
৯৯৯-এ কল পেয়ে দিনাজপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেলের তালা ভেঙে মেডিক্যাল পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে পরীক্ষাকেন্দ্রেও পৌঁছে দিয়েছে বাহিনীটি।
দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টির গ্র্যান্ড পুনর্ভবা আবাসিক হোটেলে শুক্রবার সকাল ১০টায় এই ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম আরিফাতুজ্জামান। তিনি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা। দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে শুক্রবার অনুষ্ঠিত এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে বৃহস্পতিবার দিনাজপুর শহরে আসেন তার ভাইয়ের সঙ্গে।
আরিফার ভাই আব্দুর রফিক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে আমরা হোটেলে উঠি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় দেখি ফটক বাইরে থেকে বন্ধ। পরে ম্যানেজারকে কল দেই, তিনি রিসিভ করেননি। বাধ্য হয়ে ৯৯৯-এ কল দেই। পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যায়। আমি ও আমার বোন পুলিশের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, ‘সকাল পৌনে ১০ টার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুজন সরকারকে ৯৯৯ থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয় হোটেল গ্র্যান্ড পুনর্ভবায় এক শিক্ষার্থী আটকা পড়েছে।
‘পরে এএসআই নবী গোপাল রায় হোটেলের সামনে গিয়ে ম্যানেজারকে একাধিকবার ফোন দেয়। কেউ ফোন রিসিভ না করায় হোটেলের মেইন গেটের তালা ভেঙে ৫ তলার ডি-১ নম্বর কক্ষ থেকে ওই মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের মোটরসাইকেল দিয়ে তাকে পরীক্ষাকেন্দ্রে দিয়ে আসা হয়।’

হোটেলে অতিথি রেখে ফটক তালা মারা হলো কেন জানতে চাইলে ম্যানেজার আল আমিন রহমান বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে রাতে ডিউটিরত হোটেল বয়কে ছুটি দেয়া হয়েছে। আমিও মোবাইল সাইল্যান্ট করে ঘুমিয়ে ছিলাম। তাই এই ঘটনা ঘটেছে।’
এম আব্দুর রহিম মেডিক্যালের অধ্যক্ষ মোমেনুল হক বলেন, ‘আরিফাকে নিয়ে কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছায় পুলিশ। আমি তখনই মেয়েটিকে তার নির্ধারিত সিটে পাঠাই। পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই, তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে মেয়েটিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে আনতে পেরেছেন। অন্যথায় মেয়েটির একটি বছর নষ্ট হয়ে যেত।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
+৮৮ ০৯৬০২১১১৮৭৪, +৮৮০২ ৫৫০৫৫২৮৮
+৮৮০২ ৫৫০৫৫২৮৯
news@newsbangla24.com
©নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম