× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Human food will be made from plastic
google_news print-icon

প্লাস্টিক থেকে তৈরি হচ্ছে মানুষের খাবার!  

প্লাস্টিক
প্লাস্টিকের ছোট খণ্ডগুলো সিউডোমোনাস ও রোডোকোকাসের মতো বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়াকে খাওয়ানো হয়। এসব ব্যাকটেরিয়া এমন কোষ তৈরি করে যার প্রায় ৫৫ শতাংশ প্রোটিন। সব প্লাস্টিক উদরপূর্তি করার পর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মানুষের খাওয়ার উপযোগী করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। 

প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে দুর্ভাবনায় গোটা পৃথিবী। সারা বিশ্বের সাগর-মহাসাগর দূষিত করে তুলছে প্লাস্টিক বর্জ্য। হুমকিতে পড়ছে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা। তবে এই বিভীষিকার অবসান সম্ভবত ঘটতে যাচ্ছে। আগামীর পৃথিবীতে দূষণ ঘটানোর পরিবর্তে মানুষের খাদ্যের উৎস হয়ে উঠতে পারে প্লাস্টিক।

বিজ্ঞানী স্টিফেন টেকটমান এমন এক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে কিছুটা সফলও হয়েছেন তিনি।

তবে বিষয়টি এমন নয় যে প্লাস্টিকের আসবাব বা খেলনা সরাসরি মুখে পুরে ফেলা যাবে। প্লাস্টিককে চূর্ণ করে বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে সুস্বাদু ও নিরাপদ খাদ্যে পরিণত করার গবেষণা চালাচ্ছেন টেকটমান।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের মতে, বছরে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টন। এসব বর্জ্যের শেষ ঠিকানা হয় সাগর-মহাসাগর। এই বর্জ্যের মাত্র ৯ শতাংশ রিসাইকেল করা হয়, তবে প্রক্রিয়াটি বেশ শ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল।

মিশিগান টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ল্যাবে টেকটমান, শক্ত ‘হজমশক্তি’র কিছু ব্যাকটেরিয়াকে গিনিপিগের মতো ব্যবহার করছেন। এই ব্যাকটেরিয়া প্লাস্টিককে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে ভোজ্য, প্রোটিন-সমৃদ্ধ উপজাতে পরিণত হয়।

টেকটমান বলেন, ‘ব্যাকটেরিয়া ও পরিবেশে এর ভূমিকা নিয়ে আমি সব সময় গবেষণা করেছি। জানার চেষ্টা করেছি, কীভাবে আমরা সমস্যা সমাধানে এদের ব্যবহার করতে পারি। আমি ছড়িয়ে পড়া তেল পরিষ্কারের উপায় নিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করেছি। এ সময়ে দেখেছি, প্লাস্টিক ও তেলের ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। প্লাস্টিক কিন্তু আদতে তেল থেকেই উৎপন্ন হয়েছিল।’

এর আগে আলকানিভোর‍্যাক্স বরকুমেনসিস প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে ছড়িয়ে পড়া তেল পরিষ্কারের কাজ করেছেন বিজ্ঞানীরা। টেকটমান পরে দেখার চেষ্টা করেন, এই ব্যাকটেরিয়ার ক্ষুধাকে প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় কিনা। প্লাস্টিককেও তারা খাবারে পরিণত করতে পারে কিনা।

টেকটমান বলেন, ‘আপনি যদি আণবিক পর্যায় থেকে ভাবেন তাহলে ব্যাকটেরিয়ার উপাদানের সঙ্গে আমাদের খাবারের খুব মিল রয়েছে। এগুলোতে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। তা ছাড়া এরা লিপিড, চর্বি ও ভিটামিনসমৃদ্ধ। আমরা শেষে যে পণ্যটি তৈরি করছি তা অনেকটা প্রোটিন পাউডারের মতো। অবশিষ্ট অণুজীবের কোষগুলো আর জীবিত থাকে না। প্রোটিন ও লিপিড পাওয়ার জন্য আমরা তাদের ব্যবহার করছি।’

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে প্লাস্টিককে খাদ্যে পরিণত করার প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক নাম বায়োলজিক্যাল প্লাস্টিক রি-ইউজ বাই ওলেফিন অ্যান্ড এস্টার ট্র্যান্সফরমিং ইঞ্জিনিয়ার্ড আইসোলেটস অ্যান্ড ন্যাচারাল কনসরটিয়া বা বায়োপ্রোটিন।

টেকটমানের দল এরই মধ্যে অল্প পরিমাণে খাবার উপযোগী প্রোটিন পাউডার তৈরি করতে পেরেছে। তবে এর স্বাদ এখনও কেউ পরীক্ষা করেনি। টেকটমান অবশ্য বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ান ভেজিমাইট স্প্রেডের মতো এটি খামির ও গন্ধযুক্ত।

পলি-ইথাইলিন (পিই), পলিপ্রোপাইলিন ও প্লাস্টিক বোতলে ব্যবহৃত পলিথাইলিন টেরেপথ্যালেটের মতো প্লাস্টিককে রাসায়নিকভাবে কয়েক ঘণ্টার জন্য চুল্লিতে প্রি-ট্রিট করতে হয়। পাখিরা অনেকটা এভাবে তাদের বাচ্চাদের জন্য খাবার চিবিয়ে দেয়। এতে প্লাস্টিক তৈলাক্ত খণ্ডে পরিণত হয়, আর ব্যাকটেরিয়াগুলো কয়েক দিনের মধ্যে তা দ্রুত হজম করে ফেলে।

প্লাস্টিকের ছোট খণ্ডগুলো সিউডোমোনাসরোডোকোকাসের মতো বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়াকে খাওয়ানো হয়। ব্যাকটেরিয়াগুলো এই বুফেতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে। এরা এমন কোষ তৈরি করে, যা প্রায় ৫৫ শতাংশ প্রোটিন। সব প্লাস্টিক উদরপূর্তি করার পর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মানুষের খাওয়ার উপযোগী করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

টেকটমান বলেন, ‘এসব ব্যাকটেরিয়ার কোনোটি মানুষের কোনো রোগ সৃষ্টি করে না। আমরা যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করছি তাতে ব্যাকটেরিয়াকে খাবার হিসেবে ব্যবহার করার আগে তাদের পাস্তুরিত করা হবে। এক কথায় বলা যায় রান্না করা হবে।’

টেকটমান ও তার দল আশা করছে, এই গবেষণার মাধ্যমে একই সঙ্গে ক্ষুধা ও প্লাস্টিক বর্জ্যের সমস্যা সমাধানের পথ উন্মোচিত হবে।

এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘নিরাপত্তাঝুঁকি মোকাবিলার জন্য আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কাজ করছি। আমরা এমন একটি খাদ্যপণ্য তৈরি করতে চাই, যা নিরাপদ। মাইক্রোবিয়াল বায়োমাসের নিরাপত্তা ও পুষ্টি উপাদান মূল্যায়ন করতে আমরা অনেকগুলো পরীক্ষা করছি।’

টেকটমান বলেন, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য আমাদের একটি বড় সমস্যা। এর সমাধানে আসতে অনেক দক্ষতা, শক্তি ও প্রচেষ্টার প্রয়োজন। সংকট মোকাবিলায় যদি ছোট কোনো অবদানও রাখতে পারি, সেটি হবে দারুণ এক্সাইটিং।’

আরও পড়ুন:
মানুষের আদি উৎসের সন্ধান দিলেন নোবেলজয়ী এসভান্তে পেবো
শূন্য থেকে বস্তুকণা বানালেন বিজ্ঞানীরা
দস্যি শিশুকেও ১৩ মিনিটে ঘুম পাড়াবেন যেভাবে
মদে লবণ মেশালে কি সিরকা হয়?
৩১ হাজার বছর আগেই ছিল দক্ষ শল্যচিকিৎসা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

যুক্তরাজ্যের জাদুঘরে মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বইয়ের সন্ধান

যুক্তরাজ্যের জাদুঘরে মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বইয়ের সন্ধান

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে কুখ্যাত খুনিদের একজনের চামড়ায় বাঁধানো একটি বইয়ের সন্ধান মিলেছে একটি জাদুঘরের কার্যালয়ে। ১৮২৭ সালে ইংল্যান্ডে সাফোকের পোলস্টিডে রেড বার্ন গুদামঘরে প্রেমিকা মারিয়া মার্টেনকে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন উইলিয়াম কর্ডার নামের এক ব্যক্তি। তার চামড়া দিয়েই বইটি বাঁধানো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাফোকের ময়সেস হল মিউজিয়ামে এই বই একইরকম অন্য আরেকটি বইয়ের সঙ্গে প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

হেরিটেজ কর্মকতা ড্যান ক্লার্ক বলেছেন, এই বইগুলোর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মূল্য আছে। তাছাড়া, মানুষের চামড়ায় বাঁধানো প্রথম বইটি জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রেখে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান।

‘হরিবল হিস্টোরিজ’ রচনা সমগ্রের লেখক টেরি ডেয়ারি অবশ্য এই প্রত্নবস্তুগুলো বীভৎস বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এমন দুটো বই-ই তিনি পুড়িয়ে ফেলতে চান।

সাফোকের পোলস্টিডে ১৮২৭ সালের ওই খুনের ঘটনা জর্জিয়ান ব্রিটেনকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। তখন থেকেই ঘটনাটি বহু সিনেমা, বই, নাটক এবং লোকগীতির বিষয়বস্তু হয়ে আছে।

সবচেয়ে বেশি চাউর হয়েছে কর্ডারের সঙ্গে মার্টেনের প্রেমকাহিনীর সংস্করণ। এই কাহিনীতে বলা আছে, কর্ডার রেড বার্ন -এ দেখা করার জন্য আসতে বলেছিলেন প্রেমিকা মার্টেনকে।

সেখান থেকে পালিয়ে একটি শহরে গিয়ে তারা বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছিলেন কর্ডার। কিন্তু সেই রেড বার্নেই মার্টনকে গুলি করে খুন করেন কর্ডার এবং খড়ের গাদায় পুঁতে দেন লাশ।

১৮২৮ সালের ১১ আগস্ট কর্ডার ধরা পড়েন এবং প্রকাশ্যেই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার মৃতদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় এবং চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা হয় বই। সেই বইয়ে লিপিবদ্ধ ছিল কর্ডারের বিচারের কাহিনি।

১৯৩৩ সালে বইটি জাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়করা ক্যাটালগ দেখতে গিয়ে বুঝতে পারেন সেখানে আরেকটি বই রয়েছে যেটি এত দিন চোখে পড়েনি।

সেই বইটি জাদুঘরে দান করেছিল একটি পরিবার, যাদের সঙ্গে কর্ডারের দেহ কাটাছেঁড়া করার সার্জনের ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। বইটি জাদুঘরের গুদামে ছিল না, বরং ছিল কার্যালয়ের বইয়ের শেলফে অন্যান্য বইয়ের সঙ্গে।

কিন্তু বইটি বাঁধাই করা ছিল অনেক বেশি সনাতনী উপাদান দিয়ে। হেরিটেজ কর্মকর্তা ক্লার্ক বলেন, জাদুঘরে হারানো বই আমরা খুঁজে পেয়েছি। যেটি দশকের পর দশক ধরে দেখা হয়নি।

কর্ডারের চামড়ায় বাঁধানো প্রথম বইয়েরর সঙ্গে দ্বিতীয়টির কিছুটা পার্থক্য আছে। প্রথম বইয়ের চামড়ার মলাট অনেকটাই পূর্ণাঙ্গ। আর দ্বিতীয় বইয়ের কেবল বাঁধাইয়ের জায়গা এবং কোনাগুলোতে চামড়া লাগানো আছে।

মানুষের চামড়া দিয়ে বই বাঁধাই করা ‘এনথ্রোপোডার্মিক বিবলিওপেজি’ নামে পরিচিত। ‘হরিবল হিস্টোরিজ’-এর লেখক টেরি ডেয়ারির মতে, একজন মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারার চেয়েও জঘন্য কাজ হচ্ছে মৃত্যুর পর তার দেহ ছিন্নভিন্ন করা। চামড়া দিয়ে বই বাধাঁনো আরও বাড়াবাড়ি।

তবে হেরিটেজ কর্মকর্তা ক্লার্ক বলছেন, ‘দেশজুড়ে প্রতিটি জাদুঘরেই আমরা মানুষের দেহাবশেষ দেখতে পাই।’

সূত্র: বিডিনিউজ

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Worlds largest coral discovery

বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল আবিষ্কার

বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল আবিষ্কার
প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বিশ্বের বৃহত্তম প্রবালের সন্ধান পেয়েছেন একদল গবেষক। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে তিনশ’ বছরেরও বেশি পুরনো প্রবালটি খুঁজে পান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভিডিওগ্রাফার মানু সান ফেলিক্স। দৈর্ঘ্যে ১১১ ফুট ও প্রস্থে ১০৪ ফুট প্রবালটির আকার একটি পূর্ণবয়স্ক নীল তিমির চেয়েও বড়।

প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বিশ্বের বৃহত্তম প্রবালের সন্ধান পেয়েছেন একদল গবেষক। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে তিনশ’ বছরেরও বেশি পুরনো প্রবালটি খুঁজে পান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভিডিওগ্রাফার মানু সান ফেলিক্স। দৈর্ঘ্যে ১১১ ফুট ও প্রস্থে ১০৪ ফুট প্রবালটির আকার একটি পূর্ণবয়স্ক নীল তিমির চেয়েও বড়।

ধারণা করা হচ্ছে, এক বিলিয়নের বেশি ক্ষুদ্র প্রাণী ও জলজ অণুজীবের উপস্থিতি রয়েছে প্রবালটিতে। এর মাধ্যমে জলজ প্রকৃতি নিয়ে গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

তিনশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল এই বিশাল প্রবাল। সদ্য আবিষ্কৃত এই জলজ বিস্ময়টি এখন পর্যন্ত জানা বিশ্বের সবচেয়ে বড় একক প্রবাল বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

কোরাল বা প্রবাল এক ধরনের সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী। বছরের পর বছর ধরে একসঙ্গে থাকতে থাকতে, পুঞ্জিভূত হয়ে গঠিত হয় বিশাল প্রবাল প্রাচীর। সঙ্গে যুক্ত হয় শৈবাল, মৃত জলজ প্রাণীর দেহাবশেষ ও পলিপ। সব মিলিয়ে জীবন্ত প্রাণীর তৈরি এক আশ্চর্য স্থাপনা এই প্রবাল।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক জীব-বৈচিত্র্য। আজারবাইজানের বাকুতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ এর মধ্যেই, সমুদ্র তলদেশের অবস্থা পর্যালোচনা করতে বৈজ্ঞানিক অভিযান চালায় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।

অনেকটা দৈবক্রমেই প্রবালটি আবিষ্কার করেন ন্যাট জিও’র ভিডিওগ্রাফার মানু সান ফেলিক্স। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে স্বচ্ছ পানিতে ছেলেকে নিয়ে ডুব দেন তিনি। প্রথমে এটিকে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ মনে করে এগিয়ে গেলেও পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বুঝতে পারেন জীবন্ত প্রাণীদের তৈরি অসামান্য সৌন্দর্য আবিষ্কার করে ফেলেছেন তিনি।

গবেষকদের ধারণা, বিশ্বের বৃহত্তম জলজ প্রাণী নীল তিমির চেয়েও আকারে অনেকটা বড় এই প্রবাল।

এতোদিন যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়াতে থাকা ‘বিগ মামা’ প্রবালটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছিল। তবে নতুন সন্ধান পাওয়া প্রবালটি ‘বিগ মামা’র চেয়েও প্রায় তিন গুণ বড়। ৩৪ মিটার দীর্ঘ প্রবালটি এতটাই বিশাল যে ধারণা করা হচ্ছে, মহাকাশ থেকেও দেখা যাবে এটি।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Two dragon fruits were sold for 45 thousand

৪৫ হাজারে বিক্রি হলো দুটি ড্রাগন ফল

৪৫ হাজারে বিক্রি হলো দুটি ড্রাগন ফল মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার মাহফিলে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া দুটি ড্রাগন ফল। ছবি: নিউজবাংলা
পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল হাফিজ বলেন, ‘মাদ্রাসার ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী টিপু সুলতান চৌধুরী দুটি ড্রাগন ফল দান করেন। পরে এই দুটি ফল নিলামে তোলা হলে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মূলত এই ফল এত দামে বিক্রি হওয়ার কারণ হলো মাদ্রাসায় সহযোগিতা করা। যিনি ফল কিনেছেন, তিনি হলেন আমাদের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তিনি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী।’ 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে একটি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে একজনের দান করা দুটি ড্রাগন ফল ৪৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রির হয়েছে।

উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে লিপু সুলতানা চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি দুটি ড্রাগন ফল মাদ্রাসায় দান করেন। মধ্যরাতে মাহফিলের শেষ বক্তা শায়খুল হাদিস মুফতি মুশাহিদ আলী ক্বাসেমী ড্রাগন ফল দুটি প্রকাশ্যে নিলামে তোলেন। নিলামের একপর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ফল দুটি কিনে নেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আলহাজ আলমগীর চৌধুরী।

ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে অংশ নেয়া শ্রোতারা জানান, মাহফিল শেষে দোয়ার আগে ড্রাগন ফল দুটি নিলামে তোলা হয়। দুই হাজার টাকা থেকে নিলাম শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। নিলামে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা।

পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল হাফিজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাদ্রাসার ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী টিপু সুলতান চৌধুরী দুটি ড্রাগন ফল দান করেন। পরে এই দুটি ফল নিলামে তোলা হলে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

‘মূলত এই ফল এত দামে বিক্রি হওয়ার কারণ হলো মাদ্রাসায় সহযোগিতা করা। যিনি ফল কিনেছেন, তিনি হলেন আমাদের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তিনি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী।’

আরও পড়ুন:
মেয়ে হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বাবা গ্রেপ্তার
সুফিয়ার নৌকায় চলে সাতজনের সংসার
ধলাই নদীর বাঁধে দুটি স্থানে ভাঙন, ডুবেছে ৪০ গ্রাম
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডি দিবসে ১৪ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি
ফেসবুক লাইভে হত্যার হুমকির অভিযোগে জিডি কুলাউড়ার মেয়রের

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Dolphins in Patuakhali reservoir

পটুয়াখালীর জলাশয়ে ডলফিন

পটুয়াখালীর জলাশয়ে ডলফিন বৃহস্পতিবার সন্ধ‌্যা ৬টার দি‌কে ডল‌ফিন‌টি‌কে ব‌ঙ্গোপসাগর-সংলগ্ন আন্ধারমা‌রিক নদী‌র মোহনায় অবমুক্ত করা হ‌য়। ছবি: নিউজবাংলা
কলাপাড়া উপ‌জেলার জালালপুর গ্রা‌মে আন্ধারমা‌নিক নদী-সংলগ্ন জলাশ‌য়ে বোটলনোজ প্রজাতির একটি জীবিত ডলফিনটি পাওয়া যায়। এটির দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ও প্রস্থ দেড় ফুট।

কুয়াকাটা সৈক‌তে মৃত ডল‌ফিন ভে‌সে আসার পর এবার পটুয়াখালীর এক‌টি জলাশয় পাওয়া গেল জী‌বিত ডল‌ফিন।

কলাপাড়া উপ‌জেলার জালালপুর গ্রা‌মে আন্ধারমা‌নিক নদী-সংলগ্ন জলাশ‌য়ে বোটলনোজ প্রজাতির একটি জীবিত ডলফিনটি পাওয়া যায়। এটির দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ও প্রস্থ দেড় ফুট।

বৃহস্পতিবার সন্ধ‌্যা ৬টার দি‌কে ডল‌ফিন‌টি‌কে ব‌ঙ্গোপসাগর-সংলগ্ন আন্ধারমা‌রিক নদী‌র মোহনায় অবমুক্ত করা হ‌য়ে‌ছে ব‌লে নিশ্চিত ক‌রেন কলাপাড়া উপ‌জেলা জ্যেষ্ঠ মৎস‌্য কর্মকর্তা অনুপ কুমার সাহা।

এসময় ডলফিনটিকে এক নজর দেখতে জলাশ‌য়ের দুপা‌ড়ে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।

মৎস‌্য কর্মকর্তা অনুপ কুমার সাহা জানান, শেষ বিকেলে আন্ধারমা‌নিক নদী থে‌কে ডল‌ফিন‌টি ভাসতে ভাসতে ওই জলাশ‌য়ে প্রবেশ ক‌রে। প‌রে খবর পে‌য়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক এবং ওয়ার্ল্ড ফিশ ইকোফিশ-২ এর সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতির পরামর্শ অনুযায়ী ডলফিনটিকে উদ্ধার করে নিবিড় পর্যক্ষণে রেখে খাবার দিয়ে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করা হয়।

এক পর্যা‌য়ে স্থানীয় প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠন অ্যানিম্যাল লাভার্স অফ পটুয়াখালীর সদস্য ও মো. সুজন বৃহস্পতিবার সন্ধ‌্যা ৬টার দি‌কে ডলফিনটিকে অবমুক্ত করেন।

আল মুনজির বলেন, ‘জেলেদের জালে আটকে ডলফিনটি আহত হয়। আমাদের ধারণা, পরে পথভ্রষ্ট হয়ে এটি আন্ধারমানিক নদী হয়ে জলাশ‌য়ে ঢুকে পড়ে।’

এর আগে কখনও দক্ষিণাঞ্চলে জী‌বিত ডলফিন ভেসে আসার খবর পাওয়া যায়নি ব‌লে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
কুয়াকাটা সৈকতে অর্ধগলিত ডলফিন
হালদায় এক সপ্তাহে ৩ ডলফিনের মৃত্যুর কারণ কী
৭ দিনের ব্যবধানে হালদায় আরও দুটি মৃত ডলফিন
হালদার বুকে আরও একটি মৃত ডলফিন
এবার কুয়াকাটা সৈকতে ‘সদ্যোমৃত’ ডলফিন

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Hard stone Vishnu idol recovered from the bottom of the pond in Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে পুকুরের তলদেশ থেকে কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে পুকুরের তলদেশ থেকে কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার উত্তর বেতকা গ্রামের এক পুকুর থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
মূর্তিটি উচ্চতায় ৩৭ ইঞ্চি ও প্রস্তে ১৭ ইঞ্চি। এটি রাষ্ট্রীয় সংরক্ষণাগারে পাঠানো হবে বলে টঙ্গীবাড়ি জানান ইউএনও আসলাম হোসাইন।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে পুকুরের তলদেশের মাটি খননকালে কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার উত্তর বেতকা গ্রামের সোহেল শেখের বাড়ির পুকুরের মাটি খননকালে ওই মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।

টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসলাম হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইউএনও জানান, সকালে উত্তর বেতকা গ্রামের সোহেল শেখের একটি পুকুরের মাটি খনন করছিলেন শ্রমিকরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোবারক শেখ ও মিতুল হোসেন নামের দুই শ্রমিক মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে মূর্তিটি দেখতে পান। পরে তারা বেতকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রোকনুজ্জামান শিকদার রিগ্যানকে বিষয়টি জানান। এরপর ওই জনপ্রতিনিধি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইউএনওকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মূর্তিটি উদ্ধার করেন।

মূর্তিটি উচ্চতায় ৩৭ ইঞ্চি ও প্রস্তে ১৭ ইঞ্চি। এটি রাষ্ট্রীয় সংরক্ষণাগারে পাঠানো হবে বলে জানান ইউএনও আসলাম হোসাইন।

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার

মন্তব্য

আমের বোঁটায় মুকুলের বাহার

আমের বোঁটায় মুকুলের বাহার ছবি: নিউজবাংলা
বাগানের মালিক দুলাল হোসেন রুবেল বলেন, ‘আমের বোঁটার মুখে আবার নতুন করে মুকুল আসতে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছি। আল্লাহ চাইলে সবই পারেন, এটি দেখে তাই প্রমাণ হলো আবার। এটি আমার কাছে আল্লাহর একটি নিদর্শন মনে হয়েছে।’

আম গাছে মুকুল আসে, সেই মুকুল থেকেই হয় আম। তবে ফরিদপুরের একটি আম বাগানে দেখা মিলেছে ভিন্ন চিত্র। আম গাছের ডালে নয় বরং গাছের আমের বোঁটার গোড়া থেকে বের হয়েছে অসংখ্য আমের মুকুল। আর সেই মুকুল থেকে এরইমধ্যে ধরেছে আমের গুটি।

এমন বিস্ময়কর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ফরিদপুরের ধলার মোড়ের কাছে একটি আম বাগানে। আর এ খবর জানতে পেরে তা দেখতে ছুটে আসছেন অনেকে।

পদ্মার পারে চরের খাঁ খাঁ বিরান জমিতে সবুজের দেখা পাওয়া ভার। চোখ মেললে চারদিকে শুধু ধু ধু বালির চর। এমনই এক পরিবেশে চার বছর আগে স্থানীয় যুবক দুলাল হোসেন রুবেল তার খামার বাড়িতে শখের বসে গড়ে তোলেন ফলজ বাগান। প্রায় শতাধিক আম গাছের সঙ্গে এখানে তিনি আরও বেশ কিছু ফলের চারা রোপন করেন। এরইমধ্যে তার এই আমবাগানের গাছগুলো বড় হয়ে ফলবতী হয়ে উঠেছে। এবার তার আমবাগানে ধরেছে প্রচুর আম। তবে সব আমের ভিড়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে আমেরিকান রেড পালমার জাতের একটি আম গাছ। এই গাছের একটি আম বড় হওয়ার পরে সেই আমের বোটার মুখ থেকে নতুন করে বের হয়েছে আবার নতুন মুকুল।

বাগানের মালিক দুলাল হোসেন রুবেল বলেন, ‘আমের বোঁটার মুখে আবার নতুন করে মুকুল আসতে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছি। আল্লাহ চাইলে সবই পারেন, এটি দেখে তাই প্রমাণ হলো আবার। এটি আমার কাছে আল্লাহর একটি নিদর্শন মনে হয়েছে।’

আমের বোঁটায় মুকুলের বাহার

রুবেল বলেন, ‘চার বছর আগে রেড পালমার জাতের এই আম গাছটি আমি বৃক্ষমেলা থেকে কিনি। পরের বছরই ফল আসে। আর এবার এলো আম থেকে আসা এই অবাক করা আমের মুকুল।’

তিনি বলেন, ‘ধলার মোড়ের এই এলাকায় আগে আশেপাশে কোনো সবুজ ছিল না। এই জায়গটি ছিল ২০ ফুট গভীর। চার বছর লেগেছে আমার এই বাগানটি দাঁড় করাতে। এখন বাগানটি সবুজে ভরে গেছে। আমাদের এই ধলার মোড়ে আমার এই বাগানটি ছাড়া আশপাশে আর কোনো সবুজ চোখে পড়ে না।’

মূলতঃ পরিবেশের কথা বিবেচনা করেই ৬৯ শতাংশ জমির ওপর এই খামার বাড়ি গড়ে তোলেন বলে জানান রুবেল। বলেন, ‘সেখানে আম, কলা, লিচু, চালতা, সফেদাসহ নানা ফলমূলের গাছ লাগিয়েছি। এখানে রেড পালমার ছাড়াও মিয়াজাকি, বানানা ম্যাঙ্গো, দেশীয় হাড়িভাঙা, বারি ফোরসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৯০টি আম গাছ রয়েছে।

‘সামনের অংশে এবার ড্রাগন ফলের চাষ করছি। এছাড়া কবুতর ও খরগোশ পালছি। আগে কিছু গাড়ল ছিল, সেগুলো এখন চরে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

রুবেলের স্ত্রী সৈয়দা সানজিদা মিশু বলেন, ‘আমের বোঁটা থেকে এভাবে আবার আমের মুকুল ধরতে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছি। মুকুল থেকে আবার নতুন করে আমের গুটিও এসেছে। এখন দেখার পালা, এই আমের গুটি কত বড় হতে পারে। যদি সেগুলো পরিপূর্ণ আম হয়ে উঠে তাহলে সেটি হবে আরেকটি বিস্ময়কর ব্যাপার।’

আমের বোঁটায় মুকুলের বাহার

জহুরুল আলম শোভন নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘আমি এই আমের ওপর মুকুল ধরার খবর জেনে দেখতে এসেছি। এখন মনে হচ্ছে, আমি একটি বিস্ময়কর ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলাম।’

সৈয়দ মোস্তফা আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার বয়স ৭৬ বছর। আমার এই দীর্ঘজীবনে আমি ফলের গায়ে এভাবে মুকুল চোখে দেখিনি বা শুনিনি। গতকাল সন্ধ্যায় আমি খবরটি শুনতে পেয়ে নিজ চোখে দেখার জন্য এসেছি। আমের বোঁটার উপরে মুকুল ধরেছে, আবার সেই মুকুল থেকে ছোট ছোট আমের গুটি বের হচ্ছে। এটি আল্লাহরই একটা নেয়ামত।’

এ ব্যাপারে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক দেব নারায়ণ রায় বলেন, ‘উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে বলা হয় এমব্রায়োজেনোসিস (embryogenesis), যাকে বাংলায় বলা হয় বহুভ্রুনিতা। এটি একটি ভ্রূণজনিত প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ভ্রূণের গঠন ও বিকাশ হয়। অনেকসময় অতিরিক্ত ফলনের জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় হরমোন প্রয়োগ করা হলে এমনটি ঘটে থাকে।’

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Crowded to see 35 gourds at one end

এক ডগায় ৩৫ লাউ দেখতে ভিড়

এক ডগায় ৩৫ লাউ দেখতে ভিড় ৩৫টি লাউ ধরেছে একটি ডগায়। ছবি: নিউজবাংলা
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান জানান, এক ডগায় অসংখ্য লাউ ধরা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা না। বিভিন্ন কারণে এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে।

কামাল হোসেন এবং লাভলী আকতার দম্পতির বাড়িতে লাউয়ের গাছে হঠাৎ করেই একটি গিঁট (গাছের শাখার সংযোগস্থল) থেকে অসংখ্য লাউয়ের ফুল বের হতে থাকে। সেই ফুল থেকে এক এক করে ধরেছে ৩৫টি লাউ। এ খবর পেয়ে অনেকেই এসে তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন লাউ দেখতে।

জনপ্রিয় কিছু সবজির মধ্যে অন্যতম হলো লাউ। এ সবজি বেশ সহজলভ্য। পুষ্টিগুণে ভরা লাউ উপাদেয় খাবার। লাউ সাধারণত একটি ডগায় একটি হয়ে থাকে। তাই এক ডাগায় ৩৫টি লাউ ধরা কিছুটা হলেও অস্বাভাবিক বিষয়।

ব্যতিক্রমী এ ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের জোতনছর গ্রামে।

ওই দম্পতি জানান, তারা দুই মাস পূর্বে দেশি লাউগাছের বীজ এনে লাগিয়েছিলেন। বীজ থেকে চারটি গাছ বড় হয়ে মাচায় ওঠে। তিনটি গাছ স্বাভাবিক থাকলেও একটি গাছে হঠাৎ করেই একটি গিঁট থেকে অসংখ্য ফুল বের হতে থাকে। সেই ফুল থেকে ওই ডগায় ৩৫টি লাউ ধরেছে। লাউগুলো আস্তে আস্তে বড়ও হচ্ছে।

প্রতিবেশী বিপ্লব হোসেন বলেন, ‘এক ডগায় ৩৫টি লাউ গুনে দেখেছি। এর আগে এমন দৃশ্য দেখিনি। গ্রামের উৎসুক অনেকেই লাউগাছটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান জানান, এক ডগায় অসংখ্য লাউ ধরা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা না। বিভিন্ন কারণে এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে, তবে গাছটি না দেখে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।

আরও পড়ুন:
সড়ক বিভাজকে শাকসবজি চাষ
শীতকালীন আগাম সবজিতে অধিক দাম গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের
কুমিল্লা থেকে বছরে ২৫ কোটি টাকার সবজির চারা ছড়ায় সারা দেশে
‘আকাশ ছুঁয়েছে’ সবজির দাম
‘সবজির দাম শুনলে চোখে পানি চলে আসে’

মন্তব্য

p
উপরে