× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Israeli finance ministers resignation
google_news print-icon

ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ

ইসরাইলি-অর্থমন্ত্রীর-পদত্যাগ

ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ পদত্যাগ করেছেন। গতকাল সোমবার তিনি পদত্যাগ করেন। এরমধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ডান পন্থি জোটের মধ্যে উত্তেজনা আরো তীব্র হয়ে উঠল।

স্মোট্রিচের একজন মুখপাত্র বলেছেন, জাতীয়তাবাদী-ধর্মীয় ইহুদি পাওয়ার পার্টির প্রধান ইতামার বেন গাভীরের সরকারে ফিরে আসার পর আরো মন্ত্রী পদের জন্য অনুরোধের প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন অর্থমন্ত্রী।

স্মোট্রিচ এখন ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে তার আসনে ফিরে আসবেন। সেখানে অতি-ডানপন্থি রিলিজিয়াস জায়োনিজম দলের আইন প্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। যার নেতৃত্ব তিনি দিচ্ছেন।

নেসেট সদস্য জভি সুক্কোতকে পুনর্বহাল করা নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভীরের সাথে বিরোধের জেরে এই পদত্যাগপত্র জমা দেন স্মোট্রিচ।

স্মোট্রিচের দল বেন-গাভীরের প্রতি রাজনৈতিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।

এই পদক্ষেপটি ইসরাইলের অতি-ডানপন্থি জোটের মধ্যে হওয়া ভাঙনকে আরো বাড়িয়ে দিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ এবং নীতিমালা নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে এই জোট।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Trump is ready to declare the imposition of tariffs on the Day of Release

‘মুক্তি দিবস’-এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিতে প্রস্তুত ট্রাম্প

‘মুক্তি দিবস’-এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিতে প্রস্তুত ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ‘মুক্তি দিবস’ এর দিন নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিতে প্রস্তুত। তবে তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্বকে এমন এক আক্রমণের সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুমান করতে বাধ্য করেছেন, যা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের সূত্রপাত করতে পারে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ যখন তীব্রতর হচ্ছে, তখন সকলের দৃষ্টি বুধবারের দিকে। ট্রাম্প বলেছেন, বুধবার হবে ‘মুক্তি দিবস’ যা এমন একটি মুহূর্ত যখন তিনি এমন কিছু শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিদেশী পণ্য থেকে মুক্ত করার তার প্রতিশ্রুতি পুরন করবে।

ওয়াল স্ট্রিটের বাজার বন্ধ হওয়ার পর স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সাথে ট্রাম্প তাঁর পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করবেন এবং প্রতিশ্রুতি দেবেন যে তারা আমেরিকাকে অন্যায্য বিদেশি প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করবেন এবং মার্কিন শিল্পের একটি নতুন ‘স্বর্ণযুগ’ তৈরি করবেন।

ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে টার্গেট করা দেশগুলোকে আঘাত করার জন্য পারস্পরিক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রিপাবলিকান বিলিয়নেয়ারের শুল্কের প্রতি দীর্ঘদিনের আকর্ষণ বিদ্যমান। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মুখোমুখি তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, বন্ধু ও শত্রু উভয়ের সাথেই আমেরিকার বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলায় এটিই একমাত্র হাতিয়ার।
তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শুল্ক মার্কিন শিল্পগুলোকে অন্যায্য বিদেশী প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করে। ফেডারেল সরকারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য দেশ থেকে ছাড় দাবি করার জন্য সুবিধা প্রদান করে। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা জোর দিয়ে বলেছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত হারে বিস্তৃত শুল্ক বিপরীতমুখী হতে পারে।

সমালোচকরা বলছেন, আমদানিকারকরা এই খরচ বহন করলে কেবল মার্কিন ভোক্তাদের ওপরই এর প্রভাব পড়বে না, বরং তারা দেশে ও বিদেশে ক্ষতিকর মন্দার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ট্রাম্পের ঘোষণার কয়েকদিন আগে থেকেই বিশ্ববাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে, অন্যদিকে সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকা দেশগুলো আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে।

এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের আমেরিকা এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান এবং কেবল বাণিজ্য নয়, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং প্রায় সবকিছুতেই গভীর ব্যবধানকেও তুলে ধরে।

অন্যান্য দেশগুলো যে ধরনের শুল্ক আরোপ করে তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শুল্ক আরোপিত হবে বলেই তিনি প্রাথমিকভাবে জানান।

সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মার্কিন মিডিয়া জানিয়েছে, তিনি ২০ শতাংশ শুল্ক কমানোর কথাও বিবেচনা করছেন এবং কিছু দেশের ওপর অগ্রাধিকারমূলক আচরণ করা হতে পারে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্প ঘোষণার প্রাক্কালে তার শীর্ষ উপদেষ্টাদের সাথে একটি চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বৈঠক করছেন।

তিনি আরো জানান, বুধবারের ঘোষণার পরে ‘অবিলম্বে’ শুল্ক কার্যকর হবে। অন্যান্য দেশের সাথে আলোচনার জন্য কোনো প্রকার বিলম্ব করা হবে না।

ট্রাম্প জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে বেশ কয়েকটি শুল্ক ঘোষণা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থেকেছেন।

তবে তার পরিকল্পনা বিশ্বজুড়ে মূল্য বৃদ্ধি ও ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটানোর এক ক্ষতিকারক বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডাসহ প্রধান অর্থনীতিগুলো প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

মঙ্গলবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি কানাডার পক্ষ থেকে লড়াইয়ে যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ব্যক্ত করেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ করে আসছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মঙ্গলবার বলেছে, তারা এখনও একটি সমাধান নিয়ে আলোচনা করার আশা করছে তবে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ ও তাদের কাছে রয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ট্রাম্পের সাথে যুক্তরাজ্য-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির জন্য ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ নিয়ে কথা বলেছেন। ভিয়েতনাম মঙ্গলবার বলেছে, তারা ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করার জন্য বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক কমাবে।

মার্চ মাসে চীন সকল পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে বেইজিং প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ শুরু করে। ইইউ এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে তাদের নিজস্ব পদক্ষেপ উন্মোচন করেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Taiwans port and fuel installation

তাইওয়ানের বন্দর এবং জ্বালানি স্থাপনাতে চীনের মহড়া

তাইওয়ানের বন্দর এবং জ্বালানি স্থাপনাতে চীনের মহড়া

চীনের সামরিক বাহিনী বুধবার জানিয়েছে, তারা তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে অনুশীলনের অংশ হিসেবে ’লাইভ-ফায়ার’ মহড়া পরিচালনা করেছে। চীন আরো জানিয়েছে, তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর এবং জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে।

বেইজিং থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

সামরিক মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল শি ই বলেন, পূর্ব চীন সাগরে ’দূরপাল্লার লাইভ-ফায়ার মহড়া’ পরিচালিত হয়েছে। এই মহড়ায় গুরুত্বপূর্ণ বন্দর এবং জ্বালানি সুবিধার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানা হয়েছে এবং কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জিত হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The United States sent 4000 tonnes of food for the Rohingya

যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য ১৭ হাজার টন খাদ্য পাঠিয়েছে

যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য ১৭ হাজার টন খাদ্য পাঠিয়েছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলতি সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের জন্য ১৭ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছে। এসব খাদ্য ইতোমধ্যে চট্রগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।

আমেরিকান কৃষকদের উৎপাদিত এই খাদ্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে দশ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গাকে জরুরি সহায়তা প্রদানের অংশ হিসেবে সরবরাহ করা হবে।

আজ ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অবদান ধারাবাহিক পর্যায়ে রয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে পর্যাপ্ত সাহায্য পৌঁছানো নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দাতা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের বোঝা ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সংস্থান সরবরাহ করতে উৎসাহিত করেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Bus minibus collisions in Chittagong were killed in 12 injured

চট্টগ্রামে বাস-মিনিবাস সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ১২

চট্টগ্রামে বাস-মিনিবাস সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ১২
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস- মিনিবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২।

বুধবার সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস- মিনিবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত হলেন, লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মো. পারভেজের ছেলে মো. জাহেদ, একই এলাকার আলমের ছেলে রিফাত (২৯), পদুয়া ইউনিয়নের চরপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নাজিম, সুখছড়ি মৌলভীপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে জিয়ান হোসেন অপু ও সাতকানিয়া উপজেলার ডেলিপাড়ার ছাত্তারের ছেলে ছিদ্দিক।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘সকালে মহাসড়কে বাস-মিনিবাস সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Dhaka is the 5th polluted city of the world with unhealthy winds

‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে ১৪তম দূষিত শহর ঢাকা

‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে ১৪তম দূষিত শহর ঢাকা
বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টার ৩৫ মিনিটে ১১৮ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী আজ (বুধবার) ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টার ৩৫ মিনিটে ১১৮ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী আজ (বুধবার) ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু এবং ইরাকের বাগদাদ শহরগুলি যথাক্রমে ৩৯৮, ২৩৮ এবং ১৯২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
20 abducted Bangladeshi rescue in Libya 2

লিবিয়ায় ২৩ অপহৃত বাংলাদেশি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

লিবিয়ায় ২৩ অপহৃত বাংলাদেশি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

লিবিয়ার মিসরাতা শহরে ২৩ অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিবিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, লিবিয়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ২৩ জন অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে এবং এ ঘটনায় জড়িত দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। মিসরাতার আল-গিরান থানায় বেশ কয়েকজন বিদেশিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি এই তদন্ত শুরু করে।

তদন্তের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান চিহ্নিত করে পুলিশ সফল অভিযান পরিচালনা করে জিম্মিদের মুক্ত করে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত ব্যক্তি ও গ্রেপ্তারকৃতদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আল-গিরান থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ দূতাবাস মিসরাতার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Hospitals in the capital

টানা ছুটিতে কীভাবে চলছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো

টানা ছুটিতে কীভাবে চলছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিন ছুটিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত ও ব্যাংক বন্ধ থাকলেও হাসপাতাল বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। ঈদের সময় হাসপাতালগুলোতে রোগীরা আদৌ কাঙ্ক্ষিত সেবা পান কিনা এবং কোন প্রক্রিয়ায় এ সেবা দেওয়া হয়—সেসব নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল জাগে।

ঈদের ছুটিতে সরেজমিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই পর্যাপ্ত রোগী আছে। যদিও ছুটির এ সময়ে অধ্যাপক পর্যায়ের চিকিৎসকদের পদচারণা কম; তবে রোগীদের ভাষ্যমতে, মেডিকেল অফিসার ও জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের খোঁজ খবর রাখছেন; আছেন নার্সরাও।

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ঈদের দিন প্রায় ৫০০’র মতো রোগী আছে হাসপাতালটিতে। এদের মধ্যে অনেকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দেওয়া হয়নি ছাড়পত্র। ঈদের সময় জ্যেষ্ঠ ডাক্তাররা আসবেন কিনা বা এই সময়ে কতটুকু চিকিৎসাবা পাবেন—এ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ রোগীদের কপালে।

কিডনিতে পাথর নিয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সোহরাওয়ার্দীতে ভর্তি আছেন হবিগঞ্জ জেলার আহাদ মিয়া (৬০)।

পেশায় দিনমজুর আহাদ বলেন, ‘ডাক্তার কিডনি ওয়াশ করছে। তবে এখনও কিছু পাথর আছে। ডাক্তারই বলছে ঈদ এখানে করতে। এখন পর্যন্ত চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি হয় নাই। ঈদের এ কয়দিনের ছুটিতে ডাক্তার রেগুলার আসছে। দেখি সামনের দিনগুলাতে কী হয়!’

বরগুনা থেকে মূত্রথলিতে টিউমার নিয়ে ২০ দিন ধরে হাসপাতালে আছেন সফেদ হাওলাদার (৭২)। এবারের ঈদ তাকে হাসপাতালেই কাটাতে হয়েছে। চিকিৎসকরা আগামী ৫ এপ্রিল ঈদের ছুটির মধ্যেই তার অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান সফেদের মেয়ে পারভীন আক্তার (৪০)।

তিনি বলেন, ‘ঈদের এ কয়দিনের ছুটিতেও ভালো সেবা পাচ্ছি। তবে বড় ডাক্তার না থাকায় ঈদের পর অপারেশন হবে। আগের থেকে আব্বার অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো।’

ঈদের সময় ডাক্তার-নার্স কম থাকা নিয়ে হাসপাতালটির সিনিয়র স্টাফ নার্স সাধনা হালদার বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের থেকে ঈদের ছুটির এ সময়ে হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কম থাকে। তবে এটা ভাবার কারণ নেই যে, হাসপাতাল নার্স-ডাক্তারশূন্য থাকবে। যেকোনো রোগীর জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য সার্বক্ষণিক একজন ডাক্তার মজুত থাকেন। ঈদের নামাজের সময় বা দুপুরের দিকে অন্য ধর্মাবলম্বী ডাক্তার-নার্সরা ডিউটি করেন। এতে করে সংকটময় কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় না।’

হাসপাতালটির আরেক সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি গোমেজ বলেন, ‘ঈদের আগে অনেকেই নিজ থেকে রিলিজ চায়। তবে সিরিয়াস রোগীদের রিলিজ দেওয়ার সুযোগ নেই। ওষুধ দেওয়া, ড্রেসিং করানো, ইনজেকশন পুশের মতো কাজ রোগী বাসায় নিজে করতে পারবে না, আবার এর জন্য তার সিনিয়র ডাক্তারদেরও প্রয়োজন নেই। হাসপাতালে থাকলে প্রাথমিক সেবাগুলো নার্স ও মেডিকেল অফিসারই নিশ্চিত করতে পারেন।’

রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ঘুরেও দেখা যায় একই দৃশ্য। ঈদের ছুটিতে জরুরি বিভাগে ডাক্তারদের তোড়জোড় থাকলেও ভর্তি থাকা রোগীদের ওয়ার্ডে সিনিয়র ডাক্তারদের আনাগোনা অনেকটাই কম।

হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্ত্রী শিল্পী খাতুন (৪৫) বলেন, ‘ডাক্তারদের সেবায় কোনো গাফলতি নেই। কিন্তু শুনছি ঈদে বড় ডাক্তাররা আসবেন না। তাদের দেখলে মনে জোর পাই। তারা না আসলে একটু ভয় ভয় লাগে।’

গোপালগঞ্জ থেকে আসা আরেক রোগীর আত্মীয় মিশকাত (২৮) বলেন, ‘ছুটির মধ্যে সেবা পাচ্ছি, কিন্তু যা পাচ্ছি সেটি আসলে আশানূরূপ নয়। তবে শুনেছি যেকোনো প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ে ঈদের ছুটিতে সরকারি হাসপাতালে সেবা ভালো হয়।’

জরুরি বিভাগে প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমার্জেন্সি ওটি (জরুরি অস্ত্রোপচারকক্ষ) ও ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে দেশের হাসপাতালগুলোকে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিত করতে ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে ছুটি নির্ধারণ করা হবে।

ঈদের তিন দিন বন্ধ সরকারি হাসপাতালের আউটডোর সেবা। এ ব্যাপারে ছুটি শুরুর আগে কথা হয় বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হকের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন ও পরদিন আউটডোর সেবা বন্ধ থাকবে। তবে এর মানেই এই না রোগী আসলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আউটডোরে রোগী আসলে তাদের জরুরি বিভাগের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা হয়। রোস্টার অনুযায়ী জরুরি বিভাগ চলে।’

‘চেষ্টা থাকে ঈদের দিনটা অন্য ধর্মাবলম্বী ডাক্তারদের দিয়ে জরুরি বিভাগ চালানোর। তবে ঈদের ছুটি হোক বা অন্যকিছু, রোগীদের সেবার ক্ষেত্রে মিস ম্যানেজমেন্ট (অব্যবস্থাপনা) এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে কর্তৃপক্ষের।’

তবে সরকারি হাসপাতালের চেয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে সেবার মান ভালো দাবি করা হলেও ঈদের দিন প্রাইভেট হাসপাতালে ল্যাব কার্যক্রম প্রায়ই বন্ধ পাওয়া যায়—এমন অভিযোগ এসেছে রোগীদের কাছ থেকে।

ভুক্তভোগী এমন একজন রোগী সাব্বির হোসেন (৩৭) বলেন, ‘এক বছর আগে ঈদের দিন অসুস্থ হয়ে পড়ি। সকালে ডাক্তারের পরমার্শ অনুযায়ী ইমার্জেন্সি টেস্টের জন্য কম করে হলেও পাঁচ-ছয়টা হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হয়েছে। পরে আরেক ডাক্তার আত্মীয়ের মাধ্যমে তদবির করে টেস্ট করানো গেছে।’

প্রাইভেট হাসপাতালে ঈদের আগে রোগীদের একরকম জোরপূর্বক রিলিজ দিয়ে দেওয়া হয়, সিনিয়র ডাক্তাররা আসেন না, নার্সদের সেবা পাওয়া যায় না—এমন সব অভিযোগের ব্যাপারে রাজধানীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. খান রাওয়াত বলেন, ‘ঈদের আগে রোগীরা নিজেরাই বাসায় ফেরার জন্য উতলা হয়ে ওঠেন। অনেক সময় ডাক্তারের সাজেশন না মেনেই তারা বাসায় ফিরতে চান। তাদের মনের অবস্থাটাও আমরা বুঝি। কে না চায় নিজ পরিবারের সঙ্গে শান্তিমতো ঈদ করতে! তাই আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে ঈদের আগে খুব সিরিয়াস কিছু না হলে যেসব রোগী রিলিজ চাইছেন, তাদের বাড়ি যেতে দেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, ঈদের দিনে ডাক্তার-নার্স ছাড়া হাসপাতালগুলো বিরানভূমিতে পরিণত হয়। আসলে মোটেও এমন কিছু নয়। নামাজের পর, আবার দুপুরের পর সিনিয়র ডাক্তারা হাসপাতালে এসে ঘুরে যান; রোগীদের খোঁজখবর নেন। সিরিয়াস কিছু হলে মেডিকেল অফিসাররা যখন তখন তাদের (সিনিয়র ডাক্তার) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তাই এটা ভাবার কারণ নেই যে, ঈদ বা ছুটি বলে রোগীদের চিকিৎসাসেবার বিন্দুমাত্র গাফলতি হয়।’

এদিকে, ঈদের দিন হাসপাতালগুলোতে রোগীদের জন্য বিশেষ অ্যাপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকালে রোগীদের সেমাই খাওয়ানো হয়েছে; সঙ্গে ছিল পাউরুটি, কলা, দুধ, ডিম ও বিস্কুট। দুপুরে পোলাওয়ের সঙ্গে মুরগির রোস্ট, রেজালা, ডিম কোরমা ও কোক দেওয়া হয়। অনেক হাসপাতালে রোগীদের খাওয়া শেষে আপেল কিংবা কমলাও দেওয়া হয়। আর রাতে নিয়মানুযায়ী থাকে ভাত, ডাল ও সবজি।

তবে আপ্যায়ন যেমনই হোক, হাসপাতালে ঈদ কাটানো একেবারেই কাম্য নয় রোগীদের। আর বাধ্য হয়ে যদি হাসপাতালে থাকতেই হয়, তাহলে পূর্ণাঙ্গ সেবার প্রত্যাশা রোগী ও তাদের আত্মীয়দের।

মন্তব্য

p
উপরে