× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
If the information is not updated in the air the public employees are not promoted
google_news print-icon

বাতায়নে তথ্য হালনাগাদ না করলে সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি নয়

বাতায়নে-তথ্য-হালনাগাদ-না-করলে-সরকারি-কর্মচারীদের-পদোন্নতি-নয়
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি কর্মচারী বাতায়নে (জিইএমএস) পিডিএসের ব্যক্তিগত তথ্য সদ্য তোলা রঙিন ছবিসহ হালনাগাদ না করলে পদোন্নতির বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম স্বাক্ষরিত অতি জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী বাতায়নে (জিইএমএস) পিডিএসের ব্যক্তিগত তথ্য হালনাগাদকরণের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব- ছয় (৬) মাসের মধ্যে তোলা রঙিন ছবি সংযোজনসহ সব ব্যক্তিগত তথ্য নিজ দায়িত্বে জরুরি ভিত্তিতে হালনাগাদ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যে সব কর্মকর্তা নতুন রঙিন ছবি সংযোজনসহ জিইএমএস-এ পিডিএস-এর তথ্য হালনাগাদ করতে ব্যর্থ হবেন, তাদের কেস পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবে না।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Former prosecutor Turin Afroz in the murder case is remanded for 3 days

হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ৪ দিনের রিমান্ডে

হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ৪ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আব্দুল জব্বার নামের এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত তার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তুরিন আফরোজকে আদালতে আনা হলেও দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় তাকে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে তুরিন আফরোজ নিজেই আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতে বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলতেন তুরিন আফরোজ। সুপ্রিম কোর্টের যে কয়েকজন আইনজীবী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সহযোগিতা করেছেন, তাদের অন্যতম তুরিন আফরোজ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে তাকে নিয়োগ দেন হাসিনা।
এর আগে, গত সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরার পশ্চিম থানা এলাকার বাসা থেকে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আ. জব্বার উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর বিএনএস সেন্টারের সামনে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। গত ২৭ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৩০ নম্বর আসামি তুরিন আফরোজ।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে গঠন করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেয় প্রসিকিউটর ছিলেন আইনজীবী তুহিন আফরোজ। জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযমের মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি মামলা পরিচালনায় তিনি ভূমিকা রাখেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BGB campaign seizes smuggling goods worth Tk 12 crore

বিজিবির অভিযানে ১৫২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

বিজিবির অভিযানে ১৫২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত মার্চ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫২ কোটি ৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৭ কেজি ৯৫৮ গ্রাম স্বর্ণ, ৭৮০ গ্রাম রুপা, ২৫ হাজার ১৭৩টি শাড়ী, ১০ হাজার ৭০১টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ২২ হাজার ২৮০টি তৈরী পোশাক, ৩৩ হাজার ৮৮৯ মিটার থান কাপড়, ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৭টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১ হাজার ৭৬২টি ইমিটেশন গহনা, ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ১৯৬টি আতশবাজি, ৬ হাজার ৯২৯ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ২৩৬ কেজি চা পাতা, ২৫ হাজার ৬৫৬ কেজি সুপারি, ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৪ কেজি চিনি, ১০ হাজার ৬৯০ কেজি সার, ৯৭ লিটার অকটেন, ২৫ হাজার ৯০০ কেজি কয়লা, ২১২ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৫২২টি মোবাইল, ৭৪৯টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৮৬ হাজার ৭৮১টি চশমা, ১২ হাজার ৭৩১ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৩ হাজার ৬৪১ কেজি ভোজ্য তেল, ৯৫১ কেজি পিঁয়াজ ও রসুন, ১৭ হাজার ২৩৫ কেজি জিরা, ৬ হাজার ৩২৫ কেজি কিসমিস, ১ লাখ ৩ হাজার ৯৫৩ পিস চকোলেট, ৪টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১০টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ৭টি পিকআপ, ২টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৪টি ট্রলি, ১৭টি নৌকা, ২০টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৬২টি মোটরসাইকেল এবং ৩৫টি বাইসাইকেল।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৩টি ওয়ান শুটারগান, ৪৬ রাউন্ড গুলি, ৩৩ হাজার ১০০ রাউন্ড সীসার গুলি।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৭ লাখ ৪৭ হাজার ১৬১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ কেজি ৫৮৫ গ্রাম হেরোইন, ৪ কেজি ১০৫ গ্রাম কোকেন, ১৬ হাজার ২৪২ বোতল ফেনসিডিল, ৯ হাজার ৩৭৭ বোতল বিদেশী মদ, ৪৪ লিটার বাংলা মদ, ১ হাজার ২৩৫ বোতল/ ক্যান বিয়ার, ২ হাজার ৬১১ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৩৯ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৪টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৫ হাজার ৩৪০ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৫৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ২৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ট্যাবলেট, ১২ বোতল এলএসডি এবং ৮৪ হাজার ২০০ এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট।
অপারদিকে, সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩৪ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩৩৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ৬৪৭ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh signed the Artemis Agreement with NASA

নাসার সঙ্গে আর্টেমিস চুক্তি স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ

নাসার সঙ্গে আর্টেমিস চুক্তি স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এখন ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’-এর ৫৪তম স্বাক্ষরকারী দেশ; যা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ ও অসামরিক মহাকাশ অনুসন্ধানকে উৎসাহিত করার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ।
২০২০ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত আর্টেমিস অ্যাকর্ডস চুক্তিগুলো হলো একটি অ-বান্ধনযোগ্য বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার একটি সিরিজ; যার লক্ষ্য হলো মহাকাশ অনুসন্ধানে শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও টেকসই সহযোগিতা।
আজ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষা সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণা, মহাকাশ ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং মহাকাশ সম্পদের দায়িত্বশীল ব্যবহারে নিজেকে সম্পৃক্ত করল; যা দেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
চৌধুরী আশিক বলেন, ‘এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার মহাকাশ গবেষণা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে পারবে।’
প্রতিরক্ষা সচিব আশরাফ উদ্দিন বলেন, আর্টেমিস অ্যাকর্ডস মূলত আউটার স্পেস ট্রিটি রেজিস্ট্রেশন কনভেনশন এবং অ্যাস্ট্রোনট রেসকিউ এগ্রিমেন্টের নীতিগুলো অনুসরণ করে তৈরি একটি নির্দেশিকা; যা মহাকাশের শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও টেকসই ব্যবহারে সহায়ক।
তিনি বলেন, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ স্পারসো গঠন করে মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে উৎসাহিত করতে কাজ শুরু করে এবং তখন থেকেই আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো মহাকাশে স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেয়।
২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত আর্টেমিস চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া ও বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ, লাতিন আমেরিকানসহ ৫৩টি দেশ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এই চুক্তিতে যুক্ত হয়ে একটি সম্মানজনক আন্তর্জাতিক মহাকাশ জোটের অংশ হলো।
আশরাফ উদ্দিন বলেন, এই চুক্তি প্রযুক্তি স্থানান্তর, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার নতুন দরজা খুলে দেবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে নাসা ও স্পারসোর মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হবে এবং বাংলাদেশের মহাকাশ কার্যক্রম জোরদার হবে।
তিনি যোগ করেন, নাসা ও অন্যান্য মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করলে বাংলাদেশ উন্নত স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রবেশাধিকার পাবে, যা বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রোগ্রাম ও ভবিষ্যৎ মহাকাশ উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের স্পারসোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ও জলবায়ু মনিটরিং স্যাটেলাইট তৈরি করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা পেতে পারে; যা বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে; আর শিক্ষার্থীরা নাসার প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম; বৃত্তি ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের মহাপরিচালক ও চিফ অব প্রোটোকল এএফএম জাহিদ-উল-ইসলাম এবং বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন সংস্থার (স্পারসো) চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ইসলাম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police Constable Riyadh receives the Presidents Medal
লাঠিপেটা না করে ছত্রভঙ্গ

রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ

রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ পুলিশ কনস্টেবল মো. রিয়াদ হোসেন

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব পালন করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। লাঠিপেটা না করে বরং লাঠিপেটার ভান করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দেখা যায় সেই কনস্টেবলকে।

পুলিশ সদস্যের কাজের ধরন দেখে তার প্রশংসা করে ভিডিওটি শেয়ার করেন নেটিজেনরা। সেই পুলিশ কনস্টেবলের নাম মো. রিয়াদ হোসেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত।

এবার পুলিশে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম’ পদক পাচ্ছেন পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ হোসেন। আন্দোলন দমনে বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশল প্রয়োগ করায় রিয়াদকে এই পদক দেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশে গত ২৭ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌফিক আহমেদ এতে সই করেন, যা গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে নাগরিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিনব বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশলের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ সদস্য রিয়াদ হোসেনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)’ প্রদান করা হলো। প্রজ্ঞাপনের তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।

অতীতে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম পদক পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের পরিয়ে দেওয়া হতো। রিয়াদের বেলায় এবার তা ভিন্নভাবে দেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Babar Ali won Annapurna 1 this time

এবার অন্নপূর্ণা-১ জয় করলেন বাবর আলী

এবার অন্নপূর্ণা-১ জয় করলেন বাবর আলী

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দশম সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং অন্যতম কঠিন পর্বত ৮,০৯১ মিটার (২৬ হাজার ৫৪৫ ফুট) উচ্চতার মাউন্ট অন্নপূর্ণা-১ আরোহণ করে আবারও নজির সৃষ্টি করলেন পর্বতারোহী বাবর আলী।

বাবর আলী চট্টগ্রামভিত্তিক দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।

পেশায় ডাক্তার এই পর্বতারোহী ২০২৪ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে একই অভিযানে দুটি আট হাজার মিটারের শৃঙ্গ এভারেস্ট এবং লোৎসে পর্বত এবং প্রথম বাঙালি হিসেবে ২০২২ সালে অন্যতম টেকনিক্যাল চূড়া আমা দাবলামের শীর্ষ স্পর্শের নজির গড়েন। অনেকে ছয় হাজার মিটারের পর্বত বাদেও বাবর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ভারতের দীর্ঘতম সড়ক কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী করেছেন সাইক্লিং, প্রথম বাঙালি হিসেবে হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত।

প্লাস্টিকের দূষণের বার্তা ছড়াতে তিনি ৬৪ দিনে হেঁটেছেন বাংলাদেশের ৬৪ জেলা। এ ছাড়া লেখক হিসেবে আছে বাবর আলীর বেশ সুখ্যাতি। তিনি ম্যালরি ও এভারেস্ট, পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা, সাইকেলের সওয়ারি, এভারেস্ট ও লোৎসে শিখরে নামক ৪টি বইয়ের রচয়িতা। বাবর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নজুমিয়া হাটের লেয়াকত আলী এবং লুৎফুন্নাহার বেগমের দ্বিতীয় সন্তান।

তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৫১তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।

ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের প্রেসিডেন্ট এবং অভিযান ব্যবস্থাপক ফরহান জামান জানান, পৃথিবীর দশম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ অন্নপূর্ণা-১-এ গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) ভোরে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান চট্টগ্রামের বাবর আলী। এই অভিযানের আউটফিটার মাকালু অ্যাডভেঞ্চারের স্বত্বাধিকারী মোহন লামসাল তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অন্নপূর্ণা-১ শীর্ষে বাবরের সাথী ছিলেন ক্লাইম্বিং গাইড ফূর্বা অংগেল শেরপা।

বাবরের সংগঠন এবং এই অভিযানের আয়োজক পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের পক্ষ থেকে গতকাল দুপুরে বলা হয়, ‘লাখো শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রার্থনার উত্তর দিয়েছেন স্রষ্টা। প্রকৃতিমাতা বিমুখ হননি। বঙ্গ সন্তান বাবরকে ক্ষণিকের জন্য নিজের চূড়ায় দাঁড়াতে দিয়েছে অন্নপূর্ণা। বিশ্বের দশম শীর্ষ পর্বত এবং অন্যতম কঠিন পর্বত ২৬,৫৪৫ ফুট উচ্চতার অন্নপূর্ণা-১ এর শীর্ষে প্রথমবার উড়লো আমাদের লাল-সবুজের পতাকা। অন্নপূর্ণা জয় করার পর বাবর আলী সুস্থাবস্থায় ক্যাম্প-৩ তে নেমে এসেছেন।

বাংলাদেশ থেকে বাবর আলী নেপালে যান গত ২৪ মার্চ। প্রস্তুতি শেষ করে ২৬ মার্চ কাঠমান্ডু থেকে বিমানে যান পোখারা। এরপর কিছু পথ গাড়িতে ও বাকি পথ পায়ে হেঁটে ২৮ মার্চ পৌঁছেন বেসক্যাম্পে। এক দিন বিশ্রাম নিয়ে পরদিন পর্বতটিতে আরোহণ শুরু করেন। ৫ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতার ক্যাম্প-১ এ দুই রাত কাটানোর পর ৫ হাজার ৭০০ মিটার উচ্চতার ক্যাম্প-২ এ উঠে সেখানেও এক রাত কাটান। এরপর ২ এপ্রিল তিনি ফের বেসক্যাম্পে নেমে এসে ভালো আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষার করেন। নেমে এসেই জানতে পারেন আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ভালো আবহাওয়া থাকবে পরদিন থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। এদিকে রোপ ফিক্সিং টিম খারাপ অবস্থার জন্য ৭ হাজার৬০০ মিটার উচ্চতা থেকে আগেই একবার ফিরে আসে। সম্ভাব্য ভালো আবহাওয়াকে কাজে লাগাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়েই বাবর ৩ এপ্রিল থেকে আবার পর্বত আরোহণ শুরু করেন। ওইদিন ক্যাম্প-১ এ থেমে পরদিন উঠে যান ক্যাম্প-২। এর মাঝেই শুরু হয় বিপত্তি। বিকাল থেকেই হঠাৎ শুরু হয় তুষারঝড়। দীর্ঘ যোগাযোগহীনতার পর স্বস্তির খবর পাওয়া যায় যে ৫ এপ্রিল বাবর পেরিয়ে গেছেন কঠিন অংশ, পৌঁছে গেছেন পর্বতশৃঙ্গটির ৬ হাজার ৫০০ মিটারে অবস্থিত ক্যাম্প-৩ এ। সাধারণত ৭৪০০ মিটার উচ্চতায় ক্যাম্প-৪ তৈরি করে সামিট পুশ শুরু হলেও সিদ্ধান্ত হয় অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই ক্যাম্প বাদ দিয়ে ক্যাম্প-৩ থেকেই শুরু হবে চূড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা, অর্থাৎ ওই উচ্চতায় একটানা ১৬০০ মিটার পথ দিতে হবে পাড়ি। চূড়া পর্যন্ত পথ তৈরি এবং আবহাওয়ার উন্নতির জন্য ক্যাম্প-৩ এ অতিরিক্ত এক দিন অপেক্ষা করে ৬ এপ্রিল রাতে ওই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বাবর বেরিয়ে পড়েন। এদিকে রোপ ফিক্সিং টিম সামিট পর্যন্ত পথ তৈরি করতেই ভোরে শীর্ষে উঠে আসেন বাবর আলী। আবহাওয়া বেগতিক দেখে পরবর্তী পরিকল্পনা হয় গতকালই তিনি নেমে আসবেন ক্যাম্প-২ এ। সেখানে রাতটা কাটিয়ে নেমে আসবেন বেসক্যাম্পের নিরাপত্তায়। তার অবরোহণের বিস্তারিত অবশ্য গত রাতে জানা সম্ভব হয়নি।

এ অভিযানের ব্যবস্থাপক ফরহান জামান বলেন, ‘গত বছর এভারেস্ট-লোৎসে সামিটের পর এবার অন্নপূর্ণা-১ শীর্ষে পৌঁছানোর মাধ্যমে বাবর আলী বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছেন। তার কঠোর পরিশ্রম এবং নিরলস অধ্যবসায়ের প্রতিফলন এই সাফল্য। আমরা আশা করি এই অর্জন বাংলাদেশের পর্বতারোহণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। আমাদের ইচ্ছা ছিল এবার বাবরকে একসঙ্গে তিন পর্বতে পাঠাব। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আমাদের একটি পর্বতেই থামতে হয়েছে। বাবরের লক্ষ্য ১৪টি আটহাজারী শৃঙ্গের সবকটিতেই লাল-সবুজের পতাকা উড়ানো। উল্লেখ্য, এই দুঃসাহসিক অভিযানে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন ভিজ্যুয়াল নিটওয়্যার্স লি., ভিজ্যুয়াল ইকো স্টাইলওয়্যার লি., এডিএফ এগ্রো, ফ্লাইট এক্সপার্ট, এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এবং ব্লু জে।

উল্লেখ্য, নেপালের গন্ডকিতে অবস্থিত অন্নপূর্ণা পর্বত স্থানীয়দের কাছে ফসলের দেবী হিসেবে পূজনীয়। এটি হিমালয়ে অবস্থিত ৫৫ কিলোমিটার লম্বা স্তূপ-পর্বত। এর মূলত চারটি চূড়া আছে। যার মধ্যে শীর্ষ হলো পৃথিবীর দশম শীর্ষ পর্বত ৮,০৯১ মিটার (২৬,৫৪৫ ফুট) উচ্চতার অন্নপূর্ণা-১। উচ্চতায় দশম হলেও কৌশলগতভাবে অন্যতম কঠিন পর্বত হিসেবে বিবেচিত এই পর্বত। এর সফল সামিটের বিপরীতে মৃত্যুর হার প্রায় ১৪ শতাংশ, যা ২০১২ সালের আগে ছিল ৩২ শতাংশ! গত মৌসুম পর্যন্ত এই পর্বত সামিট করেছেন ৫১৪ জন পর্বতারোহী। এদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৩ জন। ১৯৫০ সালের ৩ জুন ফ্রান্সের মরিস হেরজগ এবং লুইস লেচেনাল এই পর্বত চূড়া প্রথম স্পর্শ করেন, যা যেকোনো আটহাজারী শৃঙ্গে প্রথম মানব সাফল্য। এই ৭৫ বছরের মধ্যে ২০০৯ সালে অন্নপূর্ণা-৪-এ একবার বাংলাদেশি অভিযান হলেও অন্নপূর্ণা-১ এ এটিই প্রথম অভিযান এবং প্রথমবারেই এল সাফল্য।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Posters do not have posters in the draft campaign of electoral code of conduct EC

নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া তৈরি প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না: ইসি

নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া তৈরি প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না: ইসি

নির্বাচনী ব্যয় যথাসম্ভব ন্যূনতম রাখাসহ সব প্রার্থী যেন সমানভাবে প্রচার চালাতে পারেন, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন তা অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।

সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনসহ নির্বাচনের ছয়টি বিষয় নিয়ে গঠিত কমিটি গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে একটি সভা করে। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বর্তমানে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা আছে। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন এটি সংশোধন করে নতুন আচরণবিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই বিধিমালা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

দলগুলোর মতামত ছাড়াই আচরণবিধিমালার খসড়া চূড়ান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমরা পরবর্তী সময়ে সব স্টেকহোল্ডারদের (অংশীজন) সঙ্গে বসব। তখনকার অবস্থাই বলবে কী করতে হবে।’

এ সময় খসড়া আচরণবিধিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবটা অনেকটা এরকম। আমরা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবকে ভালোই মনে করছি।’

আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আচরণবিধির খসড়া আমাদের প্রায় চূড়ান্ত। এ নিয়ে গতকাল সোমবার একটা সভা হয়েছে। আগেও আমরা একটি সভা করেছিলাম। খসড়াটি চূড়ান্ত করে আমরা কমিশনে প্লেস করব, কমিশন অনুমোদন দিলে প্রকাশ হবে।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের বিধি নিয়ে যে প্রস্তাবগুলো রয়েছে, যেমন-স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ নতুন কিছু বিষয় আমরা ইনকরপোরেটে করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটি একটি চমৎকার আচরণবিধিমালা হবে।’

খসড়া আচরণবিধিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের অলমোস্ট সবগুলোই আমরা আচরণবিধির খসড়ায় ইনকরপোরেটে করেছি।’

আচরণবিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে কি না- সে প্রশ্নও করা হয় আনোয়ারুল ইসলামকে। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা একটা ভালো প্রশ্ন। আমরা পরবর্তীতে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে এ নিয়ে বসব। অবস্থাই (পরিস্থিতিই) আমাদের বলবে কী করতে হবে।’

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের তো প্ল্যান আছে কবে কী করব। এই যে আমরা মিটিং করছি। এটাও প্ল্যানিংয়ের অংশ।’

সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি জানান, ‘সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের যে প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়ে তা পাঠিয়েছিলাম। ঈদের আগে কেবিনেটে এ নিয়ে মিটিং হয়েছে। এখনো আমরা অনুমোদন পাইনি। অনুমোদন পেলে আমরা ডিলিমিটেশনের কাজটা করতে পারব। অনুমোদন না হলে বিদ্যমান আসন বিন্যাসের আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

যা যা থাকছে আচরণবিধিতে : বিষয়টি নিয়ে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয় যথাসম্ভব ন্যূনতম রাখা, নির্বাচনী শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, গ্রামীণ পর্যায় পর্যন্ত প্রার্থীদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখা, নিরবিচ্ছিন্নভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (তৈরি), যেন সব প্রার্থী সমভাবে প্রচারণা করতে পারেন, সে ধরনের অ্যাটিচ্যুড নিয়ে আমরা আচরণবিধির খসড়া নিয়ে কাজ করছি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিষয়টিও নির্বাচনী আচরণবিধিতে আছে বলে উল্লেখ করেন আনোয়ারুল ইসলাম। বলেন, ‘নির্বাচনের সময় গুজব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই প্রস্তাব করেছি।’

নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নামের একটি দল সম্প্রতি আদালতে রিট করেছেন। তাদের ক্ষেত্রে স্টে অর্ডারটি কোর্ট থেকে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দলের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে না। নতুন দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।’

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এ পর্যন্ত একটি দল আবেদন করেছে৷ আরও কয়েকটি দল প্রস্তুতি নিচ্ছে আবেদন করার জন্য।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
He is the artisan of bamboo art for 5 years

৫৩ বছর ধরে বাঁশের শিল্পকর্মের কারিগর তিনি

৫৩ বছর ধরে বাঁশের শিল্পকর্মের কারিগর তিনি

মানুষ যখন উন্নতমান কাঠের, স্টিলের খাট-পালংসহ নানা আসবাবপত্র ব্যবহার করছেন, সে সময় বাঁশের খাট, পালং, শোকেসকে মামুলি মনেই হতে পারে; কিন্তু একটু গভীরভাবে ভাবলেই বোঝা যায়, এর সঙ্গে মিশে আছে প্রকৃতি আর সৃষ্টিশীলতার যোগসাজশ। সেই মায়ায় পড়েই জীবনের ৫৩টি বসন্ত পার করে দিলেন নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের চকসাদক কোণাপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার।

নবতীপর এই বৃদ্ধ তার ছোট্ট একটি ঘরের আঙিনায় প্রতিষ্ঠা করেছেন কাঠ দিয়ে দেশীয় বাদ্যযন্ত্র তৈরির কারখানা। লোহার ফ্রেম তৈরি করে হাতেটানা মেশিন বসিয়ে খুন্দাই কাজের মাধ্যমে সনাতনী পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করছেন স্বরাজ, দোতারা, একতারা, ডুগডুগি, খুঞ্জুরী, ঢোল, খমক, ঘাইল, বেলাইন।

এ ছাড়া বাঁশ-বেতের মাধ্যমে তৈরি করছেন মাছ শিকারের চাঁই (বাইর), পলো, ঝুপড়া, চুপরা, উঁইচ, বৃষ্টি ফেরানোর পাতলা, বিভিন্ন প্রকার ঘুড়ি, বিছানা খাট, পালং, দরম, শোকেস, টেবিল, ৩৫ ফুট লম্বা বাঁশের মই ইত্যাদি।

ক্রেতারা তার বাড়িতে এসে এসব জিনিস কিনে নিয়ে যান। মূল্য নিয়েও সমস্যা হয় না। খুব কম মূল্যেই এসব জিনিসপত্র তিনি বিক্রি করে দেন। কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, শুধু লাভের আশায় এগুলো তিনি তৈরি করেন না। এ কাজকে তিনি শিল্প হিসেবে মনে করেন। তাই মাধুরী মিশিয়ে একটু একটু করে এসব জিনিস তৈরি করেন। এর সঙ্গে মিশে থাকে নিখাঁদ ভালোবাসা।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের চকসাদক কোণাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই নিভৃতচারী শিল্পী। পিতা মৃত সমর আলী ওরফে লাবু মিয়া, মায়ের নাম নাইবের মা। তারা বহু আগেই মারা গেছেন।

আব্দুস সাত্তার জানান, তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই অর্থাৎ লেখাপড়া করেননি। স্ত্রী আবিয়া খাতুনকে নিয়ে সংসারে ৩ ছেলে নজরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান ও দীন ইসলামসহ তাদের স্ত্রীরা এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে ২১ জনের একটি পরিবার। মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ ভূমিতে তাদের বসবাস।

দৈনিক বাংলাকে তিনি বলেন, প্রথম দিকে সখ করে এসব তৈরি করলেও পরে এটিই পেশা নেশা হয়ে ওঠে। ৪০-৪৫ বছর আগে উত্তর মাসকা গ্রামের ঘানি তৈরির কারিগর আব্দুল জব্বারের কাছে কারুকাজের তালিম নেন। তিনিই তার ওস্তাদ।

তবে বর্তমানে কাঠ, বাঁশ, চামড়া, ফিতা ইত্যাদির দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় এখন আর পণ্যসামগ্রী উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। তা ছাড়া বিদ্যুৎচালিত খুন্দাইল মেশিন নেই। নিজে তৈরি হাতেটানা মেশিন দিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করে এসব জিনিস তৈরি করতে হয়। তিনি আরও বলেন, ‘এসব জিনিসপত্র তৈরি করতে দুজন লোক লাগে। টাকা দিয়ে সহকারী রাখার মতো সামর্থ্য নেই আমার। তাই যখন যাকে পাই তাকে দিয়েই দড়িটানার কাজটা করিয়ে নিই।’

এ কাজে সংসার চলে? এমন প্রশ্নের জবাবে এই শিল্পী বলেন, ‘একদম চলে না। ঘরটা ভেঙে পড়ছে। মেরামত করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘এক সময় বৈঠকি বাউল গান করতাম, এখন আর করি না। আমার তৈরি বাদ্যযন্ত্র দিয়ে শিল্পীরা যখন গান-বাজনা করে আমার তখন খুবই আনন্দ হয়। তখন ভুলে যাই পেটে ভাত না থাকার কথা।’

আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী আবিয়া খাতুন জানান, ‘সারাজীবন মানুষটা কষ্টই করল। থাকার মতো একটা ঘর পর্যন্ত নাই। সরকার যদি একটা ঘর, একটা খুন্দাইল মেশিন দিত, বাকি জীবনডা একটু শান্তি পাইতো।’

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, আব্দুস সাত্তার একজন অসাধারণ গুণী মানুষ। সারাজীবন তিনি এ কাজগুলোই করে যাচ্ছেন। তার তৈরি জিনিস মানুষ দেখতে আসে, এটা এলাকাবাসীর গর্ব। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা পেলে শেষ জীবনে একটু শান্তিতে যেতে পারতেন।

মন্তব্য

p
উপরে