ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এখন থেকে ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএসের বদলে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি অডিটোরিয়ামে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘ইন্টারনেট সেবা: সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানান আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক।
তিনি বলেন, গৃহীত সিদ্ধান্ত আজ থেকেই কার্যকর হবে। এখন থেকে ৫০০ টাকায় দ্বিগুণ গতির ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা। সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা পেলে আগামীতে ৫০০ টাকায় ২০ এমবিপিএস ইন্টারনেট দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ব্রডব্যান্ডের স্পিড সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস হওয়া উচিত। যেসব ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্সের (আইএসপি) এই গতির ইন্টারনেট দেওয়ার সক্ষমতা আছে, তাদের লাইসেন্স দ্রুত আপগ্রেড করা উচিত।’
তবে আইএসপিএবির এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস করা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। সরকার ইতোমধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যান্ডউইথের মূল্য ১০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। পাঁচ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারে গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তাছাড়া ফাইবারের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে প্রোভাইডাররা ইন্টারনেট কিনছেন মাত্র ৮০ টাকায় ১ জিবিপিএস, অথচ গ্রাহকরা কিনছে লাখ টাকায়। গ্রাহকদের প্রত্যাশা ছিল ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি হবে ২০ এমবিপিএস এবং সর্বোচ্চ হবে ১০০ এমবিপিএস।’
গ্রাহকদের ওপর বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় এবং অযৌক্তিক হবে বলে জানায় সংগঠনটি।
বর্তমান অত্যাধুনিক যুগে জীবন চলার পথে যেকোনো কাজেই এগিয়ে যান না কেন, আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া প্রশ্নবিদ্ধসহ প্রতিবন্ধকতায় সম্মুখীন হবেন। আর আপনিই যে আপনি, তা কেবল আঙ্গুলের ছাপেই শনাক্তপূর্বক বলে দিবে। মজার ব্যাপার হলো যে আপনার আঙ্গুলের ছাপ শুধুই আপনার; সারা পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ৮০০ কোটি মানুষের ছাপের সঙ্গে কোনো মিল হবে না। শুধু তাই নয়, সৃষ্টির গোড়া থেকে শুরু করে যত মানুষ এই ধরায় এসেছেন এবং পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত যত মানুষ আসবেন, কারও আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে মিল তথা এক হবে না। আঙ্গুলের এই ব্যতিক্রম ছাপের ব্যাপারে এখন বিজ্ঞানীরা জোর গলায় বললেও এ কথাটি ১৪০০ বছর আগেই পবিত্র কোরআন শরিফের সুরা ক্বিয়ামাহ (মক্কায় অবতীর্ণ)-তে উল্লেখ করা হয়েছে। আর যেভাবেই বলি না কেন, আঙ্গুলের ছাপ আল্লাহতায়ালার মহাবিস্ময়কর সৃষ্টি।
এ প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য, বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞান কি বলেছে জানেন? এ ব্যাপারে বিজ্ঞান বলে যে গর্ভাবস্থায় যখন ভ্রূণের মাত্র ১০ সপ্তাহ বয়স, তখন তার আঙ্গুলের ছাপ গঠিত হয়। আর সেটা সারাজীবন একই থাকে; পরিবর্তন হয় না। কোনো দুই ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ কখনই এক হয় না। এমনকি জমজ ভাই-বোনদের ক্ষেত্রেও না। কিন্তু কেন? এর কারণ মায়ের গর্ভে প্রতিটি শিশুর বেড়ে ওঠার পরিবেশ একেবারেই আলাদা হয়; যা তাদের আঙ্গুলের ছাপের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া আপনার আঙ্গুলের ছাপে আরও অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে? এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে আঙ্গুলের ছাপ কেবল আপনাকে শনাক্ত করবে, তাই নয়। একইসঙ্গে আপনার জ্বিনগত দিক দিয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য বহন করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের আঙ্গুলের ছাপ আঁকা-বাঁকা, তাদের বহুমূত্র ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি থাকে। এই রকম আরও নানা রোগের চিহ্ন বহন করে থাকে, যা এখনো গবেষণার পর্যায়ে আছে।
এক সময় শুধু অপরাধীকে ধরতে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের পরিচয়ের জন্য; যেমন- আইডেন্টেটি কার্ড ও পাসপোর্ট বইসহ বায়োমেট্রিক্স তথ্য সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে এই ছাপ ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া বাংলাদেশে মোবাইল সিম কিনতে আঙ্গুলের ছাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমনকি, অনেক অফিসে ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। এই আঙ্গুলের ছাপের বিষয়টি আল্লাহর কুদরতের এক অকাট্য প্রমাণ বৈ কিছু নয়। পবিত্র কোরআনে ১৪০০ বছর আগেই আল্লাহতায়ালা এই সৃষ্টির কথা বলেছিলেন। আর এতে এটাই প্রমাণ করে, কোরআন কখনো মানুষের লেখা নয়; বরং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত এক পরিপূর্ণ জীবনবিধান। ১৬৮৪ সালে সর্বপ্রথম ইংলিশ ফিজিশিয়ান, উদ্ভিদ বিজ্ঞানী এবং অনুবীক্ষণ যন্ত্রবিদ ‘নিহোমিয়া গ্রিউ’ বৈজ্ঞানিক দৈনিক-ই প্রকাশ করে এতে করতল ও আঙ্গুলের ছাপের রহস্যের সংযোগ সূত্রের ধারণার উত্থাপন করেন। তবে ১৬৮৪ সালের পূর্বে ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্পর্কে আর কোনো বিজ্ঞানীর আলোকপাতের কথা পাওয়া যায় না। এর পরবর্তীতে দীর্ঘ বিরতির পর ১৮০০ সালের পর ফিঙ্গার প্রিন্ট পুনরায় জোরভাবে বৈজ্ঞানিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং এ ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন আঙ্গিকে গুরুত্ব দেন। এসব বিজ্ঞানীদের মধ্য উল্লেখযোগ্য হলেন, জেন জিন্সেন, সৈয়দ মুহাম্মাদ কাজী আজিজুল হক (খুলনা) ও ব্রিটিশ কর্মকর্তা এওয়ার্ড হেনরি। অবশ্য ১৬৮৫ সালে ডার্চ ফিজিসিয়ান ‘গোভার্ড বিডলো’ এবং ইটালিয়ান বিজ্ঞানী ‘মারসিলো বিডলো’ এনাটমির ওপর বই প্রকাশ করে ফিঙ্গার প্রিন্টের ইউনিক গঠনের ওপর নানা বিষয় তুলে ধরেন। প্রকাশ থাকে, খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ অব্দে ব্যবসায়িক কাজে ছোট ছোট শুকনো কাদার খণ্ডে ব্যাবিলিয়ানদের আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। আর ১৮৯১ সালে আর্জেন্টিনার হুয়ান ভুসেটিস অপরাধী ধরার পদ্ধতি আবিষ্কার করার মাধ্যমে আধুনিক যুগের আঙুলের ছাপের ব্যবহার শুরু করেন।
কথা প্রসঙ্গে আবার আল কোরআনের কথাই ফিরে আসি। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, আল্লাহতায়ালা যখন কোরআনে বারবার বিচার দিবস ও পুনরুত্থানের কথা বলেছেন। তখন কাফিররা এই বলে হাসাহাসি করত যে পচাগলা হাড়গুলোকে কীভাবে একত্রিত করা যাবে? একজনের অস্থির সঙ্গে অন্যজনেরগুলো কি বদল হবে না? এ ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন প্রতি-উত্তরে বলেছেন, ‘মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করতে পারব না? বরং আমি তার অঙ্গুলিগুলোর ডগা পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম’ (আল কিয়ামাহ, আয়াত ৩-৪)। বস্তুত এখানে মহান রব ফিঙ্গার প্রিন্টের সক্রিয়তার ওপর ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর আল্লাহতায়ালা কেবল মানুষের অস্থিতে মাংস পরিয়েই উত্থিত করবেন না; বরং এমন নিখুঁতভাবে মানুষকে পুনরায় জীবিত করবেন, যেমন- জীবদ্দশায় তার আঙ্গুলের সূক্ষ্ম রেখা পর্যন্ত সুবিন্যস্ত ছিল। এখানে এটাই ইঙ্গিত করা হয়েছে যে পুনরুত্থানে কত নিখুঁতভাবে পুনরায় মানুষকে হুবহু অবয়ব দেওয়া হবে। কাফিররা বলে গলা পচা অস্থি একজনেরগুলোর সঙ্গে অন্যজনেরগুলো কি মিশ্রিত হবে না? এ ক্ষেত্রে আল্লাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন যে অস্থি মিশ্রিত হওয়া তো দূরে থাক; বরং নিখুঁতভাবে তিনি মানুষকে পুনরুত্থিত করবেন।
আসলে যেভাবেই বলি না কেন, ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রকারান্তরে ডেটা ব্যাংক বলে অভিহিত। কেননা জ্বিনের মধ্য সন্নিবেশিত প্রায় সব বৈশিষ্ট্য, শুধু শারীরিক গঠনই নয় বরং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পর্যন্ত আঙ্গুলের ছাপে এনকোড করা থাকে। তাই আল্লাহ এখানে কাফিরদের জবাব ও জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন দিয়েছেন যে শুধু মাত্র আঙ্গুলের ডগার প্রিন্ট দিয়ে যদি একটি মানুষের সম্যক বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। তবে প্রত্যেক মানুষকে তার নিজের অস্থি দিয়ে পুনর্বিন্যস্ত করা কোনো ব্যাপারই না। এ সূত্র ধরে হয়তো অনেকেই বায়োমেট্রিকস বায়োলজিক্যাল ডেটা পরিমাপ এবং বিশ্লেষণ করার প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত আছেন। এখানে গ্রিক শব্দ ইওঙ, যার অর্থ জীবন বা প্রাণ এবং গবঃৎরপ হলো পরিমাপ করা। মূলত বায়োমেট্রিকস এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে কোনো ব্যক্তির গঠনগত এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রে ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যাপারে আগেই উল্লেখ করেছি, একজনের আঙ্গুলের ছাপ বা টিপ-সই অন্য কোনো মানুষের সঙ্গে মিল নেই। আর এটি মাথায় রেখে প্রথমেই আঙ্গুলের ছাপ ডেটাবেইসে সংরক্ষণ করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডারের মাধ্যমে আঙ্গুলে ছাপ ইনপুট নিয়ে ডেটাবেইজে সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে তুলনাপূর্বক যেকোনো ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। আসলে ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার হচ্ছে বহু ব্যবহৃত একটি বায়োমেট্রিক ডিভাইস, যার সাহায্যে মানুষের আঙ্গুলে ছাপ বা টিপসইগুলো ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে, তা পূর্ব থেকে সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ বা টিপসইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। তবে যারা দৈহিকভাবে আঙ্গুলের কাজ করেন, সে ক্ষেত্রে রেখাগুলো মিলে বা মুছে গেলে, এই পরীক্ষায় জটিলতার কথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
উপর্যুক্ত বর্ণনার প্রেক্ষিতে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, আঙ্গুলের ছাপ আল্লাহতায়ালার মহাবিস্ময়কর সৃষ্টি।
লেখক: বিশিষ্ট গবেষক, অর্থনীতিবিদ এবং লেখক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সম্মাননা ও পদকপ্রাপ্ত।
বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তাদের বহুল আলোচিত টেকসই স্মার্টফোন অপো এ৫ প্রো-এর একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাজারে এনেছে। এই নতুন সংস্করণে রয়েছে উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড, যার মধ্যে রয়েছে ৮ জিবি র্যা০ম এবং ২৫৬ জিবি রম, যা নিশ্চিত করে আরও উন্নত পারফরম্যান্স ও পর্যাপ্ত স্টোরেজ সুবিধা— স্মার্টফোনটি এখন সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৬,৯৯০ টাকায়।
স্মার্টফোন ফটোগ্রাফিতে একেবারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে অপো এ৫ প্রো-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট, যার সঙ্গে রয়েছে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি মোড — একটি ব্যতিক্রমী ফিচার যা ডিভাইসটিকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা পানির নিচে অনায়াসে চমৎকার সব ছবি তুলতে পারবেন, যা অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ও ফটোগ্রাফি প্রেমী মানুষদের জন্য একেবারে গেম-চেঞ্জার।
বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে আইপি৬৬, আইপি৬৮, এবং আইপি৬৯ সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত অপো এ৫ প্রো নতুনভাবে ‘টেকসই স্মার্টফোনকে’ সংজ্ঞায়িত করেছে। ডিভাইসটির জন্য ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং সার্টিফিকেশনগুলো পানি, ধুলাবালি ও আঘাতের বিরুদ্ধে অতুলনীয় সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তাই প্রতিকূল পরিবেশে বা দৈনন্দিন ব্যবহারে এই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ সঙ্গী।
তবে অপো এ৫ প্রো-কে বিশেষ করে তোলে শুধু এর টেকসই গঠনই নয়। মজবুত নির্মাণের পাশাপাশি এটির উচ্চমানের ফটোগ্রাফি সক্ষমতা। এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে এআই-চালিত ফিচার, যা মোবাইল ফটোগ্রাফিকে নিয়ে গেছে এক নতুন উচ্চতায়।
এআই ইরেজার ২.০ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ মুছে ফেলতে পারেন, আর এআই রিফ্লেকশন রিমুভার গ্লেয়ার বা প্রতিফলন দূর করে আরও পরিষ্কার ও প্রফেশনাল লুকিং ছবি দেয়। এআই আনব্লার ফিচার ঝাপসা বা ফোকাস হারানো ছবিকে আবার স্পষ্ট করে তোলে, ফলে প্রতিটি মুহূর্ত ধরা পড়ে নিখুঁতভাবে।
এছাড়াও এআই ক্লিয়ারিটি এনহান্সার ছবির প্রতিটি খুঁটিনাটি নিখুঁতভাবে এডিট করে উপহার দেয় ঝকঝকে, হাই-ডেফিনিশন ইমেজ। অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তির দিক থেকে, অপো এ৫ প্রো-এ ব্যবহার করা হয়েছে স্মার্ট কালারওস ১৫ লাইট, যা চালিত হচ্ছে শক্তিশালী ট্রিনিটি ইঞ্জিনের মাধ্যমে। এই শক্তিশালী কম্বিনেশন নিশ্চিত করে স্মুথ, স্থিতিশীল ও দক্ষ পারফরম্যান্স—হোক সেটা মাল্টিটাস্কিং, ভিডিও দেখা বা যেকোনো অ্যাপ ব্যবহার। ইউজার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে, অপো দিচ্ছে ৪৮ মাসের ফ্লুয়েন্সি প্রোটেকশন, যা নিশ্চিত করে যে দীর্ঘদিন ব্যবহারের পরেও ডিভাইসটি আগের মতোই পারফর্ম করবে ও সাড়া দেবে।
অপো এ৫ প্রো সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন অপো বাংলাদেশ-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh অথবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.oppo.com/bd/.
লাল-সাদা রঙ ও বর্ণিল উচ্ছলতায়, গানের সুরে সুরে ভিন্ন আনন্দ এবং আমেজে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের এই উৎসবমুখর সময়ে অপো বাংলাদেশ প্রযুক্তিপ্রেমীদের আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে নিয়ে এসেছে পারফেক্ট স্মার্টফোন ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’।
এই বৈশাখে গরমে যখন সবাই হাঁসফাঁস করে, নেমে পড়ে সুইমিং পুল, নদী কিংবা ঝর্ণায়- তখন উৎসবমুখর দারুণ সময় কাটাতে প্রয়োজন ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এর মতো সম্পূর্ণ ‘ওয়াটার প্রুফ’ বা পানিরোধী স্মার্টফোন। এই মোবাইলে রয়েছে- ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় আইপি৬৯ রেটিং; আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি সক্ষমতা- যাতে পানির নিচেও স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করা সম্ভব। ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ আপনাকে দেবে কোনো প্রোটেক্টিভ কেস এর সহায়তা ছাড়াই মুগ্ধকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করার সুযোগ।
অপোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ‘এআই লাইভ ফটো’ ফিচার শাটার ট্যাপ করার কিছু সময় আগেও এবং পরেও ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে সক্ষম, যা কি না ছবিগুলোকে অকেবারেই প্রাণবন্ত ও জীবন্ত শর্ট ক্লিপস তৈরি করে।
মন-মাতানো এমন সব ছবি ক্যামেরাবন্দি করার পর- ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এ আরো রয়েছে এআই-পাওয়ারড এডিটিং টুলস। যাতে ছবির অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সহজেই মুছে ফেলা যায়, আর এ জন্য রয়েছে এআই ইরেজার ২.০; এছাড়া ছবিতে সূর্যের আলো কিংবা পানির যেকোনো অযাচিত আবহ বা ইফেক্ট সহজেই এআই রিফ্লেকশন রিমুভার দিয়ে মুছে ফেলা সম্ভব; মুঠোবন্দি করা ছবি আরো স্পষ্ট করা যাবে এআই আনব্লার টুলস ব্যবহার করে এবং ছবির ডিটেইল নিশ্চিত করবে এআই ক্লিয়ারিটি এনহেন্সার। তাই ছবি তোলা থেকে শুরু করে এডিট এবং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার পুরো প্রক্রিয়াটি নির্বিঘ্ন করবে ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’।
বাংলাদেশের অপো’র সব আউটলেট ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এখন-ই পাওয়া যাচ্ছে, ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এবং এই মোবাইলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকা।
তাই এই নববর্ষে শুধু ছবি তোলা নয়, হয়ে উঠুন এই উৎসবের অংশও। জীবনের সবটা পুরোপুরিভাবে আবিষ্কার করুন ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এর মাধ্যমে।
গ্লোবাল উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করেছে তাদের বহু প্রতীক্ষিত নোট ৫০ সিরিজ। এই সিরিজে তিনটি মডেল—নোট ৫০, নোট ৫০ প্রো এবং নোট ৫০ প্রো প্লাস—বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। স্মার্টফোনগুলো আধুনিক মেটাল ফ্রেম, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে।
ক্রেতাদের সুবিধার জন্য ইনফিনিক্স পাম পে-এর সাথে অংশীদারিত্বে ০% ইএমআই সুবিধা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে, মাত্র ২০% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ফোনটি কেনা যাবে এবং পুরো এপ্রিল মাসে চার মাসে কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। এটি তরুণ পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেটের মধ্যে একটি দুর্দান্ত ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা উপভোগের সুযোগ।
ইনফিনিক্সের নতুন নোট ৫০ সিরিজে যুক্ত হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন এআই প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে এবং ব্যবহারকারীর আচরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেকে নিখুঁতভাবে মানিয়ে নিতে পারে। আরও থাকছে ডিপ সিক এআই, ওয়ান-ট্যাপ এআই ক্যামেরা ও স্ক্রিন, এবং এআই নয়েজ মিউট—যার মাধ্যমে ডিভাইসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, কাজের ধরন কিংবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনুযায়ী কার্যক্ষমতা সামঞ্জস্য করতে পারে। এছাড়া থাকছে নতুন বায়ো-অ্যাকটিভ হালো এআই লাইট, যা নোটিফিকেশন ও বিভিন্ন কার্যক্রম অনুযায়ী লাইভ লাইটিং ইফেক্ট প্রদর্শন করে।
নোট ৫০ সিরিজে ইনফিনিক্স এনেছে নতুনভাবে ডিজাইন করা আর্মরঅ্যালয়™ নির্মিত একটি উন্নতমানের কাঠামো, যা ড্যামাস্কাস স্টিল এবং এয়ারোস্পেস-গ্রেড অ্যালুমিনিয়াম এর সমন্বয়ে গঠিত। হাইপারকাস্টিং প্রযুক্তিতে নির্মিত এই মেটাল ইউনিবডি স্মার্টফোনটিকে দিয়েছে হালকা ও স্লিম প্রোফাইল। ডিভাইসের মেটাল কোয়াড-কার্ভড প্রান্ত এবং জিরকোনিয়াম-স্যান্ড পলিশড ফিনিশ ব্যবহারকারীর হাতে এনে দেয় একটি প্রিমিয়াম টাচ অনুভূতি। সেই সঙ্গে, টিইউভি সুড-সার্টিফায়েড ড্রপ রেজিস্ট্যান্স নিশ্চিত করেছে ফোনটির উন্নত নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্ব।
নোট ৫০ এবং নোট ৫০ প্রো মডেলগুলোতে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি১০০ আলটিমেট চিপসেট, আর নোট ৫০ প্রো+ মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে নেক্সট-জেন ৪ ন্যানোমিটার ডাইমেনসিটি ৮৩৫০ আলটিমেট ৫.৫জি চিপসেট, যা স্মুথ মাল্টিটাস্কিং এবং গেমিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ডিসপ্লে বিভাগে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট, যা উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট ভিউ নিশ্চিত করে। ক্যামেরা প্রযুক্তি হিসেবে নোট ৫০ সিরিজে রয়েছে ৫০ মেগা পিক্সেল ওআইএস নাইট মাস্টার ক্যামেরা, ১১২° আল্ট্রা-ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স, এবং উন্নত এআই ফটোগ্রাফি টুলস। নোট ৫০ প্রো+ মডেলে রয়েছে ১০০X পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্স এবং সনি আইএমএক্স ৮৯৬ সেন্সর, যা ৪কে ৬০এফপিএস ভিডিও রেকর্ডিং নিশ্চিত করে।
সিরিজের প্রতিটি মডেলে রয়েছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ফাস্টচার্জ ৩.০ প্রযুক্তি, যা দ্রুত চার্জিং নিশ্চিত করে। নোট ৫০ প্রো+ মডেলে ১০০ ওয়াট ওয়ায়ার্ড চার্জিং এবং ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ সুবিধা রয়েছে।
এছাড়াও, ইনফিনিক্স প্রথমবারের মতো সেন্সর-ভিত্তিক স্বাস্থ্য ট্র্যাকিং ফিচার এনেছে, যার মাধ্যমে হৃদস্পন্দন এবং রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মনিটরিং করা যাবে।
কার্লকেয়ার, ইনফিনিক্সের অফিসিয়াল সার্ভিস সেন্টার, নোট ৫০ সিরিজের স্মার্টফোনের জন্য প্রদান করবে প্রিমিয়াম সার্ভিস। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ দিন স্ক্রীন ড্যামেজ প্রটেকশন, ফ্রি ফার্ম ক্লিনিং, ফাস্ট রিপেয়ার সার্ভিস এবং সার্ভিস ডে অফার, যা এস-ভিআইপি কার্ড সহ প্রদান করা হবে। এই ভিআইপি কার্ড নোট ৫০ সিরিজের ব্যবহারকারীদেরকে প্রাধান্য ভিত্তিক গ্রাহক সেবা প্রদান করবে।
নোট ৫০ সিরিজের স্মার্টফোন দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে—টাইটেনিয়াম গ্রে এবং এনচ্যান্টেড পারপল। নোট ৫০ সিরিজের ফোনগুলোর মূল্য যথাক্রমে ৫৪,৯৯৯ টাকা, ৩১,৯৯৯ টাকা, এবং ২৭,৯৯৯ টাকা (নোট ৫০ প্রো+, নোট ৫০ প্রো, এবং নোট ৫০) এবং বর্তমানে এগুলো দেশব্যাপী সকল অনুমোদিত রিটেইলার এবং অনলাইন স্টোরে পাওয়া যাবে।
বিশ্ববাজারে সাড়া ফেলার পর এবার বাংলাদেশে আসছে টেকনোর নতুন স্মার্টফোন— ক্যামন ৪০ এবং ক্যামন ৪০ প্রো। এই ডিভাইস দুটিতে রয়েছে শক্তিশালী এআই ফিচার, ওয়াটারপ্রুফ (IP66/IP68/69) রেটিং, ৫২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং ১২০ হার্জের ব্রাইট অ্যামোলেড ডিসপ্লে— যা ব্যবহারকারীদের দারুণ স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা দেবে।
গ্রাহকরা এই ফোন দুটি প্রি-অর্ডার করতে পারবেন ১০ এপ্রিল থেকে শুরু করে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আর প্রি-অর্ডার করলেই থাকছে বিশেষ উপহার। যারা ক্যামন ৪০ প্রি-অর্ডার করবেন, তারা পাবেন একটি প্রিমিয়াম ব্যাকপ্যাক। আর ক্যামন ৪০ প্রো প্রি-অর্ডার করলে থাকছে টেকনো ওয়াচ ৩।
টেকনো ক্যামন ৪০ ও ৪০ প্রো— দুই ফোনেই আছে অত্যাধুনিক ফ্ল্যাশস্ন্যাপ ফিচার, যা চালু করার জন্য রয়েছে আলাদা একটি ‘ওয়ান-ট্যাপ ফ্ল্যাশস্ন্যাপ’ বাটন। এই ফিচার ব্যবহার করে খুব দ্রুতগতির ও মুভিং সাবজেক্টের ছবি স্পষ্টভাবে তোলা যাবে। এতে আছে ১/১০৯৩৫ সেকেন্ড পর্যন্ত আল্ট্রা ফাস্ট শাটার স্পিড, যা অনেক প্রফেশনাল ক্যামেরা থেকে বেশি। প্রফেশনাল ক্যামেরায় সর্বোচ্চ শাটার স্পিড হয় ১/৮০০০ সেকেন্ড। আর এই ফোনে বাটনটি দুইবার ক্লিক করলেই চালু হয়ে যাবে ফ্ল্যাশস্ন্যাপ। এছাড়া ফোনের এআই ও অটোস্ন্যাপ একসাথে কাজ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে ভালো ফ্রেমটি নির্বাচন করে নেয়।
পাশাপাশি ক্যামন ৪০ সিরিজে রয়েছে নানা ধরনের এআই ফিচার, যেমন— এআই ফুল-লিংক কল অ্যাসিস্ট্যান্ট, এআই স্টুডিও (এআই ইরেজার ২.০, এআই ইমেজ এক্সটেন্ডার, এআই শার্পনেস প্লাস, এআই পারফেক্ট ফেস, এআইজিসি পোট্রেট ২.০), এআই প্রোডাক্টিভিটি ফিচার (এআই রাইটিং, এআই ট্রান্সলেট, এআই সার্কেল সার্চ) এবং এআই ডকুমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট।
প্রটেকশন হিসবে ক্যামন ৪০ ফোনে রয়েছে ধুলো ও পানিরোধী ব্যবস্থা (IP66); আর ক্যামন ৪০ প্রো’তে আছে ধুলা ও ওয়াটার প্রুফ ফিচার (IP68/69), যার ফলে পানিতে ডুবলেও এই ডিভাইসের ক্ষতি হবে না।
টেকনো ক্যামন ৪০ সিরিজে আছে শক্তিশালী প্রসেসর, ও ৫ বছর পর্যন্ত ল্যাগ ফ্রি পারফরম্যান্স সার্টিফিকেশন । এর ৫২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি এবং ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জার পুরো দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। ফোনটির ফ্ল্যাগশিপ ৫০ মেগাপিক্সেলের সনি LYT-700C আল্ট্রা নাইট ক্যামেরা রাতে খুব ভালো ছবি তোলার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া ৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা এবং এআই স্ন্যাপ সেন্সর দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি প্রভাইড করবে।
টেকনো ক্যামন ৪০-এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২৩,৯৯৯ টাকা (ভ্যাট প্রযোজ্য)। আর ক্যামন ৪০ প্রো-এর দাম মাত্র ২৭,৯৯৯ টাকা (ভ্যাট প্রযোজ্য)।
প্রি-বুকিং ও লঞ্চিং সংক্রান্ত আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুন: www.facebook.com/TECNOMobileBangladesh.
স্মার্ট ডিভাইস উদ্ভাবনে অগ্রগণ্য ও বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি ‘অপো’, ব্র্যান্ডটির সর্বশেষ ‘এ৫ প্রো’ মোবাইল উন্মোচনের পর হতে ব্যবহারকারীদের প্রশংসায় ভাসছে। টেকসই হার্ডওয়্যার এর কারণে ডিভাইসটি ইতোমধ্যে টেক মার্কেটে সুপরিচিত পেয়েছে এবং গ্রাহকরা স্মার্টফোনটির স্থায়িত্ব ও টেকসইতা নিয়েও কথা বলছেন। মোবাইলটি ব্যবহারের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও অনেকে শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং প্রশংসা করছেন- ‘এ৫ প্রো’ এর পারফরম্যান্সের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে স্মার্টফোনটির ব্যবহারকারীরা বলছেন- এটি যেমন ড্রিলিং মেশনিও সহ্য করতে পারে, তেমনি ফোনটির ওপর দিয়ে গাড়ি চলে গেলেও টিকে যাবে ‘এ৫ প্রো’; অর্থ্যাৎ একবাক্যে সবাই মেনে নিচ্ছেন- অপোর ‘এ৫ প্রো’ ক্ষতিগ্রস্ত করা যেন প্রায় ‘অসম্ভব’।
ঢাকার মেরুল বাড্ডার বাসিন্দা- এমএসআই ইসমাইল বিন আলম ‘এ৫ প্রো’কে নিয়ে তার গল্প শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন। তার ভিডিওটি দ্রুতই অনলাইনে আলোচনায় আসে।
তিনি জানান, অপো ‘এ৫ প্রো’ ড্রপ-প্রুফ এবং সত্যিকার অর্থেই অসাধারণ। আরো জানান, যদিও ফোনটি আমার হাত থেকে পড়ে যায় এবং ফ্লোরে আঘাত লাগে; তবু একটি স্ক্র্যাচও স্মার্টফোনটিতে পড়েনি। স্ক্রিনটা ছিল পুরোপুরি অক্ষত। তার পোস্ট থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায়- ‘এ৫ প্রো’ সহজেই এ ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারবে।
দক্ষিণ যাত্রাবাড়ির রিয়াদ হোসাইন তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানান- যারা ঘরের বাইরে কর্মব্যস্ত থাকেন, তাদের জন্য এই স্মার্টফোনটি ‘পারফেক্ট’। তিনি আরো বলেন, আমি উচ্চ তাপমাত্রা, ধূলো, এমনকি বৃষ্টিতেও ডিভাইসটি ব্যবহার করেছি; কিন্তু কোনো বিঘ্ন বা ছন্দপতন হয়নি। নিঃসন্দেহে, এটি আমার সব ধরনের অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গী।
এছাড়া- মোহাম্মদপুরের সাদ মজুমদার জানান, যদি কেউ এমন একটি ফোন খুঁজতে থাকেন, যেটি দৈনন্দিন জীবনের চাপ সামলে নিতে পারবে; তাহলে এ স্মার্টফোনটি হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। চাপ ও দুশ্চিন্তামুক্ত লাইফস্টাইল এর জন্য ‘এ৫ প্রো’ আল্টিমেট পছন্দ। ফোন ভাঙার ভয়ে আপনাকে অযথা ভাবতে হবে না।
পানির নিচে ফোনটিকে ব্যবহারের সক্ষমতাও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। লালবাগের বাসিন্দা জয় হোসাইন বলেন- দুর্ঘটনাক্রমে পানির নিচে ফোনটি পড়ে যায় কিন্তু কোনো ক্ষতি হয়নি। এমনকি আমি পানির নিচে ছবিও তুলেছি। অসম্ভব ভালো মানের স্পষ্ট ছবি এসেছে। যারা অনুকূল-প্রতিকূল যেকোনো পরিস্থিতিতে ছবি তুলতে পছন্দ করেন, এই ফোন তাদের জন্য গেমচেঞ্জার।
মন্তব্য