জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাতে নামাজ শেষে শহীদদের বাসায় যান তিনি।
এদিন নামাজের পর জুলাই আন্দোলনে শহীদ ফারহানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির। তিনি শহীদ ফারহানের মা-বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শহীদ ফারহানের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান ও কামাল হোসাইনসহ স্থানীয় জামায়াত নেতারা।
একই দিন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের হামলায় শহীদ হওয়া সাইফুল্লাহ মো. মাসুম ও হাফেজ শিপনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি শহীদ মাসুম ও শিপনের মা, বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন ও পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।
এ ছাড়া সোমবার বিকালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দশম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার খান আনাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। তিনি শহিদ শাহরিয়ার খান আনাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ছয় বছরের শিশু জাবির ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির। তিনি শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।
এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনের শহীদ পিকআপ ভ্যানচালক রানা তালুকদারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার মা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের সার্বিক খোঁজখবর নেন তিনি।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আরেক শহীদ জুবায়েরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি জুবায়েরর বাবা এবং দুই সন্তানের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন ও পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন । একই দিন জুলাই আন্দোলনের শহীদ আসাদুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি শহিদ পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন। জামায়াত আমির শহিদ আসাদুল্লাহর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সদ্যজাত সন্তানকে কোলে তুলে নেন ও পরম স্নেহ-মমতায় আদর করেন।
জুলাই আন্দোলনে পানি বিতরণ করার সময় শহীদ মীর মুগ্ধের বাসায়ও যান জামায়াত আমির। তিনি মীর মুগ্ধর বাবা, ছোট ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শহীদ মীর মুগ্ধর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।
এছাড়াও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ তামীম ও শহীদ সিফাত-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন ডা. শফিকুর রহমান।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ তিনি মিরপুরে শহীদ তামীম ও শহীদ সিফাত-এর বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত করেন।
এ সময় তার সাথে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসাসহ স্থানীয় জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে চরমপন্থার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ কাউকে নিতে দেওয়া হবে না।’
বুধবার (২ এপ্রিল) কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামে মাসুম মিয়ার কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উগ্রপন্থা যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে। নির্বাচনের মাধ্যমে যেন গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ভূমিকা রাখতে পারি।’
যদি আলোচনা-সতর্কতায় কাজ না হয়, যদি দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হয়, সরকার অবশ্যই হার্ডলাইনে যাবে বলেও জানান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘শহীদের চেতনা যেন বাংলাদেশের জনগণ ধারণ করে। আমরা চেষ্টা করবো—গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের বিচার কাজ শেষ করে যেতে পারি। শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ সরকারের চেষ্টা আছে। জনগণ এটার সঙ্গে আছে। আমরা বিশ্বাস করি এ চেতনার সাথে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা প্রকাশ করলে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করবো।
গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যতদিন আছি আমরা চাইব গণমাধ্যমের একটি গুণগত সংস্কারের জন্য। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনায় মফস্বল ও কেন্দ্র নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের আহ্বাযক আবু রায়হান ও সদস্য সচিব রাশেদুল হাসানসহ স্থানীয় নেতারা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের মতো কিছুই হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার দুপুরে ঈদের শুভেচ্ছা ও ঈদ পুনর্মিলনীর উদ্দেশ্যে রাজধানীর বিভিন্ন থানা পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন পোস্টে কে কী বলল সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলেও জানান উপদেষ্টা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার দায়ে অনেক ক্ষেত্রে নিরীহ মানুষকে মামলা দেওয়া হচ্ছে যাদের নাম এজাহারে নেই— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি সত্য। এমনও অনেকে আছেন যাদের এজাহারে নাম আছে কিন্তু জড়িত নয়। এমন অনেকেই ছিল যারা তখন দেশের বাইরে ছিলেন।
তিনি আরও জানান, এটা যাতে না হয় তাই সঠিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। শুধু থানার তদন্ত নয় এটার জন্য আলাদা কমিটিও করা হয়েছে। যেন কোনোভাবেই নিরীহ লোকজন সাজা না পায়। কোনোভাবেই কোনো দুষ্কৃতকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে লক্ষ্মীপুরের ১৬ শহীদ পরিবারের হাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা এবং উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) মনিটর ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাব লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাবেক সদস্য সচিব ডা. খালেদ মাহমুদ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী গোলাম রহমান রাজিব, সদস্য কৃষিবিদ ড. মু. আশ্রাফুল আলম, ডা. মেশকাত, প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন রনি প্রমূখ।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া অংশে রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১০ হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার চুনতি বনরেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। উল্লেখ্য, গত তিন দিনে একই এলাকার আধা কিলোমিটার এলাকায় তিনটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের পরিচয় জানা না গেলেও, তারা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। মাইক্রোবাসটি কিশোরগঞ্জ থেকে কক্সবাজারগামী ছিল।
দুর্ঘটনার ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, মাইক্রোবাসটি কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল, আর বিপরীত দিক থেকে আসা রিলাক্স পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। চুনতি বনরেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
সংঘর্ষের ফলে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের ৮ যাত্রী মারা যান, আর গুরুতর আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
লোহাগাড়া থানার অপারেশন অফিসার মোহাম্মদ জাহিদ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে এবং গুরুতর আহত ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে, ঈদের দিন (৩১ মার্চ) সকালে চুনতি এলাকায় বাস ও মিনিবাসের সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ৬ জন আহত হন। এছাড়া, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) একই স্থানে দুটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে ৮ জন আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, লবণবাহী ট্রাক থেকে পানি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে পড়ায় এ এলাকায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে।
বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় খসড়া প্রস্তুত হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নামে অভিহিত হবে।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সচিব সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হবেন।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিব সরকারের সিনিয়র সচিবের সমমর্যাদা ও সুবিধাদি ভোগ করবেন।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে একজন সচিব এবং অন্যনা কর্মকর্তা ও কর্মচরীগণের সমন্বয়ে গঠিত হবে। খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ যথাযথরূপে পালনের জন্য একটি স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক এবং এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও কর্মের শর্তসমূহ সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন। সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদে নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগ এর পৃথকীকরণকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই অধ্যাদেশের বিধানাবলি প্রাধান্য পাবে।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠন বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একটি সচিবালয় থাকবে এবং তা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় নামে অভিহিত হবে। এই সচিবালয়ের কার্যাবলী বিষয়ে বলা হয়েছে, দেশের বিচার প্রশাসন পরিচালনায় সুপ্রিম কোর্টকে সহায়তা প্রদান করার নিমিত্ত অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল সাচিবিক দায়িত্ব পালন, সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন সাপেক্ষে রাজস্ব আদালতসমূহ ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ন্ত্রাণাধীন দেশের সকল অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা, এখতিয়ার, ক্ষমতা ও গঠন নির্ধারণ, হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ন্ত্রাণাধীন সকল আদালত বা ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ ও চাকুরির শর্তাবলী নির্ধারণ করবে এই সচিবালয়।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়, অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়, অধস্তন আদালত ও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের বাজেট ব্যবস্থাপনা, অধস্তন আদালত এবং বিচারকগণের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণ, অধস্তন আদালতের বিচারক ও সহায়ক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করবে এই সচিবালয়।
বিচার বিভাগের এই স্বতন্ত্র সচিবালয় বিচার সেবার মানোন্নয়ন ও বিচার বিভাগের সংস্কারে প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনা, অন্যান্য দেশের বিচার বিভাগীয় সংস্থা, সাংবিধানিক আদালত এবং বিচার বিভাগ ও মানবাধিকার সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সম্মতি স্মারক সম্পাদন ও সহযোগিতা প্রদান করবে। প্রাসঙ্গিক কোন আইনের অধীনে অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবে।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কার্য পদ্ধতি বিষয়ে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় সরকারের যে কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা অফিসের সঙ্গে অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে। কোনো ব্যক্তি বা সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা দপ্তর সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সাথে কোনো বিষয়ে যোগাযোগের প্রয়োজনবোধ করলে সরাসরি সচিবের সাথে বা তার দায়িত্ব পালনরত অপর কোনো কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করবে। প্রধান বিচারপতি বিধি বা স্থায়ী আদেশ দ্বারা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কার্যাবলী বন্টন ও পরিচালনার ব্যবস্থা করতে পারবেন।
বিচার প্রশাসন সংক্রান্ত কমিটি বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগীয় নীতি নির্ধারণ, কর্মকৌশল উদ্ভাবন এবং দেশের বিচার প্রশাসনকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতির সমন্বয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখপূর্বক বিচার প্রশাসন সংক্রান্ত এক বা একাধিক কমিটি গঠন করতে পারবেন। কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য কমিটির সভাপতি হবেন।
কমিটি তার নিজস্ব কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করবে। কমিটি তার কর্মকান্ড সম্পর্কে সময়ে সময়ে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করবে। সচিবালয়সহ দেশের বিচার প্রশাসনের সকল প্রশাসনিক ব্যয় সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয় হবে। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের অনুকূলে সরকার কর্তৃক বাৎসরিক বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ হতে ব্যয় করার ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করা আবশ্যক হবে না। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় অনুমোদনে প্রধান বিচারপতি চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ হবেন।
তবে প্রধান বিচারপতি আদেশ দ্বারা আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিব বা অন্যান্য কর্মকর্তাগণের নিকট হস্তান্তর করতে পারবেন।
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, যে কারণে ৭১’র জন্ম হয়েছে, ঠিক সে কারণেই জন্ম হয়েছে ২৪ এর। বৈষম্যহীন এক সমাজের আকাঙ্ক্ষা থেকে বারবার এই জমিনে মুক্তির আন্দোলন হয়েছে। ১৯৪০ এর দশকে পাকিস্তান আন্দলনের মধ্য দিয়ে যেভাবে ১৯০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শোষনের বিরুদ্ধে আজাদীর লড়াই হয়েছিল, জমিদারী প্রথার বিলোপ হয়েছিল, রাজনৈতিক মুক্তি না অর্জিত হবার কারণে ৭১ সালে আবারো মুক্তির লড়াই এ ঝাপিয়ে পড়তে হয়েছিল এই জাতিকে। বাংলাদেশে ৫৩ বছরে বহু রাজনৈতিক নেতা ও দল খোলস পাল্টেছে। কিন্তু দেশের কোন উন্নয়ন হয়নি, তাই অধিকার আদায়ে ২০২৪ এ আবারো ছাত্র-জনতা-সিপাহীর সম্মিলিত গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ঈদ উপলক্ষে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কর্মরত সাংবাদিক ও সুধীজনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল রহিমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রকৌশলী কল্লোল চৌধুরী, সদস্যসচিব জিএম রাব্বি, যুগ্ন আহ্বায়ক জনাব হারুন, প্রকৌশলী মো. সুজন, যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক আহমেদ, ছায়া সরকার বিষয়ক সম্পাদক ডা. তানভীর।
৯ দিনের ছুটিতে পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজার। বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতের নোনাজলে গা ভেজাতে ছুটে যান দেশি-বিদেশি পর্যটকরা।
ঈদের পরদিন থেকে কক্সবাজারে ঢল নেমেছে পর্যটকের। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্টসহ আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে।
পর্যটকের কেউ কেউ সাগরের ঢেউয়ে শরীর ভিজিয়ে টিউব নিয়ে সাঁতার কেটে উপভোগ করছেন স্বচ্ছ সাগরের জলরাশি।
আবার অনেকেই জেড স্কিতে চড়ে ঘুরে আসছেন ঢেউয়ের তালে তালে। বালিয়াড়িতে ঘোরাফেরা, কিটকট চেয়ারে বসে সাগরের শীতলতা উপভোগেও ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। ঈদ উৎসব ঘিরে কক্সবাজার সৈকতে ছিল সব বয়সী মানুষের আনন্দ-উল্লাস।
এদিকে কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘ঈদের পরের দিন সকাল থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে।’
‘শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও কটেজে ৯০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পাঁচ শতাধিক হোটেলের দৈনিক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৮৭ হাজার।’
সমুদ্র গোসল নিরাপদ করতে কাজ করছে সী-সেইফ লাইফ গার্ড। সংস্থাটির ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আগত পর্যটকদের নিরাপদ সমুদ্র স্নান নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকতের তিনটি জনপ্রিয় পয়েন্ট সুগন্ধা, কলাতলীও লাবণী পয়েন্টে লাইফ গার্ডের ২৭ জন সদস্য কাজ করছে। এছাড়া সমুদ্র স্নানে নেমে যাতে কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য আগত পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে।’
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মহমুদ বলেন, ‘কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পর্যটন এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটকেরা কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন সে জন্য যা যা করার প্রয়োজন সবকিছু করতে টুরিস্ট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।’
মন্তব্য