সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনও বটে। বর্তমানে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই অধিনায়কের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজে লাগাতে কয়েক বছর আগে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগকারীদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে তাকে দিয়ে বানানো হয় টেলিভিশন বিজ্ঞাপনও।
বিএসইসির এই বিশেষ দূতের নামই এবার জড়িয়ে পড়েছে শেয়ার কারসাজির সঙ্গে।
সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির শেয়ারে কারসাজি করে যে চক্রটি ১৩৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে বলে বিএসইসির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, সেই চক্রের সঙ্গে নাম এসেছে দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানেরও। বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগ কারসাজির ঘটনায় যে সাতটি প্রতিবেদন করেছে, সেখানে কমপক্ষে দুটিতে সাকিবের বিও হিসাবের কথা উল্লেখ আছে। আর কয়েকটির মধ্যে তার মালিকানাধীন কোম্পানি মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের নাম এসেছে।
এসব কারসাজিতে মূল অভিযুক্ত পুঁজিবাজারে বহুল আলোচিত-সমালোচিত মুখ আবুল খায়ের হিরু। সমবায় অধিদপ্তরের প্রথম শ্রেণির এই কর্মকর্তার ব্যবসায়িক পার্টনার সাকিব আল হাসান। যদিও বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তদন্তের পর সাকিবকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তদন্তে প্রথমে তো অনেক নাম আসে। পরে তাদের সঙ্গে কথা বলে কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় কে আসলে জড়িত। তাদের কথা ঠিক হলে তাদের অব্যাহতি দেয়া দেয়া হয়।’
তবে যে তদন্তে সাকিবের নাম এসেছে, সেখানে কারসাজিকারীর সঙ্গে নাম আসা ব্যাক্তিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের একটি সারসংক্ষেপ দেয়া আছে এবং সেটার পরেই কারসাজি ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে জরিমানা করেছে বিএসইসি।
ক্যারেবিয়ান প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান। মঙ্গলবার রাতে এ ব্যাপারে সাকিবের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।
তবে মিরপুর বিসিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের শেয়ার কারসাজি নিয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এটা ক্রিকেটের বিষয় না। এ নিয়ে কিছু বলার নেই আমার।’
তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হিরুর মালিকানাধীন দেশ আইডিয়াল ট্রাস্ট কো-অপারেটিভ লিমিটেড অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট এশিয়ান ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা মুনাফা করে। এই কারসাজির সহযোগী হিসেবে সাকিবের নাম এসেছে। হিরুর মালিকানাধীন এই কোম্পানি যখন শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়েছে, সেখানে অবদান ছিল সাকিবেরও।
এ ছাড়া আবুল খায়েরের বোন কনিকা আফরোজ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের সঙ্গে এক জায়গায় ও আবুল খায়েরের বাবা আবুল কালাম মাতবর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের সঙ্গে দুই জায়গায় সহযোগী হিসেবে সাকিবের নাম পাওয়া যায়।
এসব কারসাজির জন্য বিএসইসি মোট ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। তবে এই তালিকায় ছাড় পেয়েছেন সাকিব।
বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগের চলতি বছরের ২০ জুনের চিঠি থেকে জানা যায়, আবুল খায়েরের মালিকানাধীন দেশ আইডিয়াল ট্রাস্ট কো-অপারেটিভ লিমিটেড এশিয়ান ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবরের মধ্যে এশিয়ান ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে দেশ আইডিয়াল ট্রাস্ট কো-অপারেটিভ লিমিটেড। এ সময় বিমা কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৬৮ টাকা ৬০ পয়সা হয়। এতে তারা মুনাফা করে ৩ কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪২ টাকা। এ সময় তাদের আনরিয়েলাইজড গেইন বা সম্ভাব্য মুনাফা ছিল ৫ কোটি ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকা। পরে আইডিয়াল ট্রাস্ট কো-অপারেটিভকে জরিমানা করা হয়েছে ৭২ লাখ টাকা।
গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনাটি ঘটে হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের নামে। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ৬ জুনের মধ্যে বিমা কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে কাজী সাদিয়া হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট। এ সময় তারা মুনাফা করে ১ কোটি ৮৮ লাখ ২৮ হাজার ১৪ টাকা। এ সময় তাদের আনরিয়েলাইজড গেইন হয় ৫৭ লাখ ২৮ হাজার ৪৯১ টাকা। কারসাজির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পরে কাজী সাদিয়া হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটকে জরিমানা করা হয় ৪২ লাখ টাকা।
২০২১ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ৩ মের মধ্যে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে কাজী সাদিয়া হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট। এ সময় তারা মুনাফা করে (রিয়েলাইজড গেইন) ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৪০৫ টাকা। আর আনরিয়েলাইজড গেইন ছিল ৯৫ লাখ ৫১ হাজার ৭০৫ টাকা। পরে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়েছে ৯৫ লাখ টাকা।
এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার নিয়েও কারসাজি করে চক্রটি। বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগের গত ৬ জুলাইয়ের চিঠি থেকে জানা যায়, হিরুর বোনের খোলা কনিকা আফরোজ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট এই ব্যাংকটির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে। ২০২১ সালের ৫ মে থেকে ২৪ মের মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে কনিকা আফরোজ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট। এ সময় তারা মুনাফা করে (রিয়েলাইজড গেইন) ১৫ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৮ টাকা। আর আনরিয়েলাইজড গেইন হয় ২৩ কোটি ৩৩ লাখ ৮৯ হাজার ৮৭২ টাকা। পরে কনিকা আফরোজ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটকে জরিমানা করা হয় ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
তালিকাভুক্ত ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে হিরুর বাবা আবুল কালাম মাতবর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট। ২০২১ সালের ১৭ মে থেকে ২০ মের মধ্যে ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে আবুল কালাম মাতবর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট। এ সময় তারা মুনাফা করে (রিয়েলাইজড গেইন) ৬ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯২ টাকা। আর আনরিয়েলাইজড গেইন করে ২৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩৫৫ টাকা। পরে আবুল কালাম মাতবর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি।
তালিকাভুক্ত বিডিকমের শেয়ার নিয়ে কারসাজিতেও জড়িত দেশ আইডিয়াল ট্রাস্ট কো-অপারেটিভ। বিএসইসির তথ্য বলছে, ২০২২ সালের ৭ মার্চ থেকে ১০ মার্চের মধ্যে বিডিকমের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে ডিআইটি কো-অপারেটিভ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট। মুনাফা করে (রিয়েলাইজড গেইন) ২ কোটি ৬৫ লাখ ২৬ হাজার ৭৬০ টাকা। এ সময় তাদের আনরিয়েলাইজড গেইন হয় ১৮ কোটি ৯ লাখ টাকা। বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয় ৫৫ লাখ টাকা।
২০২১ সালের ১১ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কারসাজির মাধ্যমে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখে আবুল কালাম মাতবর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট। আর এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি মুনাফা করে (রিয়েলাইজড গেইন) ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩৭ টাকা। আর আনরিয়েলাইজড গেইন দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৩৮ লাখ ১১ হাজার ৬৬ টাকা। কিন্তু তাদের জরিমানা করা হয় ৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়গুলো তো বিএসইসির দেখার কথা। পুরো পুঁজিবাজার এখন জুয়াড়িদের হতে। বিনিয়োগকারীদেরও একটি বিশাল অংশ মনে করেন, ওরা না থাকলে মার্কেটে প্রাণ থাকবে না। দেশের পুঁজিবাজার যখন পড়ে গেছে, তখন জুয়াড়িদের ডেকে চা খাইয়েছে কমিশন।’
আরও পড়ুন:
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য