা অভিনয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে পার্থ খুউব ভালো করছে। সত্যি বলতে কী আমরা একসঙ্গে কাজ করার আগে দুজন দুজন সম্পর্কে জেনে নিয়েছি। যে কারণে আমাদের কাজের রসায়নটা এরই মধ্যে বেশ জমে উঠেছে। ইমন ভাইয়ের কাজটা প্রথম কাজের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রচারে এলে দর্শকের ভীষণ ভালো লাগবে।’
ভারতীয় সেলিব্রেটিদের মধ্যে এ সময়ের আলোচিত একটি নাম নোরা ফাতেহি। এরই মধ্যে বলিউডের নতুন আইটেমকন্যা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। যদিও এ তকমা তার এখন পছন্দ নয়। বরং আইটেম গানের বদলে নায়িকা হিসেবে অভিনয়ে মনোনিবেশের আভাস দিয়েছেন এ হার্টথ্রব তারকা। পাশাপাশি অভিনেত্রী ও গায়িকা হিসেবেও নিজেকে মেলে ধরছেন নোরা। একের পর এক সিনেমায় যেমন অভিনয় করছেন, তেমনি নিজের সলো গানও আনছেন প্রকাশ্যে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী বলিউডের প্রতি গানে অভিনয়ের জন্য ২ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন নোরা। তবে তারকাখ্যাতির এই পথটা মরোক্কান বংশোদ্ভূত নোরার জন্য খুব সহজ ছিল না। এমনকি বলিউডে কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে তিনি যখন প্রথম ভারতে আসেন তখন এই তারকার কাছে মাত্র ৫ হাজার টাকা ছিল।
মুম্বাইয়ে তার প্রথম দিনগুলোতে চরম কষ্ট এবং প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। বেঁচে থাকার জন্য একটি হুক্কা বারে কাজ করতেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের সংগ্রামের কথা স্মরণ করে বলিউড লাইফকে নোরা বলেন, ‘মানুষ আমার প্রতি সদয় ছিল না। অডিশনের সময় ধমক দেওয়া, উপহাস করা এমনকি ‘তোমার দেশে ফিরে যাও’- এভাবেও আমার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আমার জন্য হিন্দি শেখা ছিল বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। তারা আমাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করত। এমনও হয়েছে, হতাশায় আমি রিকশায় বসে চিৎকার করতাম।’
এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও নোরা তার কাজের প্রতি মনোযোগী ছিলেন। পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে তিনি সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন। সে দিনগুলোর কথা স্মরণ করে ‘দিলবার’খ্যাত এ তারকা বলেন, ‘আমি অন্যসব মেয়ের মতো বাইরে মেলামেশা বা পার্টি করতাম না। আমার কোনো প্রেমিকও ছিল না। আমি প্রতিদিন ঘরে নিজেকে বন্দি করে রাখতাম, ভাষা শিখতাম, টিভি দেখতাম এবং অনুশীলন করতাম।’
২০১৪ সালে ‘রোর: টাইগার্স অব দ্য সুন্দরবনস’ সিনেমার মধ্য দিয়ে স্বপ্নের বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক করেন নোরা। কিন্তু তার সাফল্য আসে চার্টবাস্টার ‘দিলবার’ গানের মাধ্যমে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নোরা দর্শক থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির সবার থেকে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেন।
আতঙ্কে দিন কাটছে বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকার। গত বছরের শুরু থেকেই খুনের হুমকিতে বিপর্যস্ত বলিউড! প্রথমে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে সলমন খানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি আসে। এমনকি গোলাগুলি হয় ভাইজানখ্যাত সালমান খানের বাড়ির সামনেও। অক্টোবর মাসে সালমান ঘনিষ্ঠ বাবা সিদ্দিককে খুন করে ভাইজানকে খোলা হুমকি দেয় বিষ্ণোই গ্যাং। তার পরই গত নভেম্বর মাসে শাহরুখ-সালমানকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য মুম্বাই পুলিশের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জোড়া হুমকি ফোন আসে। আবার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, বান্দ্রায় নিজের বাসভবনেই হামলা হয় সাইফ আলি খানের ওপর। এবার খুনের হুমকি টাইগার শ্রফকে।
বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার মুম্বাই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে আচমকাই এক ফোন আসে। যেখানে দাবি করা হয়, ২ লাখ টাকার বিনিময়ে টাইগার শ্রফকে মেরে ফেলার ‘সুপারিশ’ দেওয়া হয়েছে তাকে। এমন হুমকির ফোন আসায় ঘুম উড়ে যায় পুলিশ প্রশাসনের। কারণ গত বছরই ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে আসা বলিউড তারকাদের উদ্দেশে ঘন ঘন হুমকি ফোন, চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিল প্রশাসনের কপালে!
কে বা কারা বরাত দিয়েছে টাইগারকে খুনের জন্য? প্রাথমিকভাবে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ফোনটি আদতে পাঞ্জাব থেকে এসেছিল। অভিযুক্তের নাম মনীশ কুমার সুজিন্দর সিং। ৩৫ বছর বয়সি সেই ব্যক্তিই দাবি করেন, তাকে নাকি ২ লাখ টাকার অস্ত্র দিয়ে জ্যাকি শ্রফ পুত্রের খুনের বরাত দেওয়া হয়েছে। ফোন আসার পরই টাইগার শ্রফের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি ভুয়ো দাবি করেছেন। তবে গল্প ফেঁদে ছাড় পাননি তিনি।
সংশ্লিষ্ট ঘটনায় খর থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। প্রথমে পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় মুম্বাই পুলিশের তরফে। তারপর ভুয়ো তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। সূত্রের খবর, এরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুম্বাই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ধৃতকে। মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার নিমিত গোয়েল জানান, ‘একটি এফআইআর দায়ের করেছে। ইতোমধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এই হুমকি সম্পূর্ণ ভুয়ো, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে ওই ব্যক্তি মনগড়া গল্প শুনিয়েছিলেন পুলিশকে।’
বলিউডের সিনিয়র অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। এক সময়ের জনপ্রিয় ও ব্যস্ত এই তারকা বর্তমানে অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও নানা সময়ে নানা ইস্যুতে খবরের শিরোনাম হন। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমেও সরব থাকেন বছরজুড়ে। নিজের স্টাইল ও গ্ল্যামার দিয়ে দর্শকদের নজর কাড়েন ‘গাদার’খ্যাত এই অভিনেত্রী। বিশেষ করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই আলোচনার জন্ম দেন ৪৯ বছর বয়যী আমিশা। বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই করলেও অভিনেত্রী এখনো গাঁটছড়া বাঁধেননি। তবে এবার দুবাইতে ছুটি কাটাতে গিয়ে কিছু নতুন ছবি সামনে আনেন আমিশা। আর তা থেকেই এবার সৃষ্টি হলো নানা জল্পনা। যেখানে সবুজ মনোকিনিতে নজর কাড়েন অভিনেত্রী।
ছবি ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের প্রশ্ন, ‘তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা?’ কারণ, সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আমিশার হাতে একটি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম, খোলা চুলে, মাথায় টুপি ও চোখে সানগ্লাসে ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়েছেন। তবে বিশেষভাবে চোখে পড়েছে তার পেট, যা দেখে কেউ কেউ ‘বেবি বাম্প’ বলে দাবি করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা লাগছে নাকি ভুল?’ আবার অন্য একজন লিখেছেন, ‘হে ভগবান, বিয়ে ছাড়াই অন্তঃসত্ত্বা?’- এ ধরনের নানা মন্তব্যে এখন আমিশাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় হচ্ছে।
যদিও এসব গুঞ্জন নিয়ে মুখ খোলেননি আমিশা। তবে মাঝে কিছুদিন জল্পনা ওঠে, নির্বাণ নামের ১৯ বছরের ছোট এক যুবকের প্রেমে মজেছেন এই অভিনেত্রী। এর আগে তাদের যুগলবন্দি এক ছবিতে দেখা যায়, আমিশাকে বাহুডোরে আগলে রেখেছেন নির্বাণ। ছবিটি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমার ডার্লিংয়ের সঙ্গে সুন্দর একটা সন্ধ্যা।’ পাল্টা নির্বাণও লেখেন ‘ডার্লিং’।
১৯৭৫ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন আমিশা। অভিনয় জীবনে হিন্দি ও তেলেগু দুই ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করেছেন। সবশেষ গত বছর ‘তওবা তেরা জ্বালওয়া’ ছবিতে দেখা যায় আমিশাকে। অভিনয় জীবনে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘কাহো না পেয়ার হ্যা’, ‘ইয়ে জিন্দেগি কা সফর’, ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘ওম শান্তি ওম’ এর মতো ব্যবসা সফল সিনেমা। ক্যারিয়ারের সোনালি দিনে একাধিক বলিউড অভিনেতা সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়েছেন কিন্তু পরিণয় হয়নি।ো
দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি আধুনিক নারীদের জন্য প্রিমিয়াম সুগন্ধির ব্র্যান্ড ভেনেসার নতুন অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করলেন অভিনেত্রী। এ সহযোগিতা ভেনেসার যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যার মূল লক্ষ্য হলো নারীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগানো এবং তাদের অনুপ্রাণিত করা। কিয়ারা আদভানির মোহনীয় ব্যক্তিত্ব, সাবলীল উপস্থিতি এবং তার খাঁটি আবেগের সঙ্গে ভেনেসার দর্শন পুরোপুরি মিলে যায়। এই জুটি নারীর জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে বলে মনে করছে ব্র্যান্ড ভেনেসা।
এর আগে ভেনেসার ইতিহাসে বলিউড তারকা কারিনা কাপুর খান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন। তার সময়ে ব্র্যান্ডটি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিল। এবার কিয়ারা আদভানির হাত ধরে ভেনেসা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে চায়। কারিনার পর কিয়ারা এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং তিনি ব্র্যান্ডের বার্তাকে আরও শক্তিশালীভাবে তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভেনেসা তার ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অনন্য সংমিশ্রণের মাধ্যমে নারীর জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। এ সহযোগিতা শুধু একটি ব্র্যান্ড ও তারকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের ব্যক্তিত্বের উদযাপনের একটি প্রতীক। কিয়ারার জনপ্রিয়তা ও ভেনেসার গুণমান একসঙ্গে মিলে একটি নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছে।
কিয়ারা আদভানি বলিউডে তার স্বতন্ত্র যাত্রার জন্য পরিচিত মুখ। তিনি যেভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন, তা আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ভেনেসা যে ব্র্যান্ডটি নারীর ব্যক্তিত্ব ও রুচিকে উদযাপন করে, তার সঙ্গে কিয়ারা আদভানির এ সংযোগ একেবারে স্বাভাবিক। কিয়ারা আদভানি বলেন, সুগন্ধি কেবল একটি গন্ধ নয়; বরং এটি তার ব্যক্তিত্বের একটি অংশ। তিনি বলেন, দিনের বেলা আমি ফ্রেশ ও ফ্লোরাল গন্ধ পছন্দ করি। আর সন্ধ্যায় আমার পছন্দ উষ্ণ অ্যাম্বার নোটের মিশ্রণ। এ সহযোগিতার মাধ্যমে ভেনেসা এমন একটি সুগন্ধি সংগ্রহ আনতে চায়, যা আধুনিক নারীর বহুমুখী জীবনযাপন ও পছন্দের সঙ্গে মানানসই হবে।
ভেনেসার এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বাজারে একটি বিশেষ ফ্র্যাগরেন্স কালেকশন উপস্থাপন করতে চায়। এ সংগ্রহটি আধুনিক নারীর জীবনের বিভিন্ন দিক- তাদের শক্তি, সৌন্দর্য এবং স্বতন্ত্রতাকে প্রতিফলিত করবে। কিয়ারা আদভানির সঙ্গে এই পার্টনারশিপ নারীর জন্য আত্মবিশ্বাসের এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। কিয়ারা নিজে এই নতুন ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত।
অভিনেত্রী বলেন, ভেনেসার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমার কাছে আত্মবিশ্বাস মানে নিজের সত্যিকারের রূপকে গ্রহণ করা, নিজের শক্তি ও দুর্বলতাকে ভালোবাসা এবং সততার সঙ্গে জীবনযাপন করা। ভেনেসা এই মূল্যবোধকে উৎসাহিত করে, আর আমি এতে বিশ্বাসী।
রোজার ঈদের সিনেমার রেশ এখনো কাটেনি। এবার ঈদে ৬টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয় সপ্তাহ পর তৃতীয় সপ্তাহও প্রায় শেষের পথে। তবুও জমজমাট ঈদের সিনেমাগুলো। বিশেষ করে শাকিব-ইধিকা পালের বরবাদ, সিয়াম-বুবলীর জংলি, আফরান নিশো-তমা মির্জা অভিনীত দাগি সিনেমা এখনো বেশ দর্শক টানছে। তবে শতাধিক প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে রীতিমতো দেশজুড়ে ঝড় তুলে দিয়েছে মেহেদী হাসান পরিচালিত শাকিব খানের বরবাদ সিনেমাটি। এখনো ছবিটির টিকিট পেতে বেগ পেতে হচ্ছে দর্শককে। যদিও কোন ছবি কতটা ব্যবসা করছে তার সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি, তবে দু-একটি ছবি প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা করতে পারছে না। মুক্তির শুরুতেই বেশ কয়েকটি সিনেমা হল থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে শাকিব খান ও কলকাতার দর্শনা বণিক অভিনীত অন্তরাত্মা সিনেমাাটি। অন্যদিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলেও খারাপ যাচ্ছে না আবদুন নূর সজল ও নুসরাত ফারিয়া অভিনীত জ্বীন-৩ ছবিটি।
এদিকে এরই মধ্যে আবারও ঈদের আমেজ সিনেমাপাড়ায়। সিনেমাপাড়া ও বিভিন্ন পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ঈদেও মুক্তির তালিকায় রয়েছে প্রায় এক ডজন ছবি। শুরু হয়ে গেছে আসন্ন ঈদুল আজহার সিনেমা মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি। এখন পর্যন্ত এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমার মধ্যে রয়েছে তাণ্ডব, নীলচক্র, ইনসাফ, টগর, পিনিক, এশা মার্ডার : কর্মফল ইত্যাদি।
এর মধ্যে পিনিক, নীলচক্রসহ কয়েকটি ছবির শুটিং, ডাবিং এডিটিং শেষ করে মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। তবে কোরবানি ঈদের অন্যরকম প্রত্যাশিত ছবি শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমাটির শুটিং চলছে পুরোদমে। এর মধ্য দিয়ে ‘তুফান’ সাফল্যের পর আবারও পর্দায় জুটি হয়ে আসছেন রায়হান রাফী ও শাকিব খান। সিনেমাটিতে শাকিব খান ছাড়াও একটি বিশেষ চরিত্রে (সাংবাদিক) থাকছেন জয়া আহসান। নায়কের বিপরীতে কে থাকছেন, তা এখনো প্রকাশ্যে আনেননি নির্মাতা। তবে বিশেষ সূত্র মতে এই সিনেমার নায়িকা হিসেবে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে ছোটপর্দার প্রিয় মুখ সাবিলা নূরকেই।
নির্মাতা রায়হান রাফী বলেন, ‘আমাদের শুটিংয়ের কাজ পুরোদমে চলছে। তুফান-এর পর দর্শক এখানে অন্যরকম এক শাকিব খানকে দেখতে পাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখেনি। আর কোরবানি ঈদ আমার জন্য খুব লাকি। সেই ধারাবাহিকতায় ‘তাণ্ডব’ কোরবানি ঈদেই আসছে। আর নায়িকা কে সেটা সময় হলেই সবাই জানতে পারবেন। তবে চমক আছে এটুকু বলতে পারি।’
এবার ঈদুল আজহায় দেখা যেতে পারে আরিফিন শুভকেও। দীর্ঘ বছর ঈদে তার দেখা মেলেনি, তবে এবার স্বরূপে হাজির হবেন তিনি। তার অভিনীত ‘নীলচক্র’ সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। মিঠু খান পরিচালিত এ সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে।
ঈদ ঘিরে নির্মিত হচ্ছে আরেক সিনেমা ‘ইনসাফ’। ঈদুল ফিতরে মুক্তির লক্ষ্যে নির্মাণ শুরু করলেও এখন এটি ঈদুল আজহাকে টার্গেট করেই এগোচ্ছে। ইতোমধ্যে সিনেমাটির ৯৫ ভাগ শুটিং শেষ বলে জানা গেছে। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে অনেক দিন পর পর্দায় ফিরছেন শরিফুল রাজ। তার সঙ্গে পর্দায় হাজির হবেন মোশাররফ করিমও। সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ।
ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে পারে আদর আজাদ অভিনীত ‘পিনিক’। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এ সিনেমায় আদরের বিপরীতে দেখা যাবে শবনম বুবলীকে।
আলোক হাসান পরিচালিত ‘টগর’ রয়েছে মুক্তির তালিকায়। এই সিনেমায় জুটি হিসেবে দেখা যাবে আদর আজাদ ও পূজা চেরী জুটিকে। এরই মধ্যে সিনেমাটির মুক্তি ঘিরে প্রচারণা শুরু করা হয়েছে।
ঈদুল আজহায় মুক্তির তালিকায় রয়েছে ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমাটিও। আসন্ন ঈদে মুক্তির লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এর নির্মাতা সানী সানোয়ার। মার্ডার মিস্ট্রি গল্পে এই সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন, পূজা ক্রুজ প্রমুখ।
আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে কোনো আইনজীবী পাবেন না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার একমাত্র সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতকে এসব কথা বলেন গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম।
এর আগে বিদেশি কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল করে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবি করেছেন বলে মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি মডেল থানায় প্রতারণার এ মামলায় অভিযোগে করা হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে ওই কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বাদী হয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে মেঘনা আলম ও তার পরিচিত সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। এই মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলায় মেঘনার সহযোগী সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সকালে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে বলেন, এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এবং তার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় একটি গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকে মেঘনা, সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি অংশ নেন। বৈঠকে কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করা। আসামিদের এই কার্যক্রমের কারণে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা পেনাল কোডের ৪২০, ৩৮৫ ও ১০৯ ধারার অপরাধ।
আদালতে শুনানির সময় মেঘনা আলমকে মেঘলা আলম নামে সম্বোধন করার এক পর্যায়ে আসামি তার নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করার জন্য বলেন, আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।
এ সময় বিচারক আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আছেন কিনা জানতে চান। মেঘনা আলম আদালতকে বলেন, আমাদের কোনো আইনজীবী নেই। এরপর তিনি কথা বলতে অনুমতি চান। আদালত অনুমতি দিলে তিনি বলেন, আমার নাম মেঘনা, মেঘলা নয়। সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন যে কেউ চাইলে কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারে? আপনারা কি তার কাছে যেতে পারবেন?
এ পর্যায়ে বিচারক তাকে থামিয়ে দিয়ে মামলা সম্পর্কে কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান। তখন মেঘনা বলেন, আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে কোনো আইনজীবী পাবেন না। বিষয়টি হলো সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার একমাত্র সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। এটা মোটেও সত্য না। এ বিষয়ে আমি ঈসার সঙ্গে কথা বলি। তাকে এসব তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলি। এসব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি শফিকুরের সঙ্গে কথা বলি। এরপরেই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে মেঘনার সহযোগী দেওয়ান সমির আদালতকে বলেন, আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। এটা ভুল তথ্য, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।
এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখান। একই সঙ্গে দেওয়ান সমিরের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া গত ১১ এপ্রিল ভাটারা থানায় করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হন মেঘনার পরিচিত এই ব্যবসায়ী সমির। এই মামলায় ১২ এপ্রিল পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
এদিকে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে মেঘনা আলম বলেন, ‘একমাত্র ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।’ এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরেন।
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে আদালত মেঘনাকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার (ডিটেনশন) আদেশ দেন।
অপরাধে জড়িত থাকলে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে ও সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনার আটকের ঘটনায় শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
এমন প্রেক্ষাপটে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধানের পদ থেকে রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য