× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The miscreants who were set on fire before the procession would be arrested DMP Commissioner
google_news print-icon

শোভাযাত্রার আগেই মোটিফে আগুন দেওয়া দুষ্কৃতকারীরা গ্রেফতার হবে: ডিএমপি কমিশনার

শোভাযাত্রার-আগেই-মোটিফে-আগুন-দেওয়া-দুষ্কৃতকারীরা-গ্রেফতার-হবে-ডিএমপি-কমিশনার

ফ্যাসিস্টের মুখবয়বে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের আগামীকাল শোভাযাত্রার আগেই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর রমনা পার্কে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনারা জানেন, গতরাতে আগের রাতে একটা ওড সময় ভোর পাঁচটার দিকে একটি মোটিফ, যেটা তৈরি করা হয়েছিল শোভাযাত্রায় ব্যবহার করার জন্য, সেটিতে একদল দুস্কৃতকারী আগুন দিয়েছে।’

‘এটি নিয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে ও সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মামলাটি উদ্‌ঘাটনের জন্য। তদন্তকালীন কোনো মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলি না। তবে এতটুকু বলছি, আমরা অত্যন্ত ক্লোজ, খুব নিকটে পৌঁছে গেছি মামলাটি ডিটেকশনের ক্ষেত্রে,’ যোগ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, শোভাযাত্রার আগে আগামীকাল সকাল ৯টার আগেই মামলটির ডিটেকশনের ক্ষেত্রে আমরা একটি সন্তোষজনক পর্যায়ে চলে যাব। সম্ভব হলে এই সময়ের মধ্যে দুস্কৃতকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।’

শনিবার ভোরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আগুন লেগে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার’জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ পুড়ে যায়।

এ ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করছে পুলিশ। এর পেছনে ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দোসরদের’ হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

সিসিটিভি ভিডিওতে একজনকে চিহ্নিত করা গেলেও এখনো তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি ও শাহবাগ থানায় মামলা করেছে। মামলায় নির্দিষ্ট কারও নাম না দিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Ekushey Medal Professor Dr Ahmed Shamsul Islams death

একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আহমদ শামসুল ইসলামের ইন্তেকাল

একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আহমদ শামসুল ইসলামের ইন্তেকাল ছবি: সংগৃহীত

একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক অধ্যাপক ড. আহমদ শামসুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে ইন্তেকাল করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। তিনি দুই পুত্র, এক কন্যা, ১৪ জন নাতি-নাতনিসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও ছাত্রছাত্রী রেখে গেছেন।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র অধ্যাপক ড. ইউসুফ ইসলাম সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, একমাত্র কন্যা ড. জেবা ইসলাম ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনের একজন অধ্যাপক এবং কনিষ্ঠ পুত্র ইঞ্জিনিয়ার খালিদ ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত।
অধ্যাপক ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ বছরেরও অধিক সময় বোটানি (উদ্ভিদবিজ্ঞান) পড়িয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
গবেষণা জীবনে তিনি প্রথমবারের মতো দুটি বাণিজ্যিক পাট জাতের মধ্যে সফল সংকরায়ণ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও, তিনি পাটের টিস্যু কালচার ও মাইক্রোপ্রপাগেশন কৌশল সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করেন।
দেশীয় অর্কিড ও আলু থেকে ভাইরাসমুক্ত গাছ উৎপাদনের লক্ষ্যে সোমাক্লোনাল ভ্যারিয়েশন, মেরিস্টেম কালচার ও মাইক্রোপ্রপাগেশনসহ নানা টিস্যু কালচার কৌশল তিনি উন্নয়ন ও প্রয়োগ করেন।
তার উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- প্রেসিডেন্ট’স গোল্ড মেডেল ইন অ্যাগ্রিকালচার (১৯৮৪), একুশে পদক (শিক্ষা, ১৯৮৬), বিএএস গোল্ড মেডেল ইন বায়োলজি (১৯৮৭), বাংলাদেশ বোটানি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণপদক (১৯৯৭), জিএনওবিবি প্রদত্ত লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (২০১৭)।
কুরআনের শিক্ষাকে কোমলমতি শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে তিনি ১৯৮০ সালে 'কুরআনিক স্কুল সোসাইটি' প্রতিষ্ঠা করেন।
তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- স্মৃতির পটে জীবন ছবি, রাইমস অব দ্য হার্ট, বংশগতিবিদ্যার মূলকথা ও জিন প্রকৌশল। বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The first Baishakh is being celebrated all over the country including the capital

রাজধানীসহ সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ

রাজধানীসহ সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ রাজধানীসহ সারাদেশে উৎসবের আমেজে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীসহ সারা দেশে উৎসবের আমেজে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের সকল শ্রেণী পেশার-মানুষ একাকার হয়ে বরণ করে নিচ্ছে ১৪৩২ বাংলা বছরকে।
‘এসো হে বৈশাখ’ গানের সুর এবং বাঙালির লোক গান, প্রদর্শনী, শোভাযাত্রা, আল্পনা, নানা বর্ণের ফেষ্টুনে রঙিন হয়ে উঠেছে রাজপথ। নারী পুরুষ, শিশু কিশোর রং বেরঙের পোশাকে সজ্জিত হয়ে মেতে উঠেছে বর্ষবরণের আনন্দে। রমনার বটমূল থেকে শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট- প্রেসক্লাব, রাজপথ অলিগলি সবখানে ভোর থেকে উৎসবমুখর মানুষের পদচারণা।
দিনটিকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, তিন পার্বত্য জেলা এবং অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল রাজধানীতে শোভাযাত্রা বের করে। পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানাতে ভোরে রমনা বটমূলে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন। বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক), বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বাংলাদেশ লোকশিল্প ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে।
এবারের বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের সকল নাগরিক, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কাছে অন্যরকম এক উৎসবের আবহ তৈরি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই প্রথমবারের মত দেশের সকল নাগরিক, সকল সম্প্রদায় ও নৃ-গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে আজ উদযাপন করছে সর্বজনীন উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ’ ।
এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ সেজেছে নতুন সাজে। বাঙালি জাতির শাশ্বত ঐতিহ্যের প্রতীক এ দিনটি উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলা বছরের প্রথম দিনটিকে উৎসবমুখর করে তুলতে বের হয় শোভাযাত্রা। বসেছে বৈশাখী মেলা। মেলাগুলোতে মেলে স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লোকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সব প্রকার হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী, খেলনা এবং বিভিন্ন লোকজ খাদ্যদ্রব্য যেমন: চিড়া, মুড়ি, খৈ, বাতাসা, বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি প্রভৃতির বৈচিত্র্যময় সমারোহ। গ্রামে, নগরে বন্দরে বাঙালির আনন্দঘন লোকায়ত সংস্কৃতি মেলায় বসেছে নাগরদোলা, পুতুলনাচ, যাত্রা, লোকজ গানের আসর। এই বিনোদন বাঙালি সমাজের হাজার বছরের শাশ্বত রূপ।
দিনটি উদযাপন উপলক্ষে সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মহানগর ও পৌরসভা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজস্ব কর্মসূচি পালন করছে। চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ দেশের সব জেলা উপজেলায় উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ির জাতিগত গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো একই সাথে পালন করেছে বৈসাবি উৎসব। ঢাকায় জনসাধারণের জন্য সকল জাদুঘর এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য এদিন কোনো টিকিট লাগবে না।
সংবাদপত্রগুলোতে পহেলা বৈশাখের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ ফিচার প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসহ অন্যান্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The possibility of storms in 4 districts including Dhaka by 5pm

রাত ১টার মধ্যে ঢাকাসহ ১৪ জেলায় ঝড়ের সম্ভাবনা

রাত ১টার মধ্যে ঢাকাসহ ১৪ জেলায় ঝড়ের সম্ভাবনা ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাসহ দেশের ১৪ জেলায় রাত ১টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
New Years desire for the nation to return to human voting rights Rizvi

নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া: রিজভী

নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া: রিজভী ছবি: সংগৃহীত

আজকের নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা অতিদ্রুত মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ সোমবার দুপুরে নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে সতীর্থ স্বজনের উদ্যোগে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন,'যার জন্য আমরা গত ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে লড়াই করছি এখনও সেটি নিশ্চিত হয়নি। সেটি নিশ্চিত করার পথেই আমরা এগুচ্ছি। কিন্তু, এটি নিয়ে টালবাহানা করা চলবে না। চলবে না এই অর্থেই যে, এটার জন্যই তো সংগ্রাম হয়েছে—সেটা হলো গণতন্ত্র। সুতরাং নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা মানুষের ভোটাধিকার ফিরেয়ে দেওয়া। কারণ, শেখ হাসিনা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই ভোটাধিকার কেড়ে নিতে গিয়ে তিনি(হাসিনা) আজীবন ক্ষমতাবিলাসী চেতনা নিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, দেশের ন্যায় বিচার, আদালত, আইন কানুন, গণমাধ্যম সবকিছু ভেঙেচুরে তছনছ করে দিয়ে একটা একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।
রিজভী বলেন, 'শেখ হাসিনার এই ভয়ংকর থাবার মধ্যেও এদেশের মানুষ তার নিজস্ব চিন্তা তার নিজস্ব সংস্কৃতি তার গৌরবময় অতীত এবং তার আবহমান বাংলার প্রকৃত যে আদর্শ—সেটা বুকে ধারন করেই লড়াই করেছে। আর এই লড়াই করেছে বলেই আমরা আজকে বিজয়ী হয়েছি।
তিনি বলেন, এই বিজয়কে আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে। এই বিজয়কে একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অবশ্যই আমি যে কথাটি বললাম— আজকের নববর্ষের জাতির আকাঙ্খা হচ্ছে অতিদ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, 'ভোটাধিকারকে কেন সংস্কারের সঙ্গে এক করে দেওয়া হচ্ছে? পৃথিবীর কোথাও তো এটা দেখা হয়নি। গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। গণতন্ত্র মানে একটা নদীর প্রবল স্রোতের মতো একটা পদ্ধতি, একটি ধারাবাহিকতা। যে নদীর পানি যত খরস্রোতা, সেই নদীর পানি তত স্বচ্ছ। কারণ, সেখানে কোনো ধরনের আবদ্ধতা তৈরি হয় না ‘।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, 'বিগত ১৫ থেকে ১৬ বছর অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি বিদেশি সংস্কৃতির উপদানগুলো আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে কত পরিকল্পিত এবং সূক্ষ্মভাবে তারা যে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে যে সমস্ত মুখোশ ব্যবহার করত, যে প্রতিকৃতিগুলো তারা ব্যবহার করত—সেখানে পরিকল্পিতভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিকৃতভাবে চিহ্নিত করে একে সেটা নিয়ে তারা মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছে।
তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত থাকতে হবে। সেখানে পরিকল্পিতভাবে দাড়িওয়ালা, টুপি ওয়ালাদেরকে বিকৃত করা হতো, কেন? সব দাড়িওয়ালা টুপিওয়ালারা তো স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতা করেনি। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ একটি পর্যায়ে বুঝতে পেরেছে আমরা একটি পরিকল্পিত আগ্রাসী শক্তির সাংস্কৃতিক আধিপত্যের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি।
রিজভী বলেন, '৫ আগস্টের আন্দোলনের যে সফলতা, এই যে দুনিয়া কাঁপানো যে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শুধু একটি রাজনৈতিক দল বা ফ্যাসিস্টের পতন নয়—এটা ছিল আমাদের পদলিত করে রাখার যে সাংস্কৃতিক অর্থনৈতিক আধিপত্যবাদী চক্রান্ত, সেটার বিরুদ্ধেও কিন্তু এই লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়া। শুধু হাসিনার পতন নয়, আমরা সমস্ত দিক থেকে বিজয়ী হয়েছি—এটার মধ্য দিয়ে।
এসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, কবি রেজাবুদ্দৌলা স্টারলিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা তৌহিদ আউয়াল, রাজু আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Ramna Botmuls songs are remembered for the victims of the year in Gaza

রমনা বটমূলে গানে গানে বর্ষবরণ, গাজায় নিহতদের স্মরণ

রমনা বটমূলে গানে গানে বর্ষবরণ, গাজায় নিহতদের স্মরণ রমনা বটমূলে ছায়ানটের গানে গানে বর্ষবরণ। ছবি: সংগৃহীত

সকালের সূর্য উঠার পর পরই রমনা বটমূলে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন। গানে গানে বাংলা ১৪৩২ সনকে বরণ করে নেয়া হয়।
ভোর সোয়া ছয়টার দিকে শিল্পী সুপ্রিয়া দাশের কণ্ঠে ভৈরবী রাগালাপের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখের এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠান শুরুর আগেই অনেক মানুষ সেখানে এসে ভিড় করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনুষ্ঠানস্থলে ভিড় বাড়তে থাকে। এবারের পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। এই প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে ছায়ানট একটি বার্তা দিতে চায়—আশা, সহনশীলতা আর পুনর্জাগরণের।
অনুষ্ঠানে স্মরণ করা হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহত মানুষদের। তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। নারীদের বেশিরভাগেরই পরনে শাড়ী। পুরুষদের পরনে বাহারি পাঞ্জাবি। পোশাক রঙবেরঙের হলেও লাল সাদার আধিক্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
গান আর আবৃত্তিতে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলা নববর্ষকে। সব দর্শনার্থী মন্ত্রমুগ্ধের মতো এ আয়োজন উপভোগ করেন। বর্ষবরণের এমন সুরের মূর্ছনায় অজান্তেই ঠোঁট মিলিয়েছেন তারা। অনেকে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখেছেন। একেকটি পরিবেশনা শেষ হতেই চলছিল তুমুল করতালি। নতুন বছর যেন ভালো কাটে এমনটি প্রত্যাশা তাদের।
অনুষ্ঠানস্থলে কথা হয় প্রবাসী ফাতেমা খানের সাথে। তিনি বলেন, আমি লন্ডনে থাকি। দীর্ঘদিন পর দেশে এসেছি। দেশে এসে গ্রামে গেলেও রমনা বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজন দেখতে রাতেই ঢাকা এসেছি। এখানে এসে ভালো লাগছে।
ছায়ানটের এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে স্মরণ করা হয় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহত মানুষদের। সকাল সাড়ে আটটার দিকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শেষের আগমুহূর্তে শিল্পী ও দর্শনার্থীরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
পরে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এ সময় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রামে অনন্য মাত্রা যুক্ত করেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই অসাম্প্রদায়িক উৎসব, নতুন বাংলা বছরকে বরণ করার আয়োজন। আমরা এক আলোকিত দেশ ও সমাজের স্বপ্ন দেখি, যে দেশের মানুষ সর্বজনের শান্তি-স্বস্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ধর্ম-জাতি-বিত্তের বিভাজন ভাঙবে, গড়বে উদার সম্প্রীতির সহিষ্ণু সমাজ।
তিনি আরও বলেন, নববর্ষের উষালগ্নে, আজ চোখ ফেলি হিসেব-নিকেশের হালখাতায়। একদিকে মুক্তির জন-আকাঙ্ক্ষা অর্জনের প্রত্যাশা, অন্যদিকে পীড়াদায়ক বিদ্বেষ-বিভক্তি, নারী-শিশুর অমানবিক মর্যাদাহানি ও অপরিণামদর্শী অসহিষ্ণুতা। সকল অতৃপ্তি প্রতিবিধানের দায় রাষ্ট্রের, তবে সমাজকেও সে দায় নিতে হয় বৈকি। সকলে ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ, মুক্তচিন্তার নির্ভয় প্রকাশ, আবহমান সংস্কৃতির নির্বিঘ্ন যাত্রা হৃদয়ে ধারণ করলে, মুক্তির আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুগম হবেই।
গাজায় গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে, গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনবাসী আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতি আমরা সংহতি জানাই।’
এ সময়ে তিনি ইসরাইলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহত মানুষদের স্মরণে সবাইকে এক মিনিট নীরবতা পালনের অনুরোধ জানান।
বাংলা বর্ষবরণের এই আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হয় ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।
ছায়ানট বাংলা বর্ষবরণের এই আয়োজন ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার এই বটমূলেই করে আসছে ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chittagongs DC Hill Certain Ceremony Certain Ceremony

চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণের মঞ্চ ভাঙচুর, অনুষ্ঠান বাতিল

চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণের মঞ্চ ভাঙচুর, অনুষ্ঠান বাতিল ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের ডিসি হিলে পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুরের পর বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন আয়োজকরা।
রোববার রাতের দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার ডিসি হিলের নজরুল স্কয়ারে অনুষ্ঠানস্থলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাচেষ্টাকারীরা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বলে দাবি করেছে। হামলাচেষ্টার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অনেক বছর ধরে ‘সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন পরিষদের’ ব্যানারে চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। এবার অনুষ্ঠানটি ৪৭ বছরে পা রাখতে চলেছে।
পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী টিটু বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ জনের যুবক ‘স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান নিয়ে মঞ্চের দিকে আসেন।
একপর্যায়ে তারা ডেকারেশনের কাপড় ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং মঞ্চের পেছনের কাপড়ও ছিঁড়ে ফেলেন।
হামলার পর পুলিশ সদস্যরা এসেছেন। তবে সোমবার (১৪ই এপ্রিল) অনুষ্ঠান করার মতো অবস্থা আর ছিল না বলে জানান তিনি।
টিটু বলেন, ‘ডিসি অফিসে মিটিংয়ের সময় উপস্থিতদের মধ্যে কয়েকজন হামলার সময়ও ছিলো বলে শুনেছি আমি। মঞ্চের পিছনের ডিজাইন তারাই ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে। বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আমরা বাতিল করছি। কারণ রিস্ক নেওয়া যাবে না।’
নববর্ষের দিনও এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে— এমন আশঙ্কা থেকেই এবারের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে থানায় নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, নববর্ষের অনুষ্ঠানটি ফ্যাসিস্টের দোসররা আয়োজন করেছে বলে হামলাকারীরা দাবী করেছেন।
হামলাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে উল্লেখ করে আলমগীর হোসেন বলেন, হামলায় কেউ আহত হয়নি, কেবল ব্যানার ছিঁড়েছে। তবে মূল মঞ্চের কিছু হয়নি।
এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

হাজারো প্রাণের উচ্ছ্বাসে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

হাজারো প্রাণের উচ্ছ্বাসে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ছবি : ওসমান গনি

হাজারো প্রাণের উচ্ছ্বাসে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার র‍্যালি শেষ হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ১০টা ৩০ মিনিটে চারুকলা অনুষদের সামনেই এসে সমাপ্ত হয়।
‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, কৃষক ও রিকশাচালক প্রতিনিধি, নারী ফুটবলার এবং ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রা বর্ণিল মুখোশ, রঙিন পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জায় উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এতে ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতীকী মোটিফ যেমন- তরমুজের ফালি ব্যবহৃত হয়।

মন্তব্য

p
উপরে