× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The BNP is in favor of having the opportunity to become prime minister with a break even if not more than twice
google_news print-icon

টানা দুবারের বেশি না পারলেও বিরতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকার পক্ষে বিএনপি

* ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক
টানা-দুবারের-বেশি-না-পারলেও-বিরতি-দিয়ে-প্রধানমন্ত্রী-হওয়ার-সুযোগ-থাকার-পক্ষে-বিএনপি--
ছবি: সংগৃহীত
* সংসদে নারী আসন ১০০-তে উন্নীত করার বিষয়ে একমত * সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনে সংশোধনে রাজি * নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ করার প্রস্তাবে দ্বিমত * ‘একই ব্যক্তি সংসদ নেতা এবং পার্টিপ্রধান হবেন না’, সুপারিশে ভিন্নমত

কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, সংস্কারপ্রক্রিয়ায় এ প্রস্তাবের পক্ষে একমত নয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি মনে করছে, টানা দুবারের বেশি না পারলেও বিরতি দিয়ে কেউ আবার প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলে, সে সুযোগ থাকতে হবে। এটা সংকুচিত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

বিষয়টি নিয়ে বিএনপির এ অবস্থানের কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনার বিরতিতে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় বারের মতো বৈঠক শুরু হয় বিএনপির।

আলোচনায় বিএনপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সাবেক সচিব মনিরুজ্জামান খান।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। তবে দলের অবস্থান স্পষ্ট। জনগণ যদি কোনো ব্যক্তিকে দুই মেয়াদের পর বিরতি দিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী করতে চায়, সেই সুযোগ সংকুচিত করা উচিত হবে না। আমরা বিষয়টি উন্মুক্ত রাখতে প্রস্তাব দিয়েছি।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, একই ব্যক্তি সরকার প্রধান ও দলীয় প্রধান হতে পারবে না- এমন চর্চা আমরা দেখি না। যুক্তরাজ্যেও আমরা দেখি, পার্টি প্রধানই সরকার প্রধান। এটি গণতান্ত্রিক চর্চা। যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রচলন হয় এবং নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রচলন করা যায়, তাহলে সেই ভোটে যারা ক্ষমতায় আসবে, মনে করতে হবে জনগণ তাদেরকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে আমরা শুনেছি আস্থা বিল এবং অর্থ বিলের ক্ষেত্রে প্রায় সবাই একমত। রাষ্ট্র পরিচালনার সুবিধার্থে এবং সরকারের স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করার স্বার্থে আমরা চারটা বিষয় এখানে উল্লেখ করেছি–অর্থ বিল, সংবিধান সংশোধনী বিল, আস্থা ভোট এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন– এই চারটা বিষয় বাদে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে তাদের বক্তব্য এবং ভোট প্রদান করতে পারবে। তাতে তাদের সংসদ সদস্যপদ বিলুপ্ত হবে না।’

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। সেখানে বলা আছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন বা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তাহলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে।

এই বিধানের কারণে খোদ সংসদেই গণতন্ত্র চর্চা ব্যহাত হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করে আসছেন রাজনীতির বিশ্লেষকরা। সেজন্য ৭০ অনুচ্ছেদ পুরোপুরি বিলোপের দাবিও জানিয়ে আসছে বিভিন্ন সংঠন। নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স নূন্যতম ২১ বছর করার প্রস্তাবনায় বিএনপির দ্বিমত প্রকাশ করেছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কিছু কিছু সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পদে বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা যায়, সবগুলোতে নয়। এক ব্যক্তি দল এবং সরকার প্রধান না হওয়ার প্রস্তাবনায় আপত্তি রয়েছে। এটি দলের স্বাধীনতা। গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য অপশন থাকা উচিত।’

ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদের বিপক্ষে অবস্থান জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আমরা এটার বিপক্ষে মতামত দিয়েছি। বিএনপি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চায়। তবে কমিশন তাদের প্রস্তাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে থাকা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের কথা যুক্ত করতে বলেছেন। বিএনপি সেখানে একমত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংসদে নারী আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত করার বিষয়ে বিএনপি একমত। কিন্তু এখন যেমন আছে, সেটা আগামী সংসদ পর্যন্ত বহাল থাকতে হবে। আগামী সংসদ গঠিত হওয়ার পর তাদের (নারীদের) কোন পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে ইন্টারনেট প্রাপ্তির বিষয়ে বিএনপি একমত জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হয় রাষ্ট্রকে। মৌলিক অধিকার বাড়ানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়টিও দেখতে হবে। তাই আমরা বলেছি, সংবিধানে অনেকগুলো বিষয় যুক্ত না করে, যা রাষ্ট্রের বাস্তবায়নের সক্ষমতা রয়েছে তাই করতে। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়, তারপরও নির্বাচন আয়োজনের সময় তারা প্রয়োজনের খাতিরেই ৯০ দিনের জন্য অনির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিতে চান।

‘দিস ইজ ডকট্রিন অব নেসেসিটি। আমাদের পলিটিক্যাল হিস্ট্রিতে ও কালচারে দেখা গেছে উইথআউট কেয়ারটেকার গভার্নমেন্ট আমরা কোনো ইলেকশনই অবাধ, নিরপেক্ষ সুষ্ঠু করতে পারি না।’ ‘যতদিন পর্যন্ত আমরা সেই কালচারে উন্নীত হতে না পারব, ততদিন পর্যন্ত আমাদের নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকারের বিধানটা রাখা উচিত। এই ভোটের জন্য আমরা ১৫ বছর আন্দোলনও করেছি,’ যোগ করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, রাষ্ট্রপতিকে কী কী বিষয়ে ক্ষমতায়িত করে আইন প্রণয়ন করা যায় সেসব কিছু বিষয়ে এবং নিয়োগের কিছু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। সেগুলো নতুন আইন প্রণয়ন করে সংসদ প্রণীত করা যাবে। সেক্ষেত্রে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স এবং রাষ্ট্রপতির আরো ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হবে।’

তবে ‘ন্যাশনাল কন্টিস্টিটিউশন কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাবে বিএনপি একমত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা একটা নতুন ধারণা বাংলাদেশের পলিটিক্যাল কালচারে বা সংসদীয় কালচারে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উভয় কক্ষের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতিসহ আরও কয়েকজনের কথা বলা আছে। এই বডিটার হাতে রাষ্ট্রের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষমতা–যেমন সব কমিশন, তিন বাহিনী প্রধান থেকে শুরু করে পিএসসি, দুদকসহ আরও যেসব সাংবিধানিক পদ আছে… এগুলো আমরা একমত নই।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, তাতে রাষ্ট্রের এক্সিকিউটিভ ফাংশনটাকে এত বেশি লিমিট করা হবে যে এক্সিকিউটিভ বা প্রধানমন্ত্রী যে নামেই ডাকি, তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা দায় হয়ে যাবে। অথচ দায়িত্বটা থাকবে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জনগনের কাছে এবং সংসদে কাছে, অথচ তার কাছে তেমন কোনো পাওয়ার দেওয়া থাকল না।’

বিএনপি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর রাখা পক্ষেই মত দিয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা কমিশনকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে চাই। সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে আমরা কাছাকাছি এসেছি। কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়েছি। গণতন্ত্রে মত-দ্বিমত থাকাই স্বাভাবিক। কারণ আমরা বাকশালে বিশ্বাস করি না।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Three people died in thunderbolt in seven districts of the country

দেশের সাত জেলায় বজ্রাঘাতে ১৩ জনের মৃত্যু

দেশের সাত জেলায় বজ্রাঘাতে ১৩ জনের মৃত্যু

দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ২৪ ঘণ্টায় বজ্রপাতে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন এবং কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন মারা গেছেন। এসব জায়গায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন।

কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার মুরাদনগরের কোরবানপুর পূর্বপাড়ার একটি মাঠে কৃষক নিখিল দেবনাথ ও জুয়েল ভূঁইয়া পাশাপাশি জমিতে ধান কাটছিলেন। এ সময় বজ্রপাত শুরু হলে এর আঘাতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন আরেক কৃষক নাজির।

একই সময় খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগচ্ছ গ্রামের কয়েকজন শিশু মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে এর আঘাতে ফাহাদ, জিহাদ ও আবু সুফিয়ান নামে তিনজন মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে হাসপাতালে নিলে ফাহাদ ও জিহাদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রাঘাতে কিশোরগঞ্জের হালালপুর গ্রামে ইন্দ্রজিৎ দাস নামে একজন মারা গেছেন। এ ছাড়া রানীগঞ্জ গ্রামে ধানের খড় ঢাকতে গিয়ে বজ্রাঘাতে ফুলেছা বেগম এবং খয়েরপুর হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে স্বাধীন মিয়া নামে এক যুবক বজ্রাঘাতে মারা গেছেন।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার বুড়িগাঙ্গাল হাওরে সকালে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান কলেজ শিক্ষার্থী রিমন তালুকদার। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে এর আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে জমি থেকে খড় আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে নিহত হয়েছেন বিশাখা সরকার নামে এক নারী।

নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোণার মদনে আজ মাদরাসায় যাওয়ার পথে বজ্রাঘাতে আরাফাত মিয়া নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে বজ্রাঘাতে মারা যান মাদ্রাসা শিক্ষক দিদারুল। মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অলিদুজ্জামান জানান, আরাফাত নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বজ্রাঘাতে মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, সোমবার দুপুরে কালবৈশাখী ঝড় হয় চাঁদপুরের কচুয়ায়। ঝড়ের সময় বজ্রপাতের বিকট শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে বিশকা রানী সরকার (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নাহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিশকা রানী নাহারা গ্রামের পূর্বপাড়া মন্দির ওয়ালা বাড়ির হরিপদ সরকারের স্ত্রী।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের বেপারীকান্দি এলাকায় বজ্রাঘাতে এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার নারীর নাম শেফালী বেগম (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা কৃষক ছোরহাব বেপারীর স্ত্রী।

নিহতের পরিবার জানায়, দুপুরে তিনি ও তার স্বামী গরুর জন্য ঘাস আনতে বিলে যান। ফেরার সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। সেখানে বজ্রাঘাতে শেফালী আহত হন। তার স্বামী দ্রুত ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শেফালীকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The schedule of the previously announced examination of the 5th BCS is postponed

৪৬তম বিসিএস-এর পূর্ব ঘোষিত লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি স্থগিত

৪৬তম বিসিএস-এর পূর্ব ঘোষিত লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি স্থগিত ছবি: সংগৃহীত

৪৬তম বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮ মে থেকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Would like to change in the format of power through a national certificate Ali Riaz

একটি জাতীয় সনদের মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন চাই: আলী রীয়াজ

একটি জাতীয় সনদের মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন চাই: আলী রীয়াজ ছবি: সংগৃহীত

একটি জাতীয় সনদ তৈরির মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটানো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জনগণের প্রতি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে বলে মত দেন তিনি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন, মতামত বা সুপারিশমালাই যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন তিনি। এজন্য রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিসহ জনমানুষের মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন কমিশনের এই সহ-সভাপতি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেছে, সেটি বাস্তবায়নের দুয়ার খুলতে হবে। শুধু কাগজে আমরা কী লিখছি; তা নয়, জনগণের প্রতি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা। যেটির মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটতে পারে, যাতে বাংলাদেশ তার সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জেগে উঠতে পারে।’

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আলোচনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরুর নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান ছাড়াও আরও আবু হানিফ, হাবিবুর রহমান রিজু, এডভোকেট খালিদ হোসেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল উজ্জামান, ফাতেমা তুজ জোহরা রেসা এবং মুনতাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।

ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। গণঅধিকার পরিষদসহ এ পর্যন্ত ২০টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
EC Gazette was announced by Israq as the mayor of Dhaka South City

ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা করে ইসির গেজেট প্রকাশ

ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা করে ইসির গেজেট প্রকাশ ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ রোববার রাতে এ সংক্রান্ত গেজেট সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী হিসেবে মেয়র ঘোষণা করা হয়। এ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ৩ মার্চ তাপস, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ আটজনকে বিবাদী করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। গত ২৭ মার্চ সেই ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল।

ইশরাক হোসেন প্রয়াত বিএনপি নেতা ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে।

সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ, ১ম আদালত, ঢাকা এ দায়েরকৃত নির্বাচনি মামলা নং-১৫/২০২০ এর ২৭ মার্চ ২০২৫ তারিখের আদেশে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে 'নৌকা' প্রতীক এর প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে 'ধানের শীষ' প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করায় এতদ্বারা নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত ১৯৯৩ নং পৃষ্ঠার ১নং কলামের ১নং ক্রমিকের বিপরীতে ২নং কলামে বর্ণিত ‘শেখ ফজলে নূর তাপস’ এর পরিবর্তে ‘ইশরাক হোসেনকে’ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা' এবং ৩নং কলামে বর্ণিত 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ' এর পরিবর্তে 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি' শব্দ ও চিহ্নসমূহ প্রতিস্থাপন করিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The chief adviser to return home

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান শেষে রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছান। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন ।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে জানান, রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকায় এসে পৌঁছান।

গত শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসও পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন।

অধ্যাপক ইউনূস চারদিনের সরকারি সফরে গত ২১ এপ্রিল কাতারের রাজধানী দোহা যান। পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে গত শুক্রবার সেখান থেকে তিনি সরাসরি রোমে পৌঁছান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If citizenship is guaranteed Dhaka will bring back the prisoners from India Foreign Advisor

নাগরিকত্ব নিশ্চিত হলে ঢাকা ভারত থেকে বন্দীদের ফিরিয়ে আনবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নাগরিকত্ব নিশ্চিত হলে ঢাকা ভারত থেকে বন্দীদের ফিরিয়ে আনবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতে আটক থাকা দেশের যেকোনো নাগরিককে ফিরিয়ে আনবে। তবে, তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য যাচাই করা প্রয়োজন।

তিনি আজ বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতে আটক থাকা কেউ যদি বাংলাদেশি নাগরিক বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের ফিরিয়ে আনব।’

হোসেন বলেন, তবে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক কিনা তা অবশ্যই যাচাই করা আবশ্যক।

ভারতে বাংলাদেশিদের আটকের খবর সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কেবল গণমাধ্যমের খবর সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে আমাদের সাথে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি।’

তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক বার্তা পাওয়ার পর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্দীদের জাতীয়তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সত্যাসত্য যাচাই শুরু করবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভারতের বাংলাভাষী কিছু লোক বাংলাদেশিদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সতর্কতার সাথে যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বৈধ ভারতীয় ভিসা নিয়ে ভ্রমণকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের হয়রানির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হোসেন বলেন, কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

তিনি বলেন, ‘সুস্পষ্ট সমঝোতা থাকা উচিত- যারা বৈধ ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করছেন, তারা তাদের ভ্রমণ সম্পন্ন করে যথা সময়ে দেশে ফিরে আসবেন।’

‘তবে, যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সংশ্লিষ্ট দেশের অধিকারের মধ্যে পড়ে।’

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ এখনও ভারত সম্পর্কে কোনো ভ্রমণ পরামর্শ জারি করেনি। তবে, এই মুহূর্তে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে নাগরিকদের ভ্রমণ এড়ানো উচিত।

হোসেন বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।

গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ শনিবার আহমেদাবাদ এবং গুজরাটের সুরাটে অভিযানের সময় ১,০২৪ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করার দাবি করেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The death sentence of the accused in the killing of two children by failing to rape a woman

নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই সন্তানকে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড

নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই সন্তানকে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড

বরগুনায় এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে দুই শিশুসন্তান বাধা দেওয়ায় তাদের হত্যা মামলায় ইলিয়াস পহলান নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মো. ইলিয়াস পহলান (৩৪) বরগুনা সদর উপজেলার পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রঞ্জু আরা শিপু, আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আহসান হাবীব স্বপন। আইনজীবী রঞ্জু আরা শিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট রাতে বরগুনা সদর উপজেলার ওই নারী তার মেয়ে তাইফা (৩) ও ছেলে হাফিজুলকে (১০) নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ইলিয়াস তাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে পড়েন। বিষয়টি টের পেয়ে বাধা দেন ওই নারী। এ সময় তাইফা ও হাফিজুলের ঘুম ভেঙে গেলে ইলিয়াস ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনজনকেই কুপিয়ে আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় হাফিজুল নিহত হয়, আর বরিশালে নেওয়ার পথে মারা যায় শিশু তাইফা।

তবে গুরুতর আহত ওই নারী দীর্ঘ চিকিৎসার পর প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনার পরই ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়।

তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে ইলয়াস পহলানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দোষী তাকে সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।

এ ছাড়াও ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছর করে আরও ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মন্তব্য

p
উপরে