× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Murder case against Mumtaz and Tulu in Manikganj
google_news print-icon

মানিকগঞ্জে মমতাজ ও টুলুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মানিকগঞ্জে-মমতাজ-ও-টুলুর-বিরুদ্ধে-হত্যা-মামলা
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। কোলাজ: নিউজবাংলা
সিংগাইরে ২০১৩ সালে হরতালের সমর্থনে বের হওয়া মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ১১ বছর পর এই মামলা করা হয়।

মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মমতাজ বেগম ও দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। সিংগাইরে ২০১৩ সালে হরতালের সমর্থনে বের হওয়া মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ১১ বছর পর এই মামলা করা হয়।

শুক্রবার বিকেলে সিংগাইর থানায় মামলাটি করেন পুলিশের গুলিতে নিহত সিংগাইর পৌরসভার গোবিন্দল এলাকার নাজিম উদ্দিন মোল্লার বাবা মো. মজনু মিয়া।

মামলার অন্য উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, সিংগাইর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম, সিংগাইর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মোহাম্মদ বাশার ও সাবেক মেয়র মীর মো. শাহজাহান।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সিংগাইর উপজেলার হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দল নতুন বাজার এলাকা থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে ইসলামী সমমনা দলগুলো। এ সময় হরতাল সমর্থনের সমর্থনে একটি মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর গুলি চালায়। গুলিতে গোবিন্দল এলাকার নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ চারজন নিহত ও তিনজন আহত হন।

মামলার বাদী মো. মজনু মিয়া বলেন, ‘ওই ঘটনার পর থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। প্রাণের ভয়ে আদালতেও মামলা করতে পারিনি। মামলা করলে আওয়ামী লীগের এমপি ও তাদের লোকজন আমাদের পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

‘এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকায় ছেলের হত্যার বিচারের জন্য মামলা করলাম। আশা করি আমার ছেলে হত্যার সঠিক বিচার পাবো।’

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ওই ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১০৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুই হত্যা মামলা
নীলফামারীতে নূরসহ ২০২জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
ঢাবিতে হামলা: শেখ হাসিনাসহ ৩৯১ জনের নামে মামলা
হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হুঁশিয়ারি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৬
পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাদের গাইবান্ধা ও চট্টগ্রাম থেকে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

এর মধ্যে এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মো. মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩ এবং ৩ নম্বর আসামি মাহাথির হাসানকে (২০) চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।

বিকেলে র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সারওয়ার মাহাথির হাসানের গ্রেপ্তারের বিষয়িটি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-১৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে জনা যায়, পাভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলাম গাইবান্ধায় অবস্থান করছে। পরে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাইবান্ধা সদরের ভবানীপুর গ্রামে অভিযান চলানো হয়। অভিযানে এরশাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বনানী থানার ওসি মো. রাসেল সারওয়ার দৈনিক বাংলাকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে পারভেজ হত্যা মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি মাহাথির হাসানের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানায় আনা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে পারভেজ হত্যা মামলায় তিন আসামিকে রাজধানীর মহাখালী ও আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন- আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গত সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামে মামলার এজহারনামীয় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ১ ও র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের যৌথ দল। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়। সব মিলিয়ে পারভেজ হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি দোকানে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। একই সময় পারভেজ তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীর অভিযোগ পারভেজ তাদের দেখে হাসছিলেন। তাদের মধ্যে একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পিয়াসের বান্ধবী। পরে বান্ধবীরা মুঠোফোনে খবর দিলে পিয়াস ও তার দুই বন্ধু মেহরাজ ও মাহথির এসে পারভেজের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর পারভেজকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। তার বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন রোববার তার ভাই হুমায়ুন কবির প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয় ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested across the country in a special police operation

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৬১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯০৬ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৭০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এসব অভিযানে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ১টি দেশীয় পাইপগান, ১টি একনালা বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ২ রাউন্ড অকেজো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩১ জনকে। তার মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১৩ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার আগে গত রোববার ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৫৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death Reference and Appeal Hearing Major Sinha Kill Tomorrow

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি আগামীকাল।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় মামলাটি বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মূলতবি/নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে প্রধান বিচারপতি আলোচিত এই মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য এই হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The news of the burning of the Sagar Rooney murder case is not correct

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পড়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে, সঠিক নয়।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে নতুন উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাবার তথ্যটি সঠিক নয়।’

‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময় আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন, যা সঠিক না,’ যোগ করেন তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতে আগুনে এসব নথি পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরনো নথি খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ।’

‘এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ নয় মাস সময় চাইলে বাদীপক্ষ তিন মাস সময়ের কথা বলেন। পরবর্তীতে আদালত ছয়মাস সময় দেন,’ যোগ করেন তিনি।

এরআগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরসাদুর রউফ বলেন, ‘আমি এমন কোনো কথা কখনোই বলিনি। সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পোড়েনি। আমি বলেছি, এটা পুরনো মামলা।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former MP from Gulshan arrested Manu

গুলশান থেকে সাবেক এমপি মনু গ্রেপ্তার

গুলশান থেকে সাবেক এমপি মনু গ্রেপ্তার

ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি তাকে গ্রেফতার করেছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। আজ বিকেলে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ২০১৬ সাল থেকে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০০৩ সালে তিনি বৃহত্তর ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৭৭ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড ১ বার ও ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুইবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

২০২০ সালের ৬ মে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা মারা গেলে শূন্য আসনে একই বছরের ১৭ অক্টোবর উপ-নির্বাচন তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The trial started from time to time on 5 benches of the High Court

হাইকোর্টের ৪৮টি বেঞ্চে কাল থেকে বিচারকাজ শুরু

হাইকোর্টের ৪৮টি বেঞ্চে কাল থেকে বিচারকাজ শুরু

ঈদুল ফিতরের ছুটি, সরকারি ও অবকাশকালীন ছুটি শেষে কাল রোববার ২০ এপ্রিল থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ৪৮টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এর মধ্যে রয়েছে ৩০টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ১৮টি একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

প্রধান বিচারপতি নির্দেশিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ২০২৫ সালের ৯৪ নং বেঞ্চ গঠন বিধিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল রোববার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট হতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য নিম্নে উল্লেখিত বেঞ্চসমূহ গঠন করা হইল।

দুজন করে বিচারপতির সমন্বয়ে যে ৩০টি (ডিভিশন) দ্বৈত বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে সেগুলো হলো: বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. মনসুর আলমের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি জে. বি. এম. হাসান ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি মোঃ তৌফিক ইনামের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এ, কে, এম, জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি এ, এস, এম, আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজা'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম ও বিচারপতি কে, এম, ইমরুল কায়েশের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি কে, এম, হাফিজুল আলম ও বিচারপতি মো. আব্দুল মান্নানের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের ডিভিশন বেঞ্চ।

১৮টি একক হাইকোর্ট বেঞ্চে যারা বিচারকাজ পরিচালনা করবেন তারা হলেন: বিচারপতি আবদুর রব, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, বিচারপতি ফরিদ আহমেদ, বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের, বিচারপতি মাহমুদুল হক, বিচারপতি জাফর আহমেদ, বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ, বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী, বিচারপতি মো. সেলিম, বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বিচারপতি মো. খায়রুল আলম, বিচারপতি আহমেদ সোহেল, বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, বিচারপতি মোঃ আতাবুল্লাহ, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি এ, কে, এম রবিউল হাসান।

এসব বেঞ্চ সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। গত ২০ মার্চ থেকে ছুটি ও অবকাশের কারণে সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে, এ সময়ে জরুরি মামলা সংক্রান্ত বিষয়াদি নিষ্পত্তি হয় অবকাশকালীন বেঞ্চ ও আপিল বিভাগে চেম্বার কোর্টে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police Inspector Mamun Murder Arav Khan including 3 people 

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা: আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন 

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা: আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন  পুলিশ পরিদর্শক মামুন, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন-সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। ঘটনার তিনদিন পরে তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে